হে লোকেরা! তোমরা যারা ঈমান এনেছো, তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, যেমনি করে ফরয করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা (এর মাধ্যমে আল্লাহকে) ভয় করতে পারো; (২ : ১৮৩)
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
আয়াত : (রোযা ফরয করা হয়েছে) কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনের জন্যে; (তারপরও) কেউ যদি সে (দিনগুলোতে) অসুস্থ হয়ে যায় কিংবা কেউ যদি (তখন) সফরে থাকে, সে ব্যক্তি সমপরিমাণ দিনের রোযা (সুস্থ হয়ে গেলে অথবা সফর থেকে ফিরে এসে) আদায় করে নেবে; (এরপরও) যাদের ওপর (রোযা) একান্ত কষ্টকর হবে, তাদের জন্যে এর বিনিময়ে ‘ফিদিয়া’ থাকবে (এবং তা) হচ্ছে একজন গরীব ব্যক্তিকে (তৃপ্তিভরে) খাবার দেয়া; অবশ্য যদি কোনো ব্যক্তি (এর চাইতে বেশী দিয়ে) ভালো কাজ করতে চায়, তাহলে এ (অতিরিক্ত) কাজ তার জন্যে হবে একান্ত কল্যাণকর; তবে (এ সময়) তোমরা যদি রোযা রাখতে পারো তাই তোমাদের জন্যে ভালো; তোমরা যদি রোযার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে (যে, এতেই কল্যাণ রয়েছে!) (২ : ১৮৪)
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
আয়াত : রোযার মাস (এমন একটি মাস)- যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, আর এই কুরআন (হচ্ছে) মানব জাতির জন্যে পথের দিশা, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন, (মানুষদের জন্যে হক বাতিলের) পার্থক্যকারী, অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসটি পাবে, সে এ মাসে রোযা রাখবে; (তবে) যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে, সে পরবর্তী (কোনো সময়ে) গুনে গুনে সেই পরিমাণ দিন পূরণ করে নেবে; (এ সুযোগ দিয়ে) আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের (জীবন) সহজ করে দিতে চান, আল্লাহ্ তায়ালা কখনোই তোমাদের (জীবন) কঠোর করে দিতে চান না। আল্লাহর উদ্দেশ্য হচ্ছে, তোমরা যেন গুনে গুনে (রোযার) সংখ্যাগুলো পূরণ করতে পারো, আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের (কুরআনের মাধ্যমে জীবন যাপনের) যে পদ্ধতি শিখিয়েছেন তার জন্য তোমরা তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারো। (২ : ১৮৫)
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা : ইরাকী বোন মিস্কের কাছে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১০