বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুৎ এর প্রকট এই সমস্যায় মানুষের নিরবিচ্ছিন্ন কম্পিউটিং উপভোগ করার জন্য সামান্য দাম বেশি দিয়ে হলেও একটা ডেস্কটপের চেয়ে ল্যপটপ কেনাটাকেই প্রাধান্য দেয়
আর দিবেও বা না কেন, কারন ক টাকাই আর দাম বেশি পরে? ৩ ঘন্টা ব্যাকাপের জন্য আইপিএস কিনতে গেলে ডেস্কটপের যা দাম পরবে সেটা হিসাব করতে গেলে ল্যাপটপ এর দাম অনেক কম-ই মনে হবে।
আগে ডেস্কটপ ইউজ করেছে উইনডোজ সেটাপ দেয়া ডালভাত হয়ে গেছে এরকম মনে করে সেই ডালভাত ল্যাপটপের উপর প্রয়োগ করতে যান অনেকই। কিন্ত সামান্য কিছু বিষয় না জানার জন্য অনেক প্রবলেমে পরতে হয় অনেকের। আর এর ফায়দা নেয়- ল্যাপটপের সার্ভিস সেন্টার গুলা। কোনখানেই তো ১০০০টাকার নিচে কেউ সার্ভিস করে না। সেটা শুধু উইন্ডোস সেটাপ হলেও। আইডিবি-র কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা হাবে ভাবে অনেক কিছু দেখাবে, কাজের বেলায় ঠনঠন তারাও ১৫০০টাকা চেয়ে বসে শুধু উইন্ডোজের জন্য। আমার আগে ধারনা ছিল আইডিবির টেকনিক্যল লোকগুলা অনেক কিছু জানে। কিন্তু বাস্তবে তাদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি আসলে কিছুই পারেনা, শুধু সিডি ঢুকিয়ে নেক্সট নেক্সট করা ছারা। তবে রিশিত,এবিসি কম্পু এর কয়েকজনকে বেশ ভাল লেগেছে। এই কথাগুলা আসলে বলা আপনাদের সাবধান করার জন্য, কোন প্রবলেমে আপনারাই গুগলের সাহায্য নিয়ে অনক কিছু সলভ করতে পারবেন যেগুলা আইডবিতে নিলে আজগুবি সমাধান শুনবেন। উল্টা টাকাও খসবে...
সমস্যা ১:
উইনডোস ভিসতা বা সেভেন সেটআপ হয়, এক্স পি হয় না:
খুব কমন সমস্যা। এটা হয় কারন এখনকার সব ল্যাপটপেই সাটা মুড ahci mode করা থাকে। আপনার এক্স পি ভার্সনটি যদি এই মুড সাপোর্ট না করে তাহলে একটা ব্লু স্ক্রীন দিয়ে রিস্টার্ট হয়ে যাবে। ভয় পাবার কিছু নেই। আপনি একটি সাটা মুড এনাবলড সিডি দিয়ে ট্রাই করলে হয়ে যাবে। ( রিকমেন্ডেড পদ্ধতি- কারন- সাটা মুডে হার্ডিস্ক আই/ও এর স্পিড বেশি থাকে, ৩জিবি/সে)
অথবা- বায়োসে ঢুকুন। এটা ঢুকতে হলে ব্র্যান্ড ভেদে ডেল (del) কী অথবা এফ২ কী প্রেস করতে হবে।
এরপর সাটা মুড এ যেতে হবে। ahci mode টা ডিসেবল দিন। কোন কোন ব্রান্ড এ ahci mode আর IDE মুড শো করে। ওখানে IDE মুড টা সিলেক্ট করে দিন। এরপর এফ১০ কী দিয়ে সেভ করে বের হয়ে আসুন।
তারপর আপনার পুরানো এক্সপি সিডি দিয়েই যথারিতি সেটাপ দিন।
সমস্যা২
এত্ত ফাস্ট কোর সিরিজের প্রসেসর কিন্তু এক্সপিতে স্লো কেন!!
মাইক্রোসফট উইন সেভেন কে প্রমোট করার জন্য এখন সব ল্যাপটপ ম্যানুফেকচার কোম্পানিকে বাধ্য করে সেভেন দিয়ে প্রোডাকট বের করতে। তাই সব ড্রাইভার গুলা সেভেনে খুব ভাল চলে। আর ওয়েবসাইটেও ড্রাইভার গুলা সেভেন সাপোর্টেড থাকে।এক্সপির জন্য নয়। আর কোর সিরিজের ( কোরে আই৩, আই ৫, কোর৭) প্রসেসরগুলা এক্সপির চেয়ে অনেক ভাল পারফর্মেন্স দেয় সেভেনে।
বাংলাদেশে কাস্টমাররা এক্সপিতেই সুবিধা বেশি পাওয়ার কারনে দোকানগুলাতে এক্সপি দিয়ে দেয়। এগুলার ড্রাইভার অন্য মডেল ঘেটে ঘুটে কেদে কেটে বের করা। সবক্ষেত্রে সঠিক ড্রাইভার দেয়া হয় না , তাই পারফরমেনস ভাল পাওয়া যায় না।
তাই পরামর্শ হল যদি আপনার ল্যাপটপে এক্সপি-ই চালাটে হয় তাহলে ডুয়েল কোর বা কোর টু ডুয়ো প্রসেসর এর ল্যাপটপ কিনুন। কারন এগুলার এক্সপি ড্রাইভার এভেইলেবল এবং নেটেও পাওয়া যায়।
সমস্যা ৩
ড্রাইভার ইন্সটল
ল্যাপটপ কেনার সময় আমরা অনেকেই খুশিতে ল্যাপটপ পেয়েই ভুলে যাই অন্য দরকারি কথা। যেমন ড্রাইভার ডিভিডি। অনেক সময় ও এস দেবার সময় ড্রাইভার ভুলে দোকানেই রেখে চলে আসেন অনেকে।এই ভুল করা যাবে না।
একটা ড্রাইভার ডিভিডি তে যেই ড্রাইভার নেই সেই ড্রাইভারেরও সফটওয়ার দেয়া থাকে। গণ হারে অনেক ড্রাইভার দেয়া থাকে। ভুলে ওগুলা ইন্সটল করে ফেললে বিপদেই পরবেন।
তাই সবচে ভাল হল ওরিজিনাল ওএস সহ লয়াপটপ কেনা। কারন এগুলার রিকভারি হার্ডিস্কেই থাকে, যখন তখন সিডি ছাড়াই ইন্সটল করা যায়। একারনে এগুলার সাথে কোন সিডি দেয়া হয় না। নিয়ম হল এরকম উইন্ডোস সহ ল্যাপি কিনলে কেনার পরপরপই রিকভারি টি ডিভিডিতে বার্ন করে ফেলা। এটা কেনার সময় দোকান থেকে দেখে নিবেন অবশ্যই।
আর যদি পাইরেটেড ওএস দিয়ে নেন তাহলে অবশ্যই ডিভিডি ড্রাইভার থাকবে। সেখান থেকে শুধুমাত্র দরকারি ড্রাইভার গুলা আলাদা করে হার্ডিডস্সকে কপি করে দিতে বলুন কেনার সময়-ই। নইলে অপ্রয়োজনীয় ড্রাইভার ইন্সটল করে পিসি হ্যং বা স্লো এর মত সমস্যায় পরবেন। আবার যখন ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যাবে- এই ড্রাইভার নিতে আপনার মিনিমাম ১০০০ টাকা শেষ হবে। কারন আপনি বুঝবেন না কোন ড্রাইভারের জন্য কোন কোন সফটওয়ার দিতে হবে।
আজ আর নয়, হাত ব্যথা হয়ে গেছে। এত খানি পড়তে যদি আগ্রহ পান তবে পরে কিছু লেখার আশা রাখি।
একটা টিপস- সবসময় যেই ব্রান্ড সেইটার সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস নেবার চেস্টা করবেন। ওয়ারেন্টি শেষ হবার আগেই আপনার ড্রাইভার ব্যকাপ বা জিগ্গাসা জেনে নিবেন অবশ্যই।
শুভ কামনা।
____________________________
৫ অক্টোবর ২০১০
পরবর্তী পর্ব
ল্যাপটপের যত্ন আত্তি- কিছু টিপস
ছোট ল্যপটপ নেটবুক নিয়ে কতকথা। টিপস- দামদর
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪২