"মায়ের কাছে ছাত্রলীগের চিঠি (গণতন্ত্রের মানস কন্যার কাছে)"
মাগো, ওরা বলে রামদা চাপাতি কেড়ে নেবে।
সোনার বাংলায় দাবড়ে বেড়াতে দেবে না।
বলো মা, তাই কি হয়?
তাইতো আমাদের বিষ উঠেছে।
বিষ নামিয়ে পাকা কলার কলজে ভেঙে, তের হাজার বৈরাগীর কেশ ছিঁড়ে তবেই না গর্তে ঢুকবো।
দস্যি মা, রাগ ক’রো না।
মাত্রতো আর ক’টা মাস।
তারপর সোনার বাংলায় তেলাপোকা খুঁজে পাবে, চামচিকা খুঁজে পাবে, আমাদের আর পাবে না।
মা বিশ্বাস করো এ দেশের মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে!
শুনেছি ওরা আমাদের রেপ করতে দেবেনা, টেন্ডারবাজি ভুলিয়ে দেবে।
জগন্নাথের দুষ্টু ছেলেরা বলেছে বাপের নাম ভুলিয়ে কপালে কাকুর নাম টাঙিয়ে দেবে।
তোমার বাবার নাম ভাঙিয়ে খেতে দেবে না।
মাগো, মনে অনেক কষ্ট।
দু:খের শেষ নেই জাহাঙ্গীর নগরে।
ওরা আমাদের ক্যাম্পাসে উঠতে দেবে না।
বলো মা, কী করে মেনে নিই!
তোমার দোয়ায় সকালে একটারে ফেলে দিয়েছি।
নিশ্চয় শুনেছো এরআগে বুয়েটে, কুয়েটে দিয়েছি, অ্যাঁ… ইয়ে করে দিয়েছি!
এখন ক্যাম্পাসে উঠলেই ওরা দৌড়ের উপ্রে রাখে।
এইতো মা, ধৈর্য্য ধরো।
আবার দুয়েকটা দেবো ফেলে, তারপর তোমার জন্য হাসি নিয়েতবেই না ঘরে ফিরবো।
দস্যি মা, রাগ ক’রো না।
মাত্রতো আর ক’টা মাস। তোমার মৃত্যুকামনা করে স্টাটাস দিতে দিবো না!
“পাগলা কুত্তা আমার।” মা পড়ে আর ভেটকি মারে, “তোদের ওপরে রাগ ক’রতে পারি !”
এইতো সেদিন তোদেরকে সতর্ক করে পিঠ চাপড়ে দিয়ে, এটা-সেটা আর কত দোয়া করে !
নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি।
আমার রাঙা-ভাঙ্গা ভুতু, আয় আয় তু তু !"
সংগ্রহীত