১৪ তলা বিল্ডিং এর উঁচু ছাদ থেকে একজন মানুষ কিভাবে নিচে পড়ে তা দেখতে ইচ্ছে করেছিল খুব কিন্তু আমার হাইট ফোবিয়া আছে। নিচে না তাকিয়ে পাশের গ্লাসটা তুলে নিয়ে চুমুক দিলাম আমি।
ছাদের রেলিংটায় পা ঝুলিয়ে বসে পড়ে আকাশের দোল পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে দেখতে হাসি পেয়ে গেলো। আমি বোকার মত অপেক্ষা করছি জোসেফ ফিরে আসার, ও নিচে পড়ে গিয়ে নিশ্চয়ই থেঁতলে গেছে, মগজ ছিটকে বের হয়ে গেছে হয়তো তবুও আসবে জো। তারচে আজ কি দিবস তা নিয়ে ভেবে কিছুটা সময় কাটানো যাক কিন্তু হঠাত্ বিকট শব্দে সেলফোন বেজে উঠলো। এখন পকেট থেকে সেলফোন বের করতে যাওয়ার মানেই ১৪ তলার নিচে পড়তে হবে আমাকে। কি দরকার একবারে জীবনটাকে শেষ করার? আব্বু কল করেছে জানি, তার কল রিসিভ না করলেও চলবে আপাতত, সে দূরের একজন।
আব্বু, লোকটার কথা মনে পড়লেই আমার নিজেকে খুব দুঃখী লাগে। আম্মুর সাথে ঝামেলা করে রুকাইয়া আন্টিকে বিয়ে করে আমাদের রেখে চলে গেলো। লোকটা চলে যাওয়ার পর আমি ভেঙে পড়ি, বাবা থেকেও নেই এই কষ্টটা আমাকে তাড়া করতো সবসময়। ...লোকটা অবশ্য এখনো ভালোবাসে আমাকে, নিজের সন্তান বলে কথা..... সিগারেটের প্যাকেটের দিকে হাত বাড়ালাম ।বেনসনের দাম ৮ টাকা হয়ে গেছে, আর কত যে বাড়বে!
হু, আম্মুটাও বিয়ে করে ফেললো কয়েকদিনের মাঝে তার কলিগকে, এফেয়ার তাদের মাঝে আরো আগে থেকেই ছিল। দাঁত চেপে মেনে নিয়েছিলাম সব কারণ এছাড়া আর উপায় ছিলোনা। বিয়ের ঠিক ১ মাস পর গভীর রাতে অগোচরে আমার রুমে যখন আম্মুর নতুন হাজব্যাণ্ড আসলো, সেই কি চিত্কার আমার..... আমার চিত্কারে আম্মু এসে আমাকে বলে আমি নাকি তার নিউ হাবিকে শরীর দেখিয়ে এট্রাক্ট করতে চাই, নইলে কি তার হাজব্যাণ্ড আমার রুমে আসবে কেনো। হাঃ হাঃ হাঃ কি অদ্ভুত কথা! নিজের ক্যারেক্টারলেস জামাইয়ের পক্ষ নিতে জন্ম দেয়া মেয়েকে এই কথা বলতে পেরেছিলো আমার মা, হাঃ হাঃ হাঃ!
নাহ্! আজকাল এলকোহল পেটে সইছে না হাসতে গিয়ে বমি হয়ে গেলো। মুখ মুছে তাকিয়ে দেখি জোসেফ দাড়িয়ে আছে সামনে,
- আজ কি ৯ পেগের উপরে খেয়ে ফেলছিস?
- উফ! জো আবার আসছিস? এত জ্বালাচ্ছিস ক্যান আমাকে?
- ৯ পেগের বেশি? মিক্সড নাকি র?
- র খেয়েছি। তুই বারবার ফিরে আসিস ক্যান?
- তোকে ভালোবাসি তাই।
আমি সামলাতে পারলাম না, প্রচণ্ড ঘোরগ্রস্ত অবস্থায় চিত্কার করে গাইতে লাগলাম,
"So if you love me let me go
And run away before I know
My heart is just too dark to care
I can't destroy what isn't there
Deliver me into my fate
If I'm alone I cannot hate
I don't deserve to have you
My smile was taken long ago
If I can change I hope I never know"
আমি হাসতে লাগলাম, জোসেফ আমার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে চোখ মুছিয়ে দিল। তখন আমি খেয়াল করলাম আমি আসলে কাঁদছি কিন্তু সেটা হাসির মত শোনাচ্ছে। কি অদ্ভুত! আমি ৪৭% এলকোহল পরিপূর্ণ হুইস্কির গ্লাসটা শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ছুড়ে মারলাম জোসেফের মুখের দিকে, গ্লাসটা ভেঙে কাচের টুকরোগুলো ছড়িয়ে গেলো চারিদিক। আমি আর ওর দিকে আর না তাকিয়ে হাত পা ছড়িয়ে ছাদে শুয়ে রইলাম, আমার চিন্তা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে....।
আম্মুর আজেবাজে কথা শোনার পর আমি ঐ রাতেই বাসা ছেড়ে আমার নামে লিখে দেয়া ফ্ল্যাটে উঠে এসেছিলাম কাঁদতে কাঁদতে। সব জেনে আব্বু সুলেমান চাচাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলো আমার ফ্ল্যাটে। ধীরে ধীরে পাল্টে গেলো জীবন, ভার্সিটি আর এক বিশাল ফ্ল্যাট এর মাঝে আমার গণ্ডী সীমাবদ্ধ, অন্ধকার এক জগতে বাস করতাম বাইরের পৃথিবীকে তীব্র ঘৃণা করে। দিনরাত মেটাল গান, সিগারেট, হাত কেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে থাকা, তেতো স্বাদের সোনালী তরলে ভেসে চলছিলাম আমি। আমি এমন একটা লাইফ লিড করছিলাম যেটাকে মূলত লাইফ বলা যায় না কি বলে তাও জানিনা।
ভার্সিটির সবাই যখন লুতুপুতু প্রেমের অভিনয়ে ব্যস্ত তখন জোসেফের সাথে পরিচয়, দারুণ বন্ধুত্ব। জোসেফ কিছুটা বিচ্ছিরিরকমের ভালো ছেলের মতন, জীবনে সিগারেটে টান দেয়নি, বাপ মায়ের একমাত্র আদরের লুতুপুতু চশমা পড়া ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। আমি প্রায়ই বলতাম ক্লাসের সবাইকে, ওর মা যে আদর করে মে বি জোসেফের ব্যাকপেক খুললে এখনো ফিডার পাওয়া যাবে। আমার মত ভালোবাসাহীনতায় বেঁচে থাকা মেয়ের মাথায় ঢুকতো না ভার্সিটি পড়ুয়া একটা ছেলে কি করে বাপ মায়ের এত আদরের হতে পারে এখনো। কিন্তু এই অদ্ভুত ছেলেটা যে কি করে আমার জীবনে জড়িয়ে গেলো জানলাম না আমি।
জো আমার ফ্ল্যাটে আসতো, সামনে বসে আমার সিগারেটের ধোয়া সহ্য করতো, ড্রিংকস করার পর পাগলামি দেখতো। ব্লেড দিয়ে হাত কাটতাম, ও যত্ন করে কাটা হাত ফার্স্ট এইড করতো। ও প্রায়ই আমাকে সময় দিতো যাতে আমার সোনালী তরল গেলার মাত্রা কমে...
আমি ওর কারণে সব ছেড়ে দিলাম, সিগারেট মদ সব। তাই বলে কেউ যদি ভাবে আমাদের প্রেম সেটা ভুল কারণ ভালোবাসায় আমরা কেউ বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু অনুভূতি তো কিছু না কিছু ছিলই যেটাকে কোন শব্দে বন্দী করা যায় না।
জো এর একটা একোস্টিক গিটার ছিল, আমি চোখে মুগ্ধতা নিয়ে ছয়টি তারে ওর আঙুল চালানো দেখতাম। ও আমাকে শিখিয়েছে জীবন কি...... আমরা সব ধর্মী ছিলাম। ফ্যামিলি থেকে আমি মুসলিম আর জোসেফ ক্রিশ্চান। কিন্তু জোসেফ নামায পড়তে মসজিদে যেতো, প্রতিটা পূজায় ও আমাকে শাড়ি কিনে দিতো। সারাজীবন জিন্স ফতুয়া পড়া আমি সেই শাড়ি, শাঁখা আর সিঁদুর পড়ে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরতাম। সবচে মজা হতো ক্রিসমাসে, জো আর আমি বাপের টাকা দিয়ে হিউজ গিফট কিনতাম। দুজনে সান্তাক্লজের ড্রেস পরে গভীর রাতে রাস্তায় ঘুমন্ত পথশিশুদের পাশে গিফট চুপিচুপি রেখে আসতাম। ভাবতে খুব ভালো লাগতো যে এই ছোট ছোট বাচ্চাগুলো সকালে ঘুম থেকে উঠে কতটা অবাক হবে!
আমি জেনেছিলাম যদি কেউ সত্যিকার অর্থে মানুষের প্রতি ভালোবাসা রাখে সেটাই সব কিছুর উর্ধ্বে, সেই ভালোবাসায় কোন ধর্ম থাকেনা কোন বর্ণ থাকেনা।
জো আমাকে রাতের ঢাকা ঘুরিয়ে শিখিয়েছিল যে জীবনটা আমার একার না সেটা সবার জন্য তারচে বড় ব্যাপার আমার থেকে দুঃখী আরো অনেকে আছে।
চুলে হাতের স্পর্শ পেলাম,
- দিয়া
- উমম্.....কথা বলিসনা ভাবছি আমি।
- চুলে হাত বুলিয়ে দিব? ভালো লাগবে তোর।
- না ছাদের দরজা লাগিয়ে দে সুলেমান চাচা খবর নিতে আসতে পারে। তার আগে প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট।
- অলরেডি ২ প্যাকেট শেষ। আরো খাবি?
- আজকে পুরা পিনিকে চলে যাব, কিচ্ছু মানবোনা।
- আজ আর না প্লিজ।
- ধুরররর শালা! দূরে গিয়া মর!
দেখলাম জো ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে। ভাঙা গ্লাসের কাঁচগুলো ওর পায়ে ঢুকে ওকে রক্তাক্ত করছে....
ও হ্যা যা বলছিলাম আর কি, আমরা বৌদ্ধদের পূর্ণিমা রাতে প্যাগোডায় গিয়ে ফানুস উড়াতাম, ব্যাপারটা আমার অনেক প্রিয় ছিল। ঐটা ছিল মাঘী পূর্ণিমা, ফানুস উড়িয়ে কিছুটা ঝোকের বশেই জোসেফকে বললাম মাওয়ায় পদ্মার চরে ইলিশ ভাজা খাবো, কিছু দোকান ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। জো কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রাজি হয়ে গেলো। আমরা সেই মাঘের শীতে কুয়াশায় এক পিক আপ ভ্যানে উঠে পড়লাম রাত ৩টার দিকে, এটাও আমার জোরাজুরিতে।
মাছভাজা খেয়ে চরে দুজন বসে রইলাম যতদূর চোখ যায় মরভূমির মত অথচ সামনেই নদী, জোছনায় ভেসে যাচ্ছে চারিদিক, অন্ধ হয়ে যাওয়ার মত ভয়ংকর সৌন্দর্য্য। আমি জোসেফের গায়ে হেলান দিয়ে শুধু বললাম, একটু উষ্ণতা দিবি?
সেই শুরু...আমাদের ২ জনের প্রথম চুমু। ইশ কি ফিলিংস! মনে পড়লে কেমন লাগে যেনো। কি পরিমাণ পাগলামি যে আমি করেছিলাম! জো আমার জায়গায় থাকলে আরো আর্টিস্টিক ভাবে বর্ণনা করতো। অনেস্টলি আমি চাইছিলাম আরো কিছু হোক কিন্তু জো ভদ্র ছেলের মত দু'ঠোঁটের মাঝেই উষ্ণতাটুকু সীমাবদ্ধ রেখে দিল।
আমি জো এর প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম, ভার্সিটির সবাই আমাদের কাপল ভাবতো কিন্তু আমরা আমাদের সম্পর্ককে কোন ঠুনকো প্রেমের সাথে তুলনা করতে চাইতাম না। জোসেফের আমার কাছ থেকে দূরে থাকার কারণটা জানতাম আমি, শরীরসর্বস্ব ভালোবাসা জো প্রচণ্ড ঘৃণা করতো। আমার আর জোসেফের সম্পর্কের ৩বছর কেটে যাওয়ার পর আমি বুঝেছিলাম একটা সম্পর্কের সবচে বড় ভিত্তি শ্রদ্ধা, রেসপেক্ট। যত ছোট অথবা বড় যাই হোক একে অন্যের প্রতি রেসপেক্ট খুব প্রয়োজন যেটা আমার বাপ মায়ের মাঝে বিন্দুমাত্র ছিলো না, যে কারণে আজ আমি ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ে।
চোখ জ্বালা করছে, উঠে বসলাম আমি যেকোন মুহূর্তে চোখ দিয়ে ঝুপ করে পানি পড়তে পারে। চারপাশে কত উঁচু উঁচু বাড়ি, চাঁদটা পশ্চিমে হেলে পড়েছে। জোসেফ থাকলে গিটার নিয়ে গাইতো, 'সব থেকে উচু ফ্ল্যাট বাড়িটার সব থেকে উচু ছাদ.....তোমায় দিলাম আজ' ।
আব্বু ভদ্রলোক আমাকে নিতে ফ্ল্যাটে আসলো, তার অনুরোধ ফেরাতে পারিনি, সাথে গিয়েছিলাম। জো শুনে খুশি হয়েছিল খুব যদিও আমাদের ভার্সিটির পিকনিকে যাওয়ার কথা ছিল সেন্টমার্টিনে। বললো ও না ফেরা পর্যন্ত আমি যেনো আমার বাপের কাছে থেকে যাই। ঐ বাসায় আমার স্টেপ মম রুকাইয়া আন্টি, দুটি সত্ ভাইবোন কিন্তু তাদের আচরণে একটিবার ও মনে হলোনা ঐ কথা। রুকাইয়া আন্টি আমার মত বুড়ি একটা মেয়েকে খাইয়ে দিত, আহনাফ আর আনিশা এই ২জন দিয়াপু বলতে পাগল। আমার বাচ্চাকাচ্চা ব্যাপারটা খুব পছন্দের, প্রতিরাতে আমার এই দুই ভাইবোন গা ঘেষে ঘুমাতো।
জো খুব এনজয় করছিলো পিকনিকে, আমাকে জানালো সমুদ্র এলাকায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবেনা আমি যেনো টেনশন না করি। আমি খুশি ছিলাম ওর ছেলেমানুষি ভালো থাকাতে।
এদিকে আমিও খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ব্যাপারটা তখন ঘটলো যখন আমি ৮ দিন পর ভার্সিটিতে গেলাম। আমি তাকিয়ে ছিলাম অবাক হয়ে, প্রচণ্ড শূন্যতা নিয়ে আমার চারপাশে দাড়িয়ে ছিলাম আমি। যে আমি ভালোবাসায় বিশ্বাস করতাম না সে আমি সেদিন অনুভব করি আমি জোসেফ কি অসম্ভব পরিমাণে ভালোবাসি...
ভার্সিটি জুড়ে শোক আর সেই শোকের মাঝে আমি দিশেহারার মত জোসেফের লাশ খুঁজছিলাম। চোরাবালিতে ডুবে যাওয়া জোসেফের এর লাশ যেটা ফিরে আসেনি।
আমি এতটাই অপয়া যে আমার সবচে কাছের মানুষটাকে শেষ দেখার সৌভাগ্য নিয়ে আমি আসিনি, তার মৃতদেহ সেই চোরাবালিতে ডুবে ছিল আমি তাকে ছুয়ে দিতে পারিনি। আমি কাঁদতে পারিনি একটুও, আমার চোখের পানি বুকের ভেতরটায় আমার মত বরফ হয়ে ছিলো। শুধু ওর ব্যাকপেকটা নিয়ে বসে ছিলাম যেখানে আমার জন্যে কেনা একটা ঝিনুকের মালা ছিল।
আমি চোখ বন্ধ করলেই দেখতাম চোরাবালিতে ডুবে যাওয়ার সময় তীব্র যন্ত্রণায় জো ছটফট করছে। আমি পানিতে মুখ ডুবিয়ে অনুভব করতে চাইতাম চোরাবালিতে ডুবে যাওয়ার সময় জো এর অনুভূতি, আমি বুঝতে চাইতাম ওর কতটুকু কষ্ট হয়েছিলো, সেটাকে আমি ওকে হারিয়ে যে কষ্ট পাচ্ছি তারচে বেশি?
আমি ফিরে এসেছি আমার সেই পুরানো জীবনে যেখানে শুধু আমি আর আমার অন্ধকার জগতের স্মৃতি আর.....
জোসেফ ওর একোস্টিক গিটার নিয়ে আমার পাশে বসলো। এত জোছনার আলো চারিদিকে অথচ আমি আবছা ভাবে ওর মুখ দেখি। ও ছয়টি তার আঙুল চালিয়ে গাইতে থাকে,
"জানি তুই জোছনা রাতে চুপটি বসে থাকবি না
জানি তুই একলা বসে কাঁদবিনা
জানি তুই অন্ধকারে বদ্ধঘরের একটি কোণে নিঃস্ব হয়ে জেগে থাকবিনা
জানি তোর কষ্টগুলো অশ্রু হয়ে ঝরবে শুধু
স্বপ্ন হয়ে গান গাইবেনা
চিড়ে ধরা ভালোবাসা একলা পড়ে রইবে জানি
মেঘেদের দল ছুটে চলবে না...."
জোসেফ আবেগ দিয়ে আমার জন্যে গাইতে থাকে
আর
পৃথিবীর সব দ্রব্য মিলিত হয় এক জলে যে জল আমি অনুভব করি আমার চিবুকে গড়ানো অশ্রুধারায়।
(গান ২টা একটা স্লিপনটের স্নাফ আরেকটি মিনারের জানি। এই লেখাটা আমার সবচে ভয়ঙ্কর সময়ে লেখা, আমি প্রচণ্ড অস্থিরতায় এটি লিখেছিলাম। আবেগহীন একটা লেখা কিন্তু প্রতিটা শব্দে আমার যন্ত্রণাগুলো লুকিয়ে। ৩মাস ধরে একটু একটু করে লিখেছি এবং তারপর শেষ)
প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯