আমার অসংখ্য প্রেমিক! ছিল, আছে, থাকবে! একেকজন একেকরকম। সবাই সবার থেকে একেবারেই আলাদা। কেউ শান্ত, কেউ অশান্ত। কেউ মুখচোরা, কেউ সম্পূর্ণ বিপরীত। কেউ বড্ড সিগারেটখোর। কেউ খুব নীতিবান। আছে ভীষণ ব্যস্ত প্রেমিক। আছে বদলে যাওয়া প্রেমিক। কারো আবার অগুণতি প্রাক্তন এবং বর্তমান প্রেমিকা! কেউ আমার জন্য পাগল, আবার কেউ কেউ আছে যারা কোনদিন আমাকে পাত্তাই দিলো না!
এমনিতে অবশ্য এদের কথা আমার মাথায় থাকে না। কিন্তু মন খারাপের সময় একেকজনকে একেকদিন খুব মনে পড়ে! যেদিন যাকে মনে পড়ে, তাকে ভেবে লিখে ফেলি দু'একটা বিষণ্ণ লাইন। সেগুলোকে কবিতা বললে অত্যুক্তি করা হবে! লাইনগুলো আলোর মুখ দেখে না কখনোই। ফোনের নোটবুক অ্যাপসেই থেকে যায় চুপচাপ।
আজ হঠাৎ টুকরো টুকরো কিছু লাইন সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো। পিসি না থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্লগে আর আসা হয় না তেমন, পোস্টও দেয়া হয় না। কারণ ফোনের ইকটুখানি কিবোর্ডে টাইপিং, এডিটিং, কাট-পেস্ট খুব ঝামেলার! অথচ কিছুদিন ধরেই একটা কিছু পোস্ট করতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই শেষমেশ এই সহজ আর রেডিমেড পোস্টই ভরসা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ১. দুয়েকটা কিঞ্চিত ১৮+
১. তোর কোন ভুল নেই, আমারও না। ঈশ্বর চাননি, তাই হলো না!
২. আসলে তোমার কোন ভুল নেই। আমারও না। আমাদের ব্যাকরণেই ভুল ছিল!
৩. দুঃখের ভাগ দিলে, আনন্দের ভাগ দিলে, শুধু জীবনের দিলে না!
৪. যে সবুজ বিন্দুর আশায় স্ক্রিনে তাকিয়ে পার করে ফেললাম ছাব্বিশ হাজার সাড়ে তিনশো ঘন্টা, সেটা আর কোনদিনই জ্বলেনি।
৫. এখনও অসময়ে প্রতিবার ভাইব্রেশনের সাথে চমকে উঠি! কাঙ্ক্ষিত ফোনটা আর কোনদিনই আসেনি।
৬. ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, আর কোনদিন কোনভাবে কোথাওই যেন তোর মুখোমুখি দাঁড়াতে না হয়! নিজেকে সামলাবার মত এতটা সাহস বা শক্তি কোনটাই আমার নেই।
৭. তোর জন্য কোথাও কেউ একজন আজও দু'ফোটা চোখের জল সংবরণ করে, এ ও কী কম পাওয়া!
৮. বুকের ভিতর ভাঙ্গনের শব্দ
টের পাও?
কান পাতো, দেখো অবিরাম জোনাক জ্বলে।
৯. একদিন তোমার প্রাক্তন প্রেমিকা হয়ে যাব। তখন আমাকে নিয়ে হবে কতো কাব্য, কবিতা, ছবি! কত বিষাদগাঁথা!
১০. ভুল সময়ে একজন ভুল মানুষের সাথে দেখা করিয়ে দেয়ার দায়ে ঈশ্বর নামক ব্যক্তিটি আজীবন দায়ী থাকবেন।
১১. আমি তোমার কাছে পৌঁছুতে পারিনা। মাঝখানে দেয়াল হয়ে থাকে তোমার অন্যান্য প্রেমিকারা!
১২. নিকোটিনের বিষে কালচে হয়ে যাওয়া ফুসফুসের নিশ্বাস আমাকে দিও না।
১৩. ধুম্রশলাকার চুম্বনের আবেদনকে যেদিন অনায়াসে অস্বীকার করতে পারবে সেদিন আমার ঠোঁটের দাবী জানাতে এসো!
১৪. আমৃত্যু তৃষ্ণার্ত রয়ে যাব তবু যে ঠোঁটে সিগারেটের অবাধ অধিকার, সেখানে ঠোঁট ছোঁয়াব না!
১৫. তুমি বরং ফিরেই যাও। যদি কোথাও যাবার থাকে!
১৬. একদিন দেখা হবে। ভাঙা কোন কফির কাপে। আমাদের পুরনো ছাদে।
১৭. তোমার দেয়া খুঁটিনাটি কষ্টগুলো যত্ন করে রাখা আছে। একদিন সময় হলে দেখতে এসো।
১৮. ব্যস্ত মানুষ ব্যবসায়ী হয়। প্রেমিক নয়।
১৯. আমার কিছু কথা ছিল। তোমায় বলার, কেবল তোমায় বলার, শুধু তোমার কোনদিন সময় হলো না শোনার!
২০. এ জন্মে প্রেমিকা ছিলাম। আর জন্মে তোমার ব্যস্ততা হয়ে জন্মাব!
২১. বৃষ্টিই যদি দেবে রোদ্দুর কেন দেখালে?
২২. কে বলেছে ভালোবাসা পুরনো হয় না? দিব্যি হয়। পুরনো থেকে জরাজীর্ণ হতে হতে ঘুণে খেয়ে ফোঁপরা করে দেয় কত ভালবাসা! প্রেমিকেরা সে খবর রাখেনা।
২৩. তোমার কবিতার খাতায় আমি আর থাকি না!
২৪. নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, নয়নের কী বা দোষ?
২৫. আমার আবেগের সাথে দৌড়ে পাল্লা দিয়ে পারবে, ততোটা সাধ্য তোমার নেই বালক। তুমি বরং তোমার বিবেক হাতড়াও!
২৬. তুমি তবু চুপ করেই রইলে! সব জেনে, সব বুঝেও!
২৭. তুমিও অন্য সবার মতই। তোমারও গাড়ি চাই। বাড়ি চাই। মেদহীন কোমরের নারী চাই। খ্যাতি চাই। ক্ষমতা চাই। তবে মিথ্যে কেন বলেছিলে দু বেলা অন্ন বস্ত্রের জোগান, প্রবল জ্বরে উষ্ণতার ভাগ নেবার মত উদ্বিগ্ন একটা হাত, একসাথে হেঁটে যাবার মত অফুরন্ত পথ, দোচালা টিনের ছাদের উপর ঝমঝম বৃষ্টি আর কৃষ্ণপক্ষের রাতে বসে গোণার মত আকাশভরা তারার উঠোন থাকলেই তোমার দিব্যি চলে যাবে?
২৮. আমি যাকে ভালবেসেছিলাম, সে তুমি নও। অন্য কেউ।
২৯. তুমি তবে ছিলে ক্ষণিকের অতিথি!
৩০. কবি তুমি মিথ্যে বলেছিলে..
৩১. আণবিক দূরত্বে থেকেও কত যোজন যোজন দূরে আমরা!
৩২. কতকাল ভালবাসোনি, তৃষ্ণায় পুড়ে গেল কত অতলান্তিক সাগর!
৩৩. একজন তোমাকে চাই। যে তোমাকে চাইলেই ছুঁয়ে দেয়া যায়!
৩৪. আমি তোমাকে বয়ে যেতে দেখি। ক্ষয়ে যেতেও!
৩৫. আমি তোমাকে বদলে যেতে দেখি। সাথে আমাকেও!
৩৬. তোমার ভালোবাসার একচ্ছত্র অধিপতি আমি নই!
৩৭. একদিন আমি আর থাকব না। অথচ আজ চাইলেই আমাকে রেখে দিতে পারতে!
আপাতত এ পর্যন্তই!
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ২. এরা সবাই আমার কাল্পনিক প্রেমিক!!!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০১