১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামে যারা প্রাণ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, বিজয় দিয়েছেন সেই সকল বিপ্লবী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি লাল সালাম।
১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা প্রাণত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ পেয়েছি স্বাধীনতা, বিজয়, একটি লাল সবুজের পতাকা, একটি মানচিত্র। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের দেশকে রক্ষা করেছিল পাকহানাদার ধর্ষকদের হাত থেকে। সেদিন তাদর চোখে ছিলানেক স্বপ্ন..., আশা, ছিল একটি সুপ্ত বাসনা, স্বাধীন রাষ্ট্র হবে, জাতি সুশিক্ষিত হবে। আজ রতের পরেই আমরা উদ্যাপন করতে যাচ্ছি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে, তবু কেন জানি আমরা আমাদের বীরমুক্তি সন্তানদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিচ্ছি বার বার। মুক্তিযোদ্ধারা কি স্বপ্ন দেখে দেশকে স্বাধীন করেছিল তাদের স্বপ্নভেঙ্গে চুরমার করার জন্য? তাদের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন একটি রাষ্ট্র। কিন্তু আজো আমরা স্বাধীনতার মূখ দেখতে পাইনি। একটি ১৬ ই ডিসেম্বরকে আমরা জগণ্যভাবে অবমাননা করছি। সেদিন কি আমরা বিজয় পেয়েছিলাম দূর্নীতি করার শপথ নিয়ে? এটাই কি বীর সন্তানদের প্রাপ্য ছিল? ১৬ ডিসেম্বর দেশের বড় বড় মাথা মোটা রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রভাতে স্মৃতি সৌধে গিয়ে ফুল দিবেন তারপর দুপুর থেকে যার যার কর্মস্থলে গিয়ে নিজের পকেট ভর্তি করবেন এটা তো কোন ধরণের স্বাধীন দেশের কর্মকান্ড হতে পারে না। তাহলে আমরা আজ তাদের কি কিছু দিতে পেরেছি যাতে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। তাহলে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে কি এতটুক জাতীয়তাবোধ আমারদের নেই?? বেশীদূর নয়... আজ থেকে ফেলে আসা গত ২০ বছরের বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি। কতটুকু সম্মানবোধ আছে আমাদের, কতটুকু সভতা আমরা প্রদর্শন করতে পেরেছি আমাদের বীর বাঙ্গালীদের। আজো আমরা জানিনা কে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক?? এটা নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলের ভিতর হাজার কোন্দল। যতই কোন্দল বাড়ছে দেশ ততই পিছিয়ে যাচ্ছে। দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, অপসংস্কৃতি, খুন, মাদক, নারী নির্যাতন, অপ-ছাত্র রাজনীতি, টেন্ডারবাজী, হলুদ সংবাদিকতা, পঙ্গু অর্থনীতি সহ বাংলাদেশের বর্তমান সমস্যার কোন সীমা নেই। তাহলে এই চল্লিশ বছরে আমাদের অর্জনটা কোথায়???