আজও পরপর তিনটা সিজারে এনেস্থেসিয়া দিলাম। পরপর তিনজন মেয়েশিশু ভূমিষ্ঠ হল। পরপর তিনজন মেয়েশিশুর জন্ম এটা খুব স্বাভাবিক এখন। কিন্তু ছেলেশিশুর ক্ষেত্রে দেখি যে এমনটা বিরল। কবে পরপর তিনটি ছেলেশিশুর জন্ম হয়েছে মনে করতে পারছি না। পরপর দুটি ছেলেশিশুর জন্ম হওয়াও বিরল ঘটনা মনে হয়। এমন এক সময়ের অপেক্ষায় আছি যখন একজন পুরুষের বিপরীতে পঞ্চাশজন মহিলা থাকবে। এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কিয়ামতের আলামত যা কিতাবগুলোতে লিপিবদ্ধ আছে। আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের কাছেই অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সব কিছুর জ্ঞান দান করেছেন। মৃত্যুর পরের জীবনের জ্ঞানও দান করেছেন। জ্ঞানের সাম্রাজ্যের মধ্যেই মুসলমানদের বসবাস। তারপরও মানুষ যে কেন ইহুদী খ্রীস্টানদের জ্ঞানের পেছনে ছুটাছুটি করে বোধগম্য নয়। ইয়েমেন বা অন্য কোথাও যখন টিড্ডি নাই হল তখন হযরত ওমর রাযিআল্লাহু তায়ালা য়ানহু অত্যন্ত পেরেশান হলেন। রীতিমত লোক পাঠিয়ে তদন্ত করলেন। কারণ কিয়ামতের একটি আলামতের মধ্যে এটাও যে, সর্বপ্রথম নাই হবে টিড্ডি। আজকে মেয়ে শিশুর জন্মহার যে হারে বাড়ছে তাতে কিয়ামতকে সামনে রেখে মানুষের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু আজকে যেসব বিষয়ে আমাদের জ্ঞান দান করা হয়েছিল, জ্ঞানের সেসব বিষয়ে আমরা উদাসীন। এখনও আমরা পাগল বা নেশাখোরদের মত টাকা কামিয়েই যাচ্ছি।
(ও!! এটিও একটি কিয়ামতের আলামত যে অধিক সংখ্যায় সিজারের মাধ্যমে শিশুরা ভূমিষ্ঠ হবে। বর্তমানে কিন্তু তাই দেখা যাচ্ছে। অনেকে মজা করে এও বলে, একসময় মানুষ ভুলে যাবে একদা নরমাল ডেলিভারী নামে কোন জিনিস ছিল।)
________________________
১২ এপ্রিল, ২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮