ব্যাপারটার দিকে নজর পড়লো মাইশোরে গিয়ে। আমাদের গাড়ির চালক বেশ বন্ধুভাবাপন্ন। হয়তো মুসলিম বলেই সে বেশ খোলামেলা ভাবেই তার ভাবনাগুলি আমার সাথে শেয়ার করছিল। সে বিভিন্ন মহল্লা দেখাচ্ছিল; আর বলছিলো কোনটা মুসলিম প্রধান এলাকা। তার কাছ থেকেই জানলাম মুসলিম প্রধান এলাকায় তারা চাঁদ তারা খচিত সবুজ ঝান্ডা বা পতাকা উড়ায়। আর হিন্দুরা রাখে কমলা ঝান্ডা! সে খুব অবাক হলো আমরা ঝান্ডা উড়াই না শুনে। অবশ্য এটা মেনে নিল , যেহেতু আমাদের মুসলিম প্রধান দেশ আর তাছাড়া আমাদের এখানে খুব বেশী একটা ধর্মীয়ভাবে এলাকাভিত্তিক বসবাস হয়না।ওখানে দাঙ্গার সময় সবাই ঝান্ডা দেখে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করে।
পরবর্তিতে অন্য সব শহরেও তাই দেখলাম। তবে নাগপুরে আমাদের সংস্থার ভারতীয় পরিচালক জানালেন, এই শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অভূতপূর্ব। সবাই একত্রে কমিটি করে উৎসব পালন করে।
মুম্বাই হামলার স্মৃতি
অনেকেরই গত বছরের বুম্বাই এ সন্ত্রাসী হামলার সেই দৃশ্যগুলি মনে আছে নিশ্চই। আমিও সুযোগ পেতেই হাজির হয়ে গেলাম সেই জায়গা গুলিতে।
তাজ হোটেল
দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে একসময় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল।
এটা গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া। তাজ হোটেলের সামনেই। এই গেটের ঘাট দিয়েই সন্ত্রাসীরা এসেছিল।
এটা বিখ্যাত লিওপোল্ড ক্যাফে। এখানেও হামলা হয়েছিল।
ক্যাফের ভেতরে ওয়াল পেইন্ট। সম্ভবত শত বছরের পুরনো।
বম্বের মেরিন ড্রাইভ। শহরটা এই তীর ঘেষেই
বোম্বের চমৎকার দুটি ভবন
বিখ্যাত একটি স্হাপত্য। কাঞ্চনজঙ্ঘা এপার্টমেন্ট। ৯৬ এ যখন বুয়েট থেকে আমরা যাই, তখনও এর ছবি তুলেছিলাম।
নাগপুর- কমলার শহর
নাগপুর হলো মহারাষ্ট্রে; তবে ভারতের এটি ঠিক কেন্দ্রে অবস্থিত। মজার ব্যাপার হলো এই সেন্টার পয়েন্ট টি মার্ক করা আছে নীচের এই ভাস্কর্য্য দিয়ে।
নাগপুরকে বলা হয় কমলা নগরী। ভারতের সবচেয়ে বেশীপরিমাণে ও ভাল মানের কমলা এখানে উৎপাদিত হয়। শহরটি খুব ছিমছাম , মাঝে মাঝে পাহাড়ী উঁচু নীচু পথ। শান্তি প্রিয় লোকজন।
এখানেই ভারতের গল্প শেষ হলো এবারকার মতো ।
ছবি বড় করে দেখার জন্য নীচের প্রিভিউগুলিতে ক্লিক করুন।