নারীদের মুরগি আর পুরুষদের শেয়ালের সাথে তুলনা করা কোন সমাধান নয়। এটা সত্য যে, শিশু ও নারীরা কিছু ব্যক্তির কাছে সত্যি নিরাপদ নয়। এই যে , এত ধর্ষণ হয়, শিশুরা এবিউজ হয়, এর জন্য বিচারিহীনতার পাশাপাশি সবার অসচেতনতাও দায়ী। সেক্ষেত্রে অল্প বয়সী মেয়েদের সতর্ক করা যেতে পারে। আজকাল ভালো ও মন্দ স্পর্শ নিয়ে কিন্তু অনেক সচেতনতামূলক আলাপ হয়। হয়, কারণ, নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য এটার দরকার আছে। তবে সচেতনতা তৈরি করতে গিয়ে নারীদের মুরগি আর পুরুষদের শিয়ালের সাথে তুলনা করাও ঠিক শোভন নয়। এটা উভয়পক্ষের জন্যই অপমানজনক। কেননা, নারীরা মুরগি নয় যে, তাদেরকে শুধু লাভজনক কারণে বন্দী করে পুষবেন। পরনির্ভরশীলতা নারীদের জীবনকে আরো কষ্টকর করে তুলবে। বরং নারী ও টিন এজ মেয়েদেরনদের সচেতন হতে হবে।
এটা ঠিক যে, কিছু নারী ব্যক্তিস্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে এত বেশি উগ্র জীবন যাপন করে যে, শেষ পর্যন্ত নিজের প্রতিও আত্মসম্মান রাখতে পারে না। নিজের জীবনকে এভাবেই জটিল বানিয়ে ফেলে তারা। মিডিয়ার নারীদের একের পর এক আত্মহত্যা, প্রেম বিয়ে নিয়ে স্ক্যান্ডালগুলো এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই চলে আসে। শুধু মিডিয়ার নারী কেন, অনেক সাধারণ নারীদের মধ্যেও ইদানিং মাদকাসক্তি, হতাশা, বিষন্নতা, আত্মহত্যা বেড়ে যাচ্ছে। এগুলো কোন স্বাভাবিক জীবন যাপন নয়। কোথায় গিয়ে থামতে হবে, এটা অনেকেই বোঝে না, ফলে জীবনটাকে বিষাক্ত বানিয়ে ফেলে।
স্বাধীনতা মানে নিজের অধীনে থাকা। এটা আগে বুঝতে হবে। কী করলে পরিনতি কী হবে, এটা মনে রাখলে নিজেকে আর মুরগি মুরগি মনে হবে না। মুরগি হয়ে থাকতে চাইলে সুযোগসন্ধানীরা আরো বেশি ক্ষতি করবে। চাইলে পোষ না মানা বাঘিনীও মনে হতে পারে। আর সুযোগসন্ধানী পুরুষ, যারা নারীর অসহায়ত্ব, দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে থাকে, তাদের মধ্যেই বা কয়জন শান্তিতে আছে? নিজের আয়নার সামনে সবাইকেই দাঁড়াতে হয়। ওখানে নিজের মুখ দেখতে লজ্জা করবে না? সবাই তো আর ক্ষমতাধর বিশিষ্ট শিল্পপতি বা জনপ্রিয় নায়ক(!) নন যে, সব সামাল দিয়ে ফেলতে পারবেন! সুতরাং শুধু শুধু শেয়াল তকমা কেন নিজের ঘাড়ে নেবেন? তারচেয়ে বরং মানুষ হোন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২২