আপনার যখন একটি ল্যাপটপ আছে, এর তো যত্ন করতে ই হবে। আমরা অনেকেই ডেস্কটপের মতই একে যত্ন করতে যেয়ে ভুল করে বসি। কিছু বিষয় জানা থাকলে যত্ন করতে গিয়ে ক্ষতি হাত থেকে বাচা যায়। অনেকদিন খুব স্বাচ্ছন্দে ব্যাবহার করা যায়।
[sb]ল্যাপটপ কর্পোরেশনের(!) ময়লা সাফকরন প্রকল্প
কিছু বিষয় নিয়ে শুরু করছই এখন, তার আগে মাথা থেকে নিচের জিনিষগুলা সরিয়ে ফেলুন ল্যাপটপ পরিষ্কার করার জন্য-
১. মিঃ ব্রাশো
২. টিস্যু পেপার
৩.পানি বা বিদ্যুৎপরিবাহি তরল।
৪. শক্ত ব্রাশ
( আবারো বলছি এগুলো দিয়ে ল্যাপটপ পরিস্কার করতে যাবার চিন্তা করবেন না ভুলেও)
আর যে জিনিষগুলা খুব দরকার-:
ছবির এরকম কিনতে পারলে খুব ভাল -
১. এলসিডি ক্লিনার - দেশে এভেইলেবল না, অন্তত আমি পাইনি। মালয়শিয়া থেকে ল্যাপটপ কিনলে এরকম ১০টা আইটেম ফ্রি দেয়, দেশে সব খাটাস, কেউ দেয় না এসব দরকারি জিনিষ। এলসিডি ক্লিনার টিস্যু পাওয়া যেতে পারে তবে অনেক দাম
২.কটন এর সফট কাপড় - অনেক সময় ল্যাপটপের প্যাকেটই ফ্রি দেয়া হয়।
৩. ব্রাশ- ল্যাপটপের সাথে না পেলে, রং এর দোকান থেকে ১০-১৫ টাকায় কিনতে পারবেন।
৪. পাম্প ব্লোয়ার- এটাও আমি দেশে কিনতে পাইনি, খুজে দেখটে হবে , তবে জিনিষটা ঠিক এমন - হাত দিয়ে পাম্প করতে হয়।
৫. কনটাক্ট ক্লিনার- খুবই দরকারি আর কাজের একটা জিনিষ। স্টেডিয়াম মার্কেটে পাওয়া যায় । দাম ১২০-১৫০টাকা। অনেক দিন যাবে। বাসার সব ইলেক্ট্রিক যন্ত্রেই ব্যাবহার করতে পারবেন। ( আমারে কেউ কিন্না দিয়েন , আমারটা শেষ হয়ে গেছে )
এইবার আসি কেমনে কি করবেন-
১. ল্যাপটপ স্ক্রিন
ল্যাপটপ স্ক্রীন এ ভুলেও মিঃব্রাশো মারতে যাবেন না। স্থায়ী দাগ পরা বা স্ক্রীন এর ক্ষতি হতে পারে।আগে পাম্প ব্লোয়ার দিয়ে লয়াপটপের সকল আলগা ময়লা পরিষ্কার করুন তারপর এলসিডি ক্লিনারদিয়ে কটন কাপড় দিয়ে হালকাভাবে এলসিডি পরিষ্কার করুন।
অনেকে আছেন , তার মডেমটি কি বোর্ডের উপর রেখেই ডালা হালকে ভাবে রেখে দেন। এরকম করলে ভুলবশত চাপ পরে গেলে স্ক্রিনটি চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে।
আরেকটি কাজ করতে পারেন স্বচ্চ্ছ ল্যাপটপ স্ক্রীন প্রটেক্টর কিনতে পারেন। আইডিবি সহ অনক জায়গাতেই পাওয়া যায়।তবে এই জিনিষ আমার অতটা দরকারি মনে হয় না, তবে যাদের বাসায় পিচ্চি আছে তাদের ব্যাবহার করা উচিত (পোস্ট এডিট করে এটা যোগ করলাম)
২.কুলিং ফ্যান।
কুলিং ফয়ান এ ময়লা জমা টা নির্ভর করে আপনি কেমন যায়গায় সেটা ব্যাবহার করছেন । ধুলাময় স্থানে ব্যাভার করলে তো বেশি হবেই । এক্ষেত্রে আপনি আপনার পাম্প বলোয়ার ইউজ করতে পারেন। আর বেশি সাহসী হলে কনটাক্ট ক্লিনার দিয়ে তারপর পাম্প করবেন। ভয় পাবেন না এটা আমি করে দেখেছি, ভাল কাজ দেয়। কুলিং ফ্যানে অনেকের শব্দ হয়, এভাবে করলে অনেক সময় শব্দ কমে যায়।
এভাবে যদি শব্দ/ নয়েজ না যায়, তখন ল্যাপটপ টা খোলা ছাড়া মনে হয় গতি নাই।
৩. কী বোর্ড
মিঃব্রাশো দিয়ে যদি এখহনও পরিস্কার করার ইচ্ছা থাকে তাহলে বলটে হবে আপনিো আপনার কীবোর্ডের কতগুলা কি কাজ করবেনা এমন অবস্ঠার জন্য প্রস্তুত। কারন মিঃব্রাশো দেবার কারনে কীবোর্ড এর বোতামের পিছনে থাকা সফট পিসিবি নস্ট হয়ে যায়।
এখানে আপনি ঐ পাম্প ব্লোয়ার এবং ব্রাশ ইউজ করে যতটুকু সম্ভব ময়লা সাফ করটে পারবেন।
কী বোর্ড এর জন্য এক ধরনের লিকুইড কিনতে পাওয়া যায়, খুব-ই ঠান্ডা অনুভুত হয় এটা ইউজ করলে। ওটাও বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিন জানি না। আমি পাই নাই
কখনও কাপর দিয়ে কিবোর্ড মুচতে যাবেন না, এতে কী কাপড়ের আশে লেগে কী উঠে যেতে পারে। সাবধান
কী -বোর্ড প্রটেক্টর নামে পাতলা রাবারের একটা আবরন কিনতে পাওয়া যায়। ১৫০ থকে শুরু এর দাম। এটা ইউজ করা বু্দ্ধিমানের মত হবে। অনেক ছোটখাটো। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় অনেক সময় চা বা জুস জাতিয় তরল খাবার সময় ল্যাপটপে পড়ে যায়। যেহেতো কীবোর্ড দিয়ে ই এগুলা ঢোকে তাই এই প্রোটেক্টর আপনার ল্যাপটপকে সেফ রাখবে।
৪. পুরা বডি
এমনিতে হালকা কটন কাপর দিয়ে পরিস্কার করে ফেলবেন। এখানে আপনার চোখ টা ঠিকমত লক্ষে রাখবেন। আর যেসব খাজ থাকে সেখানে ব্রাশ লাগাবেন।
ল্যাপটপ পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন(!)
আপনার ল্যাপটপে একটা ব্যাটারি আছে,। নস্ট হবার মধ্যে এটা সবার আগে পড়ে। কারন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ইুজ করা হয় ল্যাপটপে আর এগুলার লাইফ স্প্যান ৪০০-৬০০ ফুল চার্জ & ডিসচার্জ সাইকেল হয়। মানে আপনি যদি মোবাইল ফোনের মত একে চার্জ দিয়ে ফুল করে আবার শেষ করতে থাকেন আর এভাবেই চালাতে থাকেন তাহলে অচীরেই আরেকটা ব্যাটারি কিনটে হবে।
নতুন ল্যপটপের ক্ষেত্রে প্রঠমবার ৮ ঘন্টা বন্ধ রেখে তো ল্যাপটপ ব্যাটারি চার্য অবশ্যই করবেন আর কেনার পর প্রথম সপ্তাহে মোট চারবার চার্য & ডিসচার্য করে ল্যাপটপ ইউজ করবেন। মানে তখন ল্যাপটপ বন্ধ রেখে ৪ ঘন্টনা চার্য দিয়ে শুধু ব্যাটারি দিয়ে চালিয়ে আবার চার্য শেষ করে আবার চার্য দিবেন। এতে বা্যাটারি ফুল পারফর্মেনস এর জন্য তৈরি হবে। তবে এরকম চার্য ডিসচার্য করে ইউজ কারার ডরকার আর নেই। পরবর্তিতে এরকম যত করবেন তত ব্যাটারীর লাইফ সাইকেল কমবেআর চার্য দেবার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ পাবার চেস্টা করবেন, রাতে ডেয়াই তাই ভাল চার্যের জন্য।
সাধারনভাবে চেস্টা করবেন এসি সাপ্লাই দিয়ে চালানোর জন্য। আবার বেশি সময় যাতে এসি সাপ্লাইয়ে না চলে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। কারন তাতে ও ব্যাটারির ক্ষতি হবার সম্ভাবনা প্রচুর। তাই ভাল নিয়ম হল বেশিক্ষহন এসি সাপ্লাইয়েতে চালালে ব্যাটারি কুলে ইউজ করেন। এতে সমস্যা হবে যে কারেন্ট চলে গেলে লয়াপটপ অফ হয়ে যাবে।
আবার ফুল চার্য ব্যাটারি ল্যাপটপে বেশিদইন রাখা ঠিক না। তাই প্রতি ৮-১০ দইন পর পর হলেও ব্যাটারিকে ডিসচার্য করতে সুজোগ দিন।
অনেক দিনের জন্য ল্যাপটপ বাসায় রেখে চলে যাচ্ছেন, কেউ ইউজ করবে না?? তাহলে ব্যাটারি খুলে রেখে পলিথিনে মুড়িয়ে রাখুন আর ল্যাপটপকে তার ব্যাগে রেখে (সিলকা জেল যেন থাকে ব্যাগের ভেতর) না বেশি গরম না বেশি ঠান্ডা এমন জায়গায় রেখে বেরিয়ে যান ।
(উফফফফফফ...। ম্যালা লিখে ফেলছি... মাথা ব্যাথা করছে। সব লিখতে পারলাম না ।ভাই মাফ করেন অনেক্ষন প্যাচাল পারলাম। বিরক্ত হৈলে বৈলেন , আর লিখুম না। )
মন্তব্য থেকে নেয়া-
শোভন এক্স বলেছেন: দেশের বাজারে ল্যাপটপের স্ক্রীন পরিস্কারের জন্য যে লিকুইড পাওয়া যায়, কেউ ভুলেও সেটা ব্যাবহার করবেননা। ওর মধ্যে স্পিরিট দেয়া থাকে যা ল্যাপটপের স্ক্রীনের জন্য হারাম। ক্যামেরার লেন্স ক্লিনারেরও একই অবস্থা। ঐ ফ্লুইড দিলে লেন্সের কোটিং উঠে যায়। সবচে ভালো ক্লিনার হলো মাইক্রো ফাইবারের কাপড় হালকা ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মোছা।
একটু এডিট করলাম
কী -বোর্ড প্রটেক্টর নামে পাতলা রাবারের একটা আবরন কিনতে পাওয়া যায়। ১৫০ থকে শুরু এর দাম। এটা ইউজ করা বু্দ্ধিমানের মত হবে। অনেক ছোটখাটো। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় অনেক সময় চা বা জুস জাতিয় তরল খাবার সময় ল্যাপটপে পড়ে যায়। যেহেতো কীবোর্ড দিয়ে ই এগুলা ঢোকে তাই এই প্রোটেক্টর আপনার ল্যাপটপকে সেফ রাখবে।