somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্রমণব্লগ- ভারতের ছবি (পর্ব তিন)

০৬ ই মে, ২০১০ রাত ১১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গুজরাতি বিয়ে
বোম্বেতে এক বেলার জন্য একটা গাড়ি ঠিক করে ফেললাম। রোববার বলে রাস্তা ঘাটে ভিড় নেই মোটেও। হাতে সময় ছিল সকাল ১০ টা থেকে রাত পর্যন্ত, ভাবলাম এক দৌড়ের উপর যতটুকু দেখা যায়, বার বার টেক্সি খোঁজার ঝামেলা নেই।
এই ঘোরাঘুরির ভেতরেই হঠাৎই চোখে পড়লো বরযাত্রির এই ছোট দলটিকে। ড্রাইভার সাহেব জানালেন, এরা গুজরাতি। খেয়াল করে দেকখলাম রাস্তার উপরেই কাছাকাছি দুটি বাড়ি বেশ সাজানো। পায়ে হেটেই চলছিল সবাই। বরের জন্য স্পেশাল ঘোড়ার গাড়ি।

নীচের ছবিতে ঘাড়ের উপর কলসি নিয়ে যে লোকটি দাড়িয়ে, সে একটু পর পর ঘড়া থেকে পানি জাতীয় তরল ঘোড়ার চলার পথের উপর ঢালছিল,

পাশ ফিরে তাকিয়ে থাকা যুবকটি ই মনে হলো পাত্রমশায়!

এগিয়ে চলছে বরযাত্রী, গন্তব্য অল্প সামনেই


হাজী আলির মাজার
দুপুরের দিকে দেখতে গেলাম হাজী আলির মাজার। অনেক জনপ্রিয় হিন্দি গানে এই মাজারটির উল্লেখ আছে। প্রচুর ভীড়। সব ধর্মের লোকই আছে, তবে মুসলিমদের সংখ্যাই বেশী। মাজারটি তীর থেকে সাগরের একটু ভেতরে। মনে হলো মাজার টা করার জন্যই পাথড় ফেলে এমনটা করা হয়েছে। সবাই পথের দুপাশের দোকান থেকে ফুলের মালা কিনে নিয়ে যাচ্ছে, আর সেটাই কবরের পাশে সাজিয়ে রাখছে। প্রচুর ভিড়ের কারণে আর জুতা খুলতে হবে বলে মূল কক্ষের ভেতরে যাওয়া হয়নি।
গেটের কাছে কাবাবের দোকানেও বেশ ভিড় ছিল!




একেবারে মূল গেটের কাছে একটা juice corner ছিল। সেখানে ফ্রুট কাস্টার্ডও ছিল; চেখে দেখার লোভ সামলানো গেলো না :)
স্বাদ মন্দ নয়।


তারকাদের ঘরবাড়ি
বোম্বে শহরের দর্শনীয় স্থানের ভেতর এটাও নাকি একটা।
শাহরুখ খানের বাংলো। সামনে দোতলা , পেছনে চার বা পাঁচ তলা বাড়ি।
প্রচুর গাছ গাছালি ঘেরা। স্থাপত্যের দিক থেকে তেমন আকর্ষনীয় কিছু নয়।


সালমান খানের বাসা এই বিল্ডিং এর দোতলায়; একেবারেই সাদামাটা।


অমিতাভের বাড়ি বাইরে থেকে তেমন একটা কিছু দেখার নেই। তবে দাড়োয়ান ব্যাটার হাবেভাবে মনে হচ্ছিল সে ই বিরাট সেলিব্রেটি! :)

(চলবে)
ছবি বড় করে দেখতে চাইলে নীচের প্রিভিউগুলিতে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:৩১
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রভূ-ভৃত্য নয়, চাই সমতা ও ইনসাফভিত্তিক মৈত্রী

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫০

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রভূ-ভৃত্য নয়, চাই সমতা ও ইনসাফভিত্তিক মৈত্রী

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ছবিটি http://www.gettyimages.com থেকে সংগৃহিত।

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক নৈকট্যের গভীর বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ‘হয় পানি, না হয় তোমাদের রক্ত​এই নদীতেই প্রবাহিত হবে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২০




কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এ ঘটনায় সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে নয়াদিল্লি। এমনকি পাকিস্তানকে এক ফোঁটা পানিও দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধলে বাংলাদেশের কি করণীয় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৬


কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক মুসলিম হওয়ায় এবং ভারত বিদ্বেষী(যৌক্তিক কারণ আছে) হওয়ায় এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউসুফ সরকার

লিখেছেন তানভীর রাতুল, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

নৈতিকতা এবং নীতিবোধ কখনোই আইনের মুখে পরিবর্তিত হয় না (দুঃখিত, বলা উচিত “হওয়া উচিত নয়”)।

নৈতিকতা ও নীতিবোধ কখনোই সহিংসতা বা আইনী চাপের মুখে বদল হয় না (দুঃখিত, বলা উচিত “হওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাক-ভারত যুদ্ধ হলে তৃতীয় পক্ষ লাভবান হতে পারে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৭



সাবেক ভারত শাসক মোগলরা না থাকলেও আফগানরা তো আছেই। পাক-ভারত যুদ্ধে উভয়পক্ষ ক্লান্ত হলে আফগানরা তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতেই পারে।তখন আবার দিল্লির মসনদে তাদেরকে দেখা যেতে পারে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×