বাংলা ভাষার নব্য বানান রীতির প্রয়োগ অবলোকন করিয়া আমার জ্ঞান লোপ পাইবার অবস্থা। নীচের লিখাখানা অনুগ্রহ করিয়া দেখিবার জন্য পাঠকদিগের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি;
"বাংলা ভাষা জানা কতোটা প্রয়োজন!" শিরোনামের পোস্টে নতুন বাংলা বানান রীতি দেখিতে পাইলাম। আপনারাও লক্ষ্য করুনঃ
========
আমি একজন বাঙ্গালী এবং "নিযেকে" বাঙ্গালী হিসেবে পরিচয় দিতেও ভালোবাসি। আমি যে পরিবেশে "বেরেউঠেছি", সেখানে আমি বাংলা ভাষার সাথে আরও ৫টা ভাষার সহাবস্থান দেখেছি। সেই দিক থেকে বলতেগেলে আমি বাংলার সাথে আরও ৫টা ভাষা বেশ ভালোকরে বলতে ও বুঝতে পারি। আমার মা বাবা বাঙ্গালী এবং তারা বাংলাতেই কথা বলেন। কিন্তু তারাও অনেক "ভাসা যানেন"। আমি নেপালী, হিন্দি, ইংলিশ, মারাঠি, অসমীয়া বলতে পারি। এবং ইংলিশ, বাংলা, হিন্দিতে লিখতে পারি। কিন্তু এই সব "ভাসার" মধ্যে আমার ইংলিশ খুব সহজ বলে মনেহয়। এতে মনের ভাব প্রকাশ করা যেমন সহজ ঠিক তেমনি, লেখাও সহজ। ঠিক সেই কারনেই আমাদের দেশে ইংলিশ কে বেশি প্রেফার করাহয়। "তাছারা" আমাদের দেশের "সমস্থ" সরকারী কাজ ইংলিশ এ হয়। আমাদের ওয়েস্ট বেঙ্গল, সমস্থ সরকারী কাজ বাংলাতে করার আদেশ জারি করেছিল। কিন্তু তা ১ মাসের মধ্যেই মুখথুবড়ে পরে। কারন বাংলাতে সরকারী কাজের "বিধিন্ন" প্রতিশব্দ খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারনে আবার ইংলিশ চালু হয়। তাছারা ইংলিশ এর আনেক গুরুত্ত আছে। একে একে বলিঃ
১) বাংলা থেকে ইংলিশ আনেক সহজ।
২) বাংলার থেকে ইংলিশ এ স্পেলিংমিস্টেক হবার চান্স কম।
৩) ইংলিশ একটা ইন্টারন্যাসানাল ভাষা।
৪) গ্লোবের সব জায়গায় ইংলিশ চলে, বাংলা চলেনা।
৫) হায়ারস্টাডি করতে গেলে ইংলিশ ছারা গতি নেই।
৬) কম্পিউটার এর মূল ভাষা ইংলিশ।
৭) ইংলিশ ছারা কম্পিউটার সায়েন্স এর কথা ভাবাজায়না।
৮) ইংলিশ মানুষকে দেশের বাইরের চিন্তা করতে সেখায়।
৯) দেশের বাইরে চাকরি করতে গেলে ইংলিশ ছারা সম্ভব নয়।
১০) যে সব দেশ ইংলিশ এর গুরুত্ত বুজেছে, সেসব দেশের উন্নতি আনেক দ্রুত হয়েছে।
========================
এই জন্যই বাংলা বাদ দিয়া ইংরেজীর জন্য এত দরদ! এই ব্লগে বাংলার অপমান না করিয়া আপনার পদ্ধতিতে দাদাদের জন্য নতুন একখানা বাংলা ব্লগ প্রস্তুত করিয়া সেইস্থানে পড়িয়া থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৪