১
দূরে থাকা মেঘ তুই দূরে দূরে থাক
যতটুকু পারা যায় সামলিয়ে রাখ
মন মন সে তো পাল ছেড়া তরী
যতদূরই যাক সে সবটুকু তোরই।
সবটুকু কতটুকু একরত্তির
সবকথা শেষ হলে এক সত্যির।
মুখোমুখি হতে হয় নির্ঘুম রাতে,
তুমি আমি সব্বাই সকলের হাতে।
তারপরও ওরে মেঘ দূরে দূরে থাক
ফাগুনের হাওয়া এলে সামলিয়ে রাখ।
মন মন সে তো কত কথা বলে
তার কথা শুনে কেউ ঝাঁপ দেয় জলে।
উড়ে এসে জুড়ে বসে এক সুখ পাখি
সুখ পাখি গান গায় কেউ শোনো তা কি!
কার গান কোন গান তুমি কিছু জানো?
জানো যদি তবে কেন এত কাছে টানো।
তারপরও ওরে মেঘ দূরে দূরে থাক
ফাগুনের হাওয়া এলে সামলিয়ে রাখ।
শ্রাবনের হাওয়া এলে সামলিয়ে রাখ।
দূরে থাকা মেঘ তুই দূরে দূরে থাক
উড়ে উড়ে উড়ে উড়ে দূরে দূরে থাক
উড়ে উড়ে উড়ে উড়ে দূরে দূরে দূরে দূরে...
দূরে থাকা মেঘ
এ্যালবাম, অতল জলের গান
২
কালো মেঘ জমেছে আকাশে
কালো মেঘ জমেছে আকাশে
এখনই অঝরে বৃষ্টি ঝরবে
তবু পাই না তোমাকে খুজে
পাই না তোমায় পাশে।
মেঘ ভেংগে অবিরাম বৃষ্টি ঝরে
সেই বৃষ্টির মাঝে একাকি দাড়িয়ে..
সময় কেটে যায়,বৃষ্টিও থেমে যায়
আমি হায়,তোমারই অপেক্ষায়।
তবু পাই না তোমাকে খুজে
পাই না তোমায় পাশে।
বৃষ্টি থেমে গেলে মেঘ সরে যায়
মেঘ সরে গিয়ে সূর্যটা উকি দেয়..
তবু আমি শুধু ভাবি
হয়ত তুমি আসবে এখনই।
তবু পাই না তোমাকে খুজে
পাই না তোমায় পাশে।
কালো মেঘ জমেছে আকাশে
এখনই অঝরে বৃষ্টি ঝরবে
তবু পাই না তোমাকে খুজে
পাই না তোমায় পাশে।
কালো মেঘ
গায়ক- সজীব
৩
মেঘ বলেছে 'যাব যাব', রাত বলেছে 'যাই',
সাগর বলে 'কূল মিলেছে-- আমি তো আর নাই' ॥
দুঃখ বলে 'রইনু চুপে তাঁহার পায়ের চিহ্নরূপে',
আমি বলে 'মিলাই আমি আর কিছু না চাই' ॥
ভুবন বলে 'তোমার তরে আছে বরণমালা',
গগন বলে 'তোমার তরে লক্ষ প্রদীপ জ্বালা'।
প্রেম বলে যে 'যুগে যুগে তোমার লাগি আছি জেগে',
মরণ বলে 'আমি তোমার জীবনতরী বাই' ॥
মেঘ বলেছে 'যাব যাব'
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪
মেঘের 'পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে।
আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের পাশে।
কাজের দিনে নানা কাজে থাকি নানা লোকের মাঝে,
আজ আমি যে বসে আছি তোমারি আশ্বাসে॥
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা,
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা।
দূরের পানে মেলে আঁখি কেবল আমি চেয়ে থাকি,
পরান আমার কেঁদে বেড়ায় দুরন্ত বাতাসে॥
মেঘের 'পরে মেঘ জমেছে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫
বুঝিনি এতটুকু তোমাকে
হারিয়েছিলাম স্বপ্নের ঘোরে
কতটা পথ ঘুরে এসেছি
তুমি বন্ধু আমার ছিলে পাশে
মেঘের পরে আলোর ভিড়ে
তুমি প্রথম চেয়েছিলে
বুঝিনি আমি
তোমাকে দেখে
রেখেছ যে কত মায়াতে.......
বুঝতে দাওনি কেনো আমাকে
সাজিয়েছ যা হৃদয়ে
ছায়া হয়ে ছিলে পাশে
বল কি করে যাবো তোমায় রেখে
মেঘের পরে আলোর ভিড়ে
তুমি প্রথম চেয়েছিলে
বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
রেখেছ যে কত মায়াতে......
.
আবেগী এ মনে তোমাকে
আজ চেয়েছি দু'চোখ মেলে
এখানে যা ছিলো অজানা
বলোনি কেন প্রাণ খুলে?
মেঘের পরে আলোর ভীড়ে
তুমি প্রথম চেয়েছিলে
বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
রেখেছ যে কত মায়াতে.......
মেঘের পরে
গায়ক, তাহসান
৬
মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর
মন খারাপের দিস্তা
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়,
ব্যাকুল হলে তিস্তা।
মন খারাপের খবর আসে
মন খারাপের খবর আসে
বন পাহাড়ের দেশে
চৌকোনো সব বাক্সে
যেথায় যেমন থাকসে
মন খারাপের খবর পড়ে দাড়ুন ভালবেসে।
মেঘের ব্যাগের ভেতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিওনের পাড়ি
পাকদন্ডী পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ী।
বাগান শেষে সদর দুয়ার,
বারান্দাতে আরাম চেয়ার
গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি
সেথায় এসে মেঘ পিয়নের সমস্ত ব্যাগ খালি।
দেয়াল জুড়ে ছোট্ট রোদের ছায়া বিশালকায়
নিস্পলকে ব্যাকুল চোখে তাকিয়ে আছে ঠায়
কিসের অপেক্ষায়
রোদের ছুড়ি ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত
রোদের বুকের ভেতর ক্ষত
রোদের ছুড়ি ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত
রোদের বুকের ভেতর ক্ষত
সেই বুকের থেকে টুকটুক টুক নীল কুয়াশা ঝরে
আর মন খারাপের খবর আসে আকাশে মেঘ করে।
সারা আকাশ জুড়ে।
মেঘের দেশে রোদের বাড়ী পাহাড় কিনারায়
যদি মেঘ পিয়নের ডাকে সেই ছায়ার হদিস থাকে
রোদের ফালি তাকিয়ে থাকে আকুল আকাঙ্খায়
কবে মেঘের পিঠে আসবে খবর বাড়ীর বারান্দায়
ছোট্ট বাগানটায়
মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর
গায়ক, শ্রীকান্ত আচার্য
৭
হাত ধরেছে পৃথিবী চাঁদ আছি পথে দুজন
পথের মোড়ে সূর্য এসে ঘটায় চন্দ্রগ্রহন..
তোমার পথে ধূলির কণায় আমার বিচরণ
তবু মনে মেঘ জমিয়ে ঘটাও মনের গ্রহন।
মানছি সবই মেঘেরই দোষ মেঘ ঢেকেছে মন
বলতে পারো আমি না মেঘ কে বেশি আপন।
চাঁদে গ্রহন কখন ঘটে কেউ রাখে না খোঁজ
মনের গ্রহন ভাবায় কাদায় সকাল দুপুর রোজ..
মানছি সবই মেঘেরই দোষ মেঘ ঢেকেছে মন
বলতে পারো আমি না মেঘ কে বেশি আপন।
চাঁদের উপর পড়লে ছায়া,ছায়া সরে যায়
পড়লে মনে ছায়ার আড়াল,মনটা যে কাদায়..
মানছি সবই মেঘেরই দোষ মেঘ ঢেকেছে মন
বলতে পারো আমি না মেঘ কে বেশি আপন।
মেঘের দোষ
গায়িকা, মিলা
৮
মেঘ থম থম করে কেউ নেই
জল থই থই করে কিছু নেই
ভাঙনের যে নেই পারাপার
তুমি আমি সব একাকার
মেঘ থম থম করে কেউ নেই।
কোথায় জানিনা, মেঘ ছিল যে কোথায়?
সীমানা পেরিয়ে সব মিশে যেতে চায়
মেঘ থম থম করে কেউ নেই
জল থই থই করে কিছু নেই
আঁধারের যে নেই পারাপার
মেঘ থম থম করে কেউ নেই।
পুরানো সব নিয়ম ভাঙে অনিয়মের ঝড়
ঝড়ো হাওয়া ভেঙে দিল মিথ্যে তাসের ঘর।
নুতন মাটিতে আসে ফসলেরই কাল
আঁধার পেরিয়ে আসে আগামী সকাল।
রাত ঘুম ঘুম ভোরে জাগে ঐ
রোদ ঝলমল করে দেখ ঐ
বাতাসের যে নেই হাহাকার
পথ নেই যে পথ হারাবার
রাত ঘুম ঘুম ভোরে জাগে ঐ।
মেঘ থম থম করে
গায়ক, ভূপেন হাজারিকা
৯
আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে
নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার
গল্প করার এইতো দিন
মেঘ কালো হোক মন রঙিন
সময় দিয়ে হৃদয়টাকে
বাঁধবো নাকো আর
আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে
নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার
আঁধারো ছায়াতে
চেয়েছি হারাতে
দু'বাহু বাড়াতে
তোমারি কাছে
যাক না এমন এইতো বেশ
হয় যদি হোক গল্প শেষ
পূর্ন হৃদয় ভুলবে সেদিন
সময় শূন্যতার
আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে
নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার
আকাশ এতো মেঘলা
গায়ক, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়
১০
আমার সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি – তোমাকে দিলাম
শুধু শ্রাবণ সন্ধ্যাটুকু তোমার কাছে চেয়ে নিলাম।
হৃদয়ের জানালায় চোখ মেলে রাখি
বাতাসের বাঁশিতে কান পেতে থাকি
তাকেই কাছে ডেকে, মনের আঙিনা থেকে
বৃষ্টি তোমাকে তবু ফিরিয়ে দিলাম।
তোমার হাতেই হোক রাত্রি রচনা
এ আমার স্বপ্ন সুখের ভাবনা
চেয়েছি পেতে যাকে, চাইনা হারাতে তাকে
বৃষ্টি তোমাকে তাই ফিরে চাইলাম।
বৃষ্টি তোমাকে দিলাম
গায়ক, শ্রীকান্ত আচার্য