কবিতার খাতা নিয়ে বসা হয় না আর,
শিল্পায়নের স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে
ইট, সিমেন্ট এর ভাঁজে ভাঁজে
সমাহিত করে ফেলেছি কাব্যিকতা।
এইত কিছুদিন আগেও
হঠাৎ করেই মনের ভেতর হানা দিত শব্দরা
বলত, আমাদের সাজাও, কবিতা লিখে নাও।
এখন আর আসেনা তারা,
মনের দরজায় আঘাতে আঘাতে
রক্তক্ষরণ ঘটলেও শব্দক্ষরণ হয় না।
ইচ্ছেঘুরি গুলোর সুতো কেটে গেছে
অব্যক্ত বোবা যন্ত্রনারাও নীরব।
আধুনিক কবিদের কবিতা পড়ি,
সেখানেও শুরু থেকে শেষে
প্রতিটি শব্দের উৎস থেকে প্রয়োগে
নারী দেহের গোপনাঙ্গ উন্মুক্ত করার
কি সুনিপুণ প্রয়াস।
সেটা নাকি আবার মুক্তমনা কাব্য!
সভ্যতার ভিড়ে দমবন্ধ হয়ে যেন,
উন্মুক্ত হয়ে নিঃশ্বাস নেয়ার অপচেষ্টা।