আসবে। তারা আগে থেকেই কিভাবে জানতেন যে ছেলে হবে তা জানি না। হয়ত একটা মেয়ের পর ছেলেই আশা করে মানুষ।
তখনকার কথা কিছুই আমার মনে নেই। তবে ঘটনাগুলা পরে এতবার শুনেছি যে এখন ভাবলে মনে হয় পুরোটাই আমার চোখের সামনে ঘটেছে। চোখ বন্ধ
করলে দেখতে পাই বড়চাচী আমাকে কোলে নিয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে আছেন। ঘরে আম্মুর কাছে ছিল নানি আর একজন বয়স্ক মহিলা। হাসপাতালে নেয়ার সময়
পাওয়া যায়নি। আমি কান্নাকাটি করছি আম্মুর কাছে যাওয়ার জন্য। চাচী যতোই আমাকে শান্ত করার জন্য পিচ্চিটার আগমন বার্তা দেয় আমি ততোই জোরে
চিৎকার দিয়ে কাঁদি। পিচ্চি আসুক তাতে আমার আপত্তি নাই কিন্তু চাচীর কথা মতো যদি আমার খেলনায় ভাগ বসায় সেটা আমি সহ্য করব কেন? তখন কি
আর জানি, শুধু খেলনা না আমার মাও যে আর আমার একার নেই।
ভাই জন্মানোর আগে চেঁচামেচি করলেও পরে নাকি আমি ওকে খুবই আদর করতাম। আর আমার ভাই ছোটবেলায় অনেক কিউট ছিল। ছবি দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০