বুখারী-৫৪৯ : হাসান ইব্ন সাব্বাহ (র) .......... আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও যায়িদ ইব্ন সাবিত (রা) একসাথে সাহরী খাচ্ছিলেন, যখন তাঁদের খাওয়া হয়ে গেল- আল্লাহ্ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের) সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সালাত আদায় করলেন । কাতাদা (র) বলেন, আমরা আনাস (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তাঁদের সাহরী খাওয়া থেকে অবসর হয়ে সালাত শুরু করার মধ্যে কতটুকু সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, একজন লোক পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারে এতটুকু সময় ।
বুখারী-৫৫০ : ইসমাঈল ইব্ন আবূ উওয়াইস (র) .......... সাহল ইব্ন সা‘দ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পরিবার-পরিজনের সাথে সাহরী খেতাম । খাওয়ার পরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ফজরের সালাত পাওয়ার জন্য আমাকে খুব তাড়াহুড়া করতে হত ।
বুখারী-৫৯৪ : আহমদ ইব্ন ইউনুস (র) .......... আবদুলাহ্ ইব্ন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে । কেননা, সে রাত থাকতে আযান দেয়- যেন তোমাদের মধ্যে যারা তাহাজ্জুদের সালাতে রত তারা ফিরে যায় আর যারা ঘুমন্ত তাদের জাগিয়ে দেয় । তারপর তিনি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বললেন: ফজর বা সুবহে সাদিক বলা যায় না, যখন এরূপ হয়- তিনি একবার আঙ্গুল উপরের দিকে উঠিয়ে নীচের দিকে নামিয়ে ইশারা করলেন, যতণ না এরূপ হয়ে যায় । বর্ণনাকারী যুহাইর (র) তাঁর শাহাদাত আঙ্গুলদ্বয় একটি অপরটির উপর রাখার পর তাঁর ডানে ও বামে প্রসারিত করে দেখালেন । [ অর্থাৎ আলোর রেখা নীচ থেকে উপরের দিকে লম্বালম্বিভাবে যখন প্রসারিত হয়, তখন প্রকৃতপে ফজরের ওয়াক্ত হয় না । ইহাকে ‘সুবহে কাযিব’ বলা হয় । কাজেই এ রেখা দেখে ‘সুবহে সাদিক’ হয়ে গেছে বলে যেন কেউ মনে না করে । তবে যখন পূর্বাকাশে আলোর রেখা উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত হয়, তখনই প্রকৃতপক্ষে সুবহে সাদিক ।]
বুখারী-১৮২৭ : হুমায়দী (র) .......... ‘উমর ইব্ন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন রাত্র সে দিক থেকে ঘনিয়ে আসে ও দিন এ দিক থেকে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন সায়িম ইফতার করবে ।
বুখারী-১৮৩০ : ‘আবদুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ (র) .......... সাহল ইব্ন সা‘দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : লোকেরা যতদিন যাবত ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে ।