টিপ আমাদের সংস্কৃতি, হিজাব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চাপিয়ে দেওয়া পোষাক। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চাপিয়ে দেওয়া আরও কিছু বিষয়ের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াতেই হবে।
--
আরও কিছু ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছি:
✍ আজ থেকে ১০ বছর আগেও আবহমান গ্রাম বাংলাতে গেলে নারী সমাজদেরকে ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পেচিয়ে থাকতে দেখা যেতো। শুধুমাত্র সম্ভ্রান্ত নারী সমাজের জন্য ব্লাউজ পড়ার রেওয়াজ ছিলো।বহুদিন পর অন্য কারও গ্রামে বেড়াতে গেলাম, ওমা ঐতিহ্যবাহী সেই রেওয়াজ টোটালি উঠে গেছে। সংস্কৃতি ভুলে যাওয়া দেখে খুব মনে কষ্ট পেলাম। তারপর কিছুদিন আগে পরীমনি তার একটা সিনেমা প্রচারণাতে এসে বক্ষবন্ধনী ছাড়া ব্লাউজ ছাড়া পোশাকে ইন্টারভিউ দিলো। মেয়েটার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো। যত খারাপ ভাবছিলাম, তত খারাপতো সে না। হারানো সংস্কৃতি সে লালন করছে।
✍ কয়েকশত বছর ধরেই (১৯২৪ সাল পযন্ত) স্তন ঢাকার জন্য ট্যাক্স দিতে হতো ভারতের কিছু রাজ্যে। যত বড় স্তন, তত বেশি ট্যাক্স। এই ঐতিহ্য ভাঙ্গার জন্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দায়ি না। নানগেলি সর্বপ্রথম এই স্তন করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন অভূতপূর্ব উপায়ে। তিনি নিজের স্তনদুটো কেটে কলাপাতায় জড়িয়ে কর সংগ্রাহকের হাতে করের বিকল্প হিসেবে তুলে দেন। এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য কেউ কেউ আওয়াজ তুলতেই পারেন।
✍ হিন্দু পুরান নথিপত্র, দেওয়ালে অংকন কিংবা বিভিন্ন রাজা বাদশাদের যুগের বিভিন্ন ছবি ঘাটলে দেখা যায়, এ দেশের নারী সমাজ ড্রেসের ব্যাপারে উদার ছিলো, নগ্নতাই অশ্লীলতায় নয়, বানীতে বিশ্বাসী হয়ে তারা উপরিভাগকে অনেকটা উন্মুক্ত করেই চলতো। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ উপরিভাগতো ঢেকেছেই, হিজাবের নামে প্যাকেট করে দিয়েছে নারীদের। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চাপিয়ে দেওয়া পোষাকের ব্যাপারে বিদ্রোহী হয়ে পরীমনি সহ আরও কিছু মডেল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় উপরিভাগকে উন্মুক্ত করেই পোষাক করার চর্চা করে যাচ্ছে। ঐতিহ্যের ধারক নারীসমাজ পরীমনিদের হাতকে শক্ত করে তাদের সাথে আন্দোলনে পাশে দাড়ানো জরুরি মনে করছি।
*** বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোস্টটি আলোচনায় থাকার ধান্ধাতে করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৪