এই দেশে ডাক্তার মিলনেরা আছে, আছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহরা, তেমনই আছে মজিদ আর মীরজাফরের বংশধর আজকের গোআ, নিযামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামানেরা। এই দেশে মানুষের কথা বলা লোক যেমন আছে, তেমন আছে ধর্মের আবরণে ঢেকে '৪ বিবির সাথে দাসী ফাও' ফতোয়া দেয়া মানুষরূপী কুকুরেরা।
এই কুকুরেরা যৌন পেশাজীবি দেখলেই নাক শিটকায়, আস্তাগফিরুল্লার ঝড় বইয়ে দেয়; কিন্তু সুযোগ পেলেই বাসার কাজের মেয়ের গায়ে হাত দেয়, ছেলেমেয়েকে ইউরোপ আমেরিকায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজে দেশে থেকে ধর্ম ব্যবসা করে, আমেরিকার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে।
যৌনজীবন মানুষের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও এই অশিক্ষিত দেশবিরোধী ধর্মব্যবসায়ীদের কাছে তা কেবলই লুকোছাপার বিষয়, সরাসরি কিছু আলোচনা করতে বাধে; কিন্তু পথেঘাটে মেয়ে দেখলেই তাদের ঈমান খাড়িয়ে যায়। মুখে তওবা আস্তাগফিরুল্লা জপতে থাকলেও দেখা যায় কাজের মেয়ের পেট বাধিয়ে বসেছে।
যৌবনযাত্রা বাংলাদেশের নেটপ্রেমীদের কাছে একটি হাইলি ভিজিটেড সাইট, আলেক্সা র্যাঙ্কিংয়ে ২০/৩০এর মধ্যে আছে। যৌবন মানেই অশলীল নয়, যৌন আলোচনা মানেই রাখঢাক লুকোছাপার বিষয় নয়, মানুষের জীবনের এই সহজাত জিনিসের জ্ঞানার্জন কোনো অন্যায় নয়। এজন্যই এই বিশাল সংখ্যক মানুষ যারা যৌবনযাত্রা ভিজিট করে, তারা অস্বাভাবিক কিছুই করে না। নিজের কাছে সৎ হলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রত্যেকটা মানুষই স্বীকার করবে এগুলো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ী মজিদদের কাছে ঈমানের চেয়ে বড় দাড়ি, তাদের নিজস্ব মনের আঁধারগুলো এরকম কিছু পেলেই ফুঁলেফেঁপে ওঠে, তাদের ঈমান ভায়াগ্রা ছাড়াই দাঁড়িয়ে টনটনে হয়ে যায়। দেশ গেল, জাত গেল, কূল গেলো বলে চিল্লায়, স্বাধীনতাবিরোধী শুয়োরের বাচ্চারাও তখন স্বাধীনতা অপবিত্র হলো বলে মাতম তোলে।
কোনো কোনো অতি সুশীল আছেন, যারা রিয়েল লাইফের দোহাই দিয়ে নেট জগতে রাজাকারদেরকে অবাধে বিচরণ করতে দিতে চান, কেউ রাজাকার োন্দালে তাকে ভার্চুয়াল যোদ্ধা বলতে ছাড়েন না। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেট একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এটা আর কেউ না বুঝলেও রাজাকারেরা বুঝে। তাদের সৌদি টাকার মগবাজারী বোনাসে তাই ব্লগে ছাগু নামে, ফোরামে ছাগু ল্যাদায়, জনপ্রিয় সাইটগুলোতে রাজাকারী মতবাদ প্রকাশের মহড়া দেখা যায়। এই ভ্রান্ত এবং দেশবিরোধী মতবাদ প্রকাশ প্রতিরোধ করা তাই অতি জরুরী, কোনো মগবাজারীয় অতি সুশীল যা-ই বলুক না কেন। মিডিয়ার চেয়ে শক্তিশালী কোনো বস্তু পৃথিবীতে নাই।
মিডিয়া হিসেবে হাইলি ভিজিটেড যৌবনযাত্রা সাইটও রাজাকার, আল-বদর-পিস কমিটির যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে। সামহোয়্যারইন ব্লগের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করে যাচ্ছেন, সহব্লগার অমি পিয়াল তাদেরই একজন। তার এই প্রতিরোধকে তিনি আরেকটি জনপ্রিয় সাইটেও অর্গানাইজ করায় তাকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা।
রাজাকার নিপাত যাক। জামাত শিবির নিপাত যাক। যুদ্ধাপরাধী নিপাত যাক।
Click This Link
১. ১০ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৩৮ ০