আলপাইন-দিনারীয় ও গঙ্গারিডি রাজ্য
কোন কোন নৃবিজ্ঞানী প্রায ৩০০০ বছর আগে সেন্ট্রাল এশিয়ার (বর্তমানে চীনদেশের অন্তর্গত) টাকলামাকান মরুভূমি থেকে আলপাইন জাতিভুক্ত একদল লোকের ভারত আগমণ ও বঙ্গ সহ আসাম ও উডিষ্যায় বসতি স্থাপনের উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে উপমহাদেশে আগমনকারী আলপাইনরা বঙ্গ, পুন্ড্র ও সুহ্ম এই তিন উপজাতিতে (Tribe) বিভক্ত ছিল। আলপাইনরা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা নিজ এলাকায় বৈদিক আর্যদের আগ্রাসন হাজার বছর পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয। অতুল সুরের মতে, ‘ভারতে আগমণের দেড় হাজার বৎসর পর পর্যন্ত, বৈদিক আর্যরা বাঙলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি ( ^ সুত্রঃ ৯ )। খ্রীস্টপূর্ব হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গে, ভাগিরথি ও পদ্মানদীর মধ্যবর্তী স্থানে একটি শক্তিশালী অনার্য রাজ্যের বিবরণ বিভিন্ন সুত্রে নিশ্চিতভাবে অবহিত হওয়া যায়। গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার খ্রীস্টপূর্ব ৩২৬ সালে ভারত আক্রমণ করেন। তবে তিনি ভারতে স্থায়ী না হয়ে পরবর্ততে আলেকজান্দ্রিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। তার ভারত ত্যাগের পশ্চাতে বর্তমান পদ্মা উপত্যকায় ’গঙ্গারিড’ নামে একটি রাজ্য ও জাতির ভূমিকার উল্লেখ পাওয়া যায়। গ্রীক ও ল্যাটিন সুত্রের গঙ্গরিড এর বিভিন্ন বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, গঙ্গারিড রাজ্য ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। পেরিপ্লাস (Periplus) এবং টলেমীর (Ptolemy) গ্রন্থে গঙ্গরিডি রাষ্টের উল্লেখ আছে। খ্রীস্টপূর্ব প্রথম শতকে গ্রীক ঐতিহাসিক ডিডোরাস সিকোলাস (Deodorus Siculus) তার 'Bibliotheca Historica' গ্রন্থে গঙ্গরিডকে একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার উদ্ধৃত মতে গঙ্গারিড রাজ্যে ২০০০০ অশ্বারোহী, ২০০০ চক্রযান, ৪০০০ হস্তীযুথ ও ২ লক্ষ পদাতিক সৈন্য ছিল। প্রায় একই মত প্রকাশ করেছেন কারটিয়াস (Curtius)। প্লুটার্চ (Plutarch) ৮০ হাজার অশ্বারোহী, ৮ হাজার ঘোড়ায় টানা সামরিক যানের উল্লেখ করেছেন। তবে সকলের মতে পদাতিক সৈন্যের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ। কথিত আছে যে, গঙ্গারিডদের প্রতিরোধের মুখে বিশ্বস্থ কমান্ডার কনোসের (Counus, মৃত্যু খ্রীস্টপূর্ব ৩২৬ সাল) পরামর্শে আলেকজান্ডার ভারত ত্যাগ করে আলেকজান্দ্রিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। এ প্রসঙ্গে ' বাংলার ইতিহাস হিন্দুযুগ’ এর রচিয়তা আর.সি.মজুমদার এর মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য, তিনি উল্লেখ করেছেন, "গ্রীক ও ল্যাটির লেখকদের বর্ণনা থেকে অনুমিত হয় যে আলেকজান্ডারের আক্রমণের সময় গঙ্গরিডি জাতি অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ছিল। তারা প্রসিওই দের সাথে হয় দ্বৈত রাজত্ব স্থাপন করেছিল, নতুবা তাদের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্বন্ধ স্থাপন করে বিদেশী আগ্রাসনের বিরোদ্ধে জোটবদ্ধ হয়। যখন আলেকজান্ডার বিয়াস পৌছে গঙ্গা অতিক্রম করার প্রস্তুতী নিচ্ছেলেন, তখন তিনি অবগত হন যে গঙ্গরিধি ও প্রাসিওই এর রাজা একটি শক্তিশালী বাহিনী নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। সামান্যের জন্য যুদ্ধের বিভিষিকা এড়ানো গেল। মেসিডোনিয়া অধিপতির যুদ্ধক্লান্ত সেনাধ্যক্ষগণ তাদের প্রভুকে বোঝাতে সক্ষম হন যে হাইডাসপেস এবং তথা থেকে বেবিলনে প্রত্যাবর্তন করাই সে মুহুর্তে উত্তম। ( ^ সুত্র ১০)”
অনেকের মতে গুজরাট, মাদ্রাজ. তামিল. অন্ধ্র, কর্ণাটক ও ইন্দোনেশিয়ায় বঙ্গজাতি (ভাগিরথী ও পদ্মা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে রাজ্যের অবস্থিতির প্রেক্ষিতে বঙ্গজাতি বলে উল্লেখ করা হচ্ছে) বা গঙ্গারিডি রাজ্যের অধিবাসীরা তৎকালে বিস্তার লাভ করেছিল। খ্রীস্টপূর্ব ৭ম থেকে খ্রীস্টপূর্ব ৩য় শতক পর্যন্ত ভিয়েতনামে অনার্য বঙ্গ জাতির শাসন কায়েম ছিল। খ্রীস্টপূর্ব ৫৪৪ সালে বঙ্গের রাজকুমার বিজয় সিংহ শ্রীলঙ্কা বা সিংহল জয় করেন। ১৯৬০ খ্রীস্টাব্দে বর্ধমানে পান্ডুরাজার ঢিবি খনন করে প্রাচীন অনার্য় সভ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনেকের মতে এই সভ্যতার কাল খ্রীস্টপূর্ব এক হাজার বৎসর পূর্বকার। এ থেকে বঙ্গে অনার্য শক্তিশালী জাতির বসতি ও রাজ্য স্থাপনের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মহাস্থান গড়ে প্রাপ্ত একটি লিপি থেকে জানা যায় যে খ্রীস্টপূর্ব ৪র্থ শতকে মৌর্যরা বঙ্গ অধিকার করে। মৌর্যরা আর্য জাতির লোক। তাদের শাসনের মধ্য দিয়ে বঙ্গে আর্য শাসন ও বসতির বিস্তার লাভ করে।
কেউ কেউ আলপাইনদের দলছুট বঙ্গীয় গোত্রকে আর্যদেরই একটি উপদল বলে মনে করেন। তাদের মতে আর্যদের মধ্যে অনেকে বৈদিক ধর্মকর্মে অবিশ্বাসী ছিল। বৈদিক আর্যরা তাদেরকে স্বধর্মচ্যুত হিসাবে ঘৃণার পাত্র মনে করত এবং ব্রাত্য বলে অভিহিত করত। জি. এ. গ্রীয়ারসন আলপাইনদেরকে outer Aryans বলে বর্ণনা করেছেন ( ^ সুত্র ১১)।
আলপানীয়দের নিয়ে দেশি-বিদেশি পন্ডিতদের মাঝে কিছু টানাটানি লক্ষ্য করা যায়। এইচ.এইচ.রিজলী ও রমাপ্রসাদ চন্দ যাদেরকে আলপাইন বলে অভিহিত করেছেন, বিরজাশংকর গুহ তাদেরকে অ্যালপো-দীনারীয় এবং প্রখ্যাত জার্মান নৃতাত্বিক গবেষক ফন আইকস্টেডট (Von Eicxted) তাদেরকে ’ব্রাকিড’ বা গোলমুন্ড নরগোষ্ঠি বলে উল্লেখ করেছেন। নীহাররঞ্জন রায়ের বাঙালীর ইতিহাস আদি পর্বে উল্লেখ করেছেন, ” আলপাইন জনের বংশধররা বর্তমানে ভারতবর্ষের ছড়াইয়া আছে নানাস্থানে - গুজরাট, মধ্যভারতে, বিহারে, ’নাগর’ ব্রাহ্মণদের মধ্যে, বাঙলায় ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য এবং উপরের বর্ণস্তরের সকলের মধ্যে। সর্বত্র সমানভাবে একই বৈশিষ্ঠ বিদ্যমান নাই, এ কথা সত্য; কিন্তু ভারতবর্ষে গোলমুন্ড, উন্নতনাস মানুষের রক্তধারা যেখানে যে পরিমাণে আছে তাহার মূলে এই গোলমুন্ড, উন্নতনাস অ্যালপাইন নরগোষ্ঠি উপস্থিত” (^ সুত্র ১২) । এই বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যে নীহাররঞ্জন রায় স্পষ্টতই ফন আইকস্টেডেট এর মত সমর্থন করছেন। এখানে ফন আইকস্টেডেট একটি ব্যাপক গবেষণার ভিত্তিতে উপমহাদেশের অধিবাসীদেরকে তিনটি প্রধান নরগোষ্ঠিতে ভাগ করেছেন, যথাঃ ভেড্ডিড , মেলানিড এবং ইন্ডিট। ইন্ডিট নরগোষ্ঠিকে তিনি পুনরায় যথার্থ ইন্ডিট, উত্তর ইন্ডিট, এবং ব্রাকিড এই তিন শাখাতে বিভক্ত করেছেন। ব্রাকিডদেরকে তিনি পুনরায় পশ্চিম ব্রাকিড (মহারাষ্ট্রের অধিবাসী), পূর্ব ব্রাকিড (বঙ্গ ও উড়িষ্যার অধিবাসী) এবং দীর্ঘদেহী ব্রাকিড নামে তিনটি শাখায় বিভক্ত করেছেন। বাংলায় বসবাসকারী আলপাইনদেরকে পূর্ব ব্রাকিড হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তার মতে ইন্ডিটরা আর্যভাষী ও সিন্ধুসভ্যতার উত্তরাধিকারী।
এটা সর্বস্বীকৃত যে বঙ্গদেশে গোলমুন্ড মধ্যএশীয় একটি জাতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। হরপ্পা মহোঞ্জদারোতেও গোলমুন্ড মানুষের কংকাল পাওয়া গেছে। তবে তাদেরকে আর্যদের উপগোত্র, এমনকী তাদেরকে হরপ্পা সভ্যতার স্থপতি হিসাবে চিহ্নিত করার জন্য একটি অগ্রহণযোগ্য প্রচেষ্টা কিছু কিছু পন্ডিতের মধ্যে লক্ষ্য করা যায। কেবল মাথা ও নাকের বিচার দিয়েই একটি জাতি বা গোষ্ঠির নির্ণয় করা যায় না। দেহ বৈশিষ্টের সাথে তার সভ্যতা সংস্কৃতির স্বরূপকেও অনুধাবন করতে হয। প্রাচীনকালের মানুষ তার জীবিকার জন্য নিজ নিজ ক্লান (Clan) এর মধ্যে বাস করত, আবার নিরাপত্তা ও জীবিকার জন্য ব্যবহৃত ভূভাগ আগলে রাখার জন্য বা ঋতুভেদে বিচরণ স্থল পরিবর্তনের জন্য একটি ট্রাইবের মধ্যে নিজেদেরকে সংগঠিত রাখত। ট্রাইবের (Tribe) সংহতি রক্ষার্থে তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্যের প্রতি তার যত্মবান থাকত। ফলে সংস্কৃতির ভাঙ্গাগড়া, পরিবর্তন ও বিকাশের মধ্যেও মানবজাতির বিবর্তন ও বিকাশের বিষয়টি নিহিত থাকে।
মোঙ্গলীয় নরগোষ্ঠিও গোলমুন্ডের এবং অস্ট্রালয়েডদের মধ্যেও উন্নত নাসার ছাপ আছে। এছাড়া সিন্ধু সভ্যতা স্থাপনকারীগন যে মধ্যপ্রাচ্যাগত বা সুমেরীয় সভ্যতা পত্তনকারীদের গোত্র, এ বিষয়গুলো বিবেচনায় আনলে দেখা যাবে হিসেব এলোমেলে হয়ে যাচ্ছে। সিন্ধুসভ্যতা পত্তনকারী ও আর্যজাতি বা আর্যভাষীদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির উপকরণের বৈপরীত্যই প্রমাণ করে যে হরপ্পার দালান কোঠার অধিবাসী ও অরণ্যচারী আর্যদের মধ্যে কোন সম্বন্ধ নাই। উপমহাদেশে আগমণকারী প্রায় সকলেরই মূল উৎস আফ্রিকা এবং মাধ্যমিক উৎস মধ্যপ্রাচ্য। আলপাইনদের ভাষার কোন বিবরণ না পেয়ে এবং তাদের সভ্যতা সংস্কৃতির বৈশিষ্ঠ বিবেচনায় না এনে তাদেরকে আর্য়গোত্রভুক্ত করার কোন জোরালো যুক্তি নেই। বিশেষত আলপাইনদের ভাষা যে বৈদিক সংস্কৃত ছিল না, সে বিষয়ে অনেকেই একমত। তা ছাড়া আলপানীয়রা বা গঙ্গারিডবর্গ আর্যদের সাথে সম্পর্কিত থাকলে বঙ্গে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রভার লুপ্ত হওয়ার কথা নয়। সুতরাং এটা বরং কিছুটা গ্রহণযোগ্য যে এরা দ্রাবিড় ভাষী ছিল, সেজন্য তাদের কোন স্বতন্ত্র ভাষা আজো পাওয়া যায় না। আলপাইনদে কে দ্রাবিড় হিসাবে বিবেচনা করলে ইতিহাসের আরেকটি গ্যাপ পূর্ণ হয। সিন্ধুসভ্যতা পত্তনকারীরা নগর জীবনে অভ্যস্থ ছিল। সিন্ধুসভ্যতা ধ্বংস হওয়ার পর তারা সেখান থেকে উপমহাদেশের আরো গভীরে প্রবিষ্ঠ হলেও তাদের দ্বারা কোন নগর বন্দর পত্তনের প্রমাণ পাওয়া যায় না, ব্যতিক্রম হল বর্ধমানে প্রাপ্ত পান্ডু রাজার ঢিবি। এখন আলপাইনদের যদি সিন্ধুসভ্যতার কোন উপজাতি মনে করা হয়, এবং পান্ডু রাজার ঢিবিস্থিত স্থাপনা তাদের নির্মিত বলে মনে করা হয়, তাহলে বঙ্গে তাদের রাজ্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঐ গ্যাপ টুকু পূরণ করা যায়। অবশ্য গ্রীয়ার্সন ও রমাপ্রসাদ চন্দ উভয়ে উপমহাদেশের কিছু কিছু ভাষাতে আলপাইনদের ভাষার আলামত পেয়ে তাদেরকে আউটার আর্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত পক্ষে এরা আর্যবহির্ভূত উপজাতির অংশ এবং দ্রাবিড়ভাষী লোকসমাজের অন্তর্গত। গ্রীয়ার্সনের ও রমাপ্রসাদ চন্দের এমত এখনো সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হয়নি। বিশেষতঃ রবার্ট রিজলী উপমহাদেশীয়দের গোলমুন্ড বৈশিষ্ঠকে মঙ্গোলীয় বলায় আউটার আর্যতত্ববাদীগন তার উপর অত্যন্ত নাখোশ হয়েছেন। অবশ্য রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার সাথে রবার্ট রিজলীর মতের মিল আছে। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, ”বঙ্গবাসিগণকে জাতি নির্বিক্ষশেষে দ্রাবিড় ও মঙ্গোলীয় জাতির সংমিশ্রণের ফল বলা যাইতে পারে।” (^সুত্র ১৩)
পরিশেষে বলা যায় যে অস্ট্রালয়েড ভিত্তি স্বীকার করেও আর্য হওয়ার বাসনায় ব্রাত্য বাঙালি জাতির শোণিতে আর্য আভিজাত্য প্রদানের জন্য দিনারিয বা আলপাইনকে আর্যজাতি ভুক্ত করার প্রয়োজন নাই। পরবর্তী পরিচ্ছেদগুলোতে বাঙালির উদ্ভবে বিষয়টি আরো পরিস্কার হবে।
পূর্বসুত্রঃ
১. কে আদিবাসী? বাঙালি ও বাঙলার বিবর্তনঃ প্রসঙ্গ - অস্ট্রালয়েডঃ ১ম পর্ব
২.কে আদিবাসী? বাঙালি ও বাঙলার বিবর্তন প্রসঙ্গ - দ্রাবিড় জাতি ২য় পর্ব
৩.কে আদিবাসী? বাঙালি ও বাঙলার বিবর্তন প্রসঙ্গ - আর্য জাতি ৩য় পর্ব
^ সুত্র ৯. ড. অতুল সুর, বাঙলা ও বাঙালীর বিবর্তন, সাহিত্যলোক, কলকাতা, ২০০১ (প্রথম প্রকাশ ১৯৮৬, পৃ ১৮
^ সুত্র ১০. The History of Bengal Volume-1 Hindu Period, N. V. Publications, Patna, reprint 1971, Page 44
^ সুত্র ১১. G.A.Grierson: Linguistic Survey of India : vol.v, Calcutta, 1929
^ সুত্র ১২. নীহাররঞ্জন রায়, বাঙালীর ইতিহাস আদি পর্ব, দেজ পাবলিশিং, পৃ ৩৩
^ সুত্র ১৩. রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়, বাঙ্গালার ইতিহাস ১ম খন্ড, নবভারত পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৭১, পৃ ১৮
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২১