

সমকামিতার ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। ইসলামী ইতিহাস মোতাবেক লুত নবির সময় এর প্রকোপ বহুগুনে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং লুত নবির উপদেশ না শুনায় স্বযং আল্লাহ এদেরকে ধ্বংস করেন। কারণ দুজন ফিরিস্তা বালকবেশে নবির বাড়িতে এসে বিপাকে পড়েন সমকামিদের হাতে। লুত নবি তাদের বাঁচানোর জন্য নিজের দু মেয়েকে অফার করলেও, সমবেত সমকামি জনতা তাতে কান দেয়নি। ফলে আল্লাহ গজব দিয়ে তাদের রক্ষা করেন। অবশ্য এটা আমার একটা মহফিলে শুনা। কোন রেফারেন্স দিতে পারব না। তবে বর্তমান বিশ্বে বিশেষত ইউরোপ ও আমেরিকায় এটা প্রকাশ্যেই কোন লজ্জাভয় বা রাখঢাক না করেই সবাই প্রকাশ করে। আমাদের দেশেও সমকামির সংখ্যা কম নয়। চট্টগ্রাম এবং সিলেটে এর প্রকোপ বেশী। চট্টগ্রামে সুন্দর ছেলেদেরকে গোরা পোয়া বলার মধ্যে সমকামিদের ছাপ পাওয়া যায়। সিলেটে সমকামি ছোট ছেলে যারা প্যাসিব রোলে থাকে তাদেরকে গাইরা বলে। স্কুল কলেজের ছাত্র ও ছাত্রাবাসের যারা থাকে (স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র বা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণার্থী।) তাদের মধ্যেও দেখা যায় এর প্রকোপ। সামরিক বাহিনীতে পাইন মারা সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আমাদের জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। আব্দুল করিমের একটি বিখ্যাত গানেও সমকামির উল্লেখ আছে। যেমন, ''আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম.....আমরা ঘাটুগান গাইতাম।'' ঘাটু হল সিলেট অঞ্চলে সমকামিদের ব্যবহারের জন্য অল্প বয়স্ক বালক। ফলে বাংলাদেশে এটা নুতন নয়। এরা নাচগান করে মানুষের মন ভোলায়। তুরস্ক ছাড়াও কয়েকটি মুসলিম দেশে সমকামিতা বহুল প্রচলিত। আর জার্মান হচ্ছে সমকামিদের স্বর্গ। বাংলাদেশে শিক্ষিত ছেলেদের মধ্যেও সমকামিতা আছে। যারা বাম কানে রিং পড়ে তারা কি সংখ্যায় কম? জেনারেশন৭৫ এর সাম্প্রতিক ব্লগে মন্তব্য করার সময় তাৎক্ষণিক চিন্তা থেকে দেয়া হল এ পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২