শেষ পর্যন্ত ব্যপারটা ঘটেই গেলো,আজ থেকে আমি আর তোমার প্রেমিকা নই,আশ্চর্য !
পাবলিক লাইব্রেরীতে তোমার অপেক্ষায় বসে আছি সেই সবুজ শাড়িটা পড়ে।হাতে একটা বই আর চোখ ঝাপসা।
আমাদের পরিচয়টা কতই না অদ্ভুত ছিল,আমি ছিলাম আড্ডায় মশগুল হঠাত্ করেই তুমি এগিয়ে এসে বললে, "তুমি কি Sure আমি মহুয়া খেয়ে মজা পাবো?" আমি ভ্যাবচেকা কারণ আমি ভাবতেও পারিনা একটা অপরিচিত ছেলে এতটা মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনবে। আমার উত্তরটাও ছিল সাবলীল,"খেয়ে দেখতে পারেন আমার কাছে এক বোতল আছে" এই কথাটা বলে উঠে এসে পড়েছিলাম।
এরপর থেকেই তো, মাঝে মাঝে দেখা হলেই চিত্কার করে বলতে,আমার মহুয়া কই? আমি হেসে দিতাম!
আমার প্রিয় দিন ছিল ঐটা,আমি বাসায় ফিরতে কিছুই পাচ্ছিলাম না হঠাত্ তুমি হাজির, ঠিক সেই সময়ে একটা পিকআপ ভ্যান আসলো। তুমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলে আমাকে ঐ ভ্যানে উঠে যেতে দেখে। একটু পরে তুমিও উঠে আসলে আমাকে অবাক করে দিয়ে আর কঠিন স্বরে বললে,তোমার ঐ পোশাক আর লম্বা চুল না থাকলে আমি কোনদিনো বিশ্বাস করতাম না তুমি মেয়ে।কতটা পথ গিয়েছিলাম আমরা সেই শীতের সন্ধ্যারাতে।
এরই মাঝে আমি টের পেয়ে গিয়েছিলাম একটা ছেলে উদভ্রান্তের মত পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে থাকে কাউকে দেখতে,হয়তো দেখা পায় হয়তো না।
সেদিন প্রখর রোদ, আমি আইসক্রিম খেতে খেতে এগিয়ে এসে দেখলাম তুমি দাড়িয়ে আছো একটা বই নিয়ে। আমি এগিয়ে আসার পর আমাকে একটা টুকরো কাগজসহ বইটা এগিয়ে দিলে।
কাগজটা পড়লাম,পড়ার ফাকে আমার আইসক্রিমটাও পড়ে গেলো।
তুমি জানতে চাইলে আমি কিছু বলতে চাই কিনা,
আমি বললাম,"ইস্ আজ থেকে আমার আইসক্রিমের ভাগীদার একজন বেড়ে গেলো"
তোমার সেই হাসিটা আমি আজো ভুলতে পারিনা।
কিন্তু আজ থেকে আমি আর তোমার প্রেমিকা নই।
এতকিছু ভাবতে ভাবতে সময় কেটে গেলো। তোমাকে দেখছি ঐ দূর থেকে,চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো আজই সব শেষ। হয়তোবা নতুন করে পথচলা
হুম্ রাজকুমারী আজ শাড়ি পড়ে এসেছেন দেখছি
- কি করবো এত বিশেষ একটা দিন ।
- তা তো বটেই বেশ সুন্দর লাগছে,নতুন লাগছে ।
- সেটাই স্বাভাবিক সব মেয়েকেই এই দিনে সুন্দর লাগে,সবাই আসবে কখন?দেরি হয়ে যাবেনা?
-থাক হোক একটু দেরি আর তো কিছুক্ষণ থাকি আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা
-বেশ তো থাকি আর ১ঘন্টা পরেই তো প্রেমিকা থাকবো না তোমার
-হুম্ প্রেমিকা থাকবে না। আচ্ছা বলতো কাজীসাহেব কে দিতে কত টাকা লাগবে?