স্মার্ট ফোন এবং ট্যাবলেটের ভুবনে এন্ড্রড একটি জুগান্তকারি নাম। পৃথিবীর স্মার্টফোনের মোট ৮০% এর বেশি দখল করে আছে এন্ড্রয়েড । বর্তমানে প্রায় এক বিলিওনেরও বেশি এন্ড্রয়েড ডিভাইস রয়েছে। খুটিনাটি না জানার ফলে এন্ড্রয়েডের সঠিক ব্যবহার এবং সুবিধা উপভোগ করতে পারছেনা সাধারন ব্যবহারকরি। তাই এন্ড্রয়েড ডিভাইস এর খুটিনাটি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
এন্ড্রয়েডের ইতিহাস
এন্ড্রয়েড ২০০৭ সালে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। এন্ড্রয়েড মুলতঃ স্মার্টফোনের জন্য গুগলের বানানো একটি অপারেটিং সিস্টেম। ২০০৮ সালে প্রথম ডিভাইস এর সাথে বাজারজাত করা হয়। এন্ড্রয়েড Linux বেইজড Open Source Operating System অর্থাৎ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ দক্ষ যে কেউ এই অপারেটিং সিস্টেম নিজের ইচ্ছা অনুযাই Customize করতে পারবে।
এন্ড্রয়েড ভার্সন: Android Beta- Nov 2007. Astro- Sep 2008-version1.0. Bender- Feb 2009 version-1.1. Cupcake- April 2009, version-1.5. Donut- Sep 2009, version-1.6. Éclair- Oct 2009 version-2.0. Froyo-oct. 2009, version2.0. Gingerbread-Dec 2010,version-2.3. Honeycob-Feb 2011 version-3.0. Ice Cream Sandwich (ICS), Oct. 2011, version-4.0. Jellybean Nov 2012 version -4.1/4.2. Jellybean. July 2013. version-4.3. Kitkat. Oct 2013 version-4.4.
এন্ড্রয়েডের মূলফিচার গুলোঃ
ম্যাসেজিং
এন্ড্রয়েডের মধ্যে SMS এবং MMS দুটো সুবিধাই রয়েছে । এতে থ্রেড মেসেজিং ও রয়েছে এতে অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে এন্ড্রয়েড Cloud থেকে Device মেসেজিং(C2DM) এবং এন্ড্রয়েড পুশ মেসেজিং সার্ভিস। এর অংশ হিসেবে Google ক্লাউড মেসেজিং ও অন্তর্তভুক্ত রয়েছে।
ওয়েব ব্রাউজার
এন্ড্রয়েডের জন্য যে ওয়েব ব্রাউজার টি রয়েছে তা ওপেন সোর্স বি-লিঙ্ক লে-আউট ইঞ্জিন উপর বেইস করে বানানো। পূর্বে WebKit Engile Layout এর উপরে ছিল, যা অত্যন্ত দ্রুত কাজ করে।
ভয়েস বেইসড ফিচারগুলো
ভয়েসের মাধ্যমে Google search অপসনটি এন্ড্রয়েডে প্রথম থেকে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে calling, taxing, navigation ইত্যাদি এন্ড্রয়েডের ২.২ ভার্সন ও এর পরের ভার্সনগুলোতে চালু করা হয়েছে।
মাল্টি টাস্কিং
আপ-মাল্টি টাস্কিং ও মেমরি এলোকেশন এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক ও সহজে এক সাথে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়।
এক্সটার্নাল স্টোরেজ
বেশির ভাগ এন্ড্রয়েড ডিভাইস এ FAT32, Ext3 or Ext4 file system এর micro SD কার্ড ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও ট্যাবলেট ও নতুন অনেক ফোনে Linux Kernel VFAT driver এর মাধ্যমে FAT32 ফরমেটে USB স্টোরেজ ব্যবহার করা যায়।
মাল্টি-টাচ
এন্ড্রয়েডের মাল্টি-টাচ অপশনটি প্রথম দিকে HTC Hero এর মাধ্যমে রিলিজ করে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারনে কার্নেল ভার্সন থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তিতে Google Nexus One এবং Motorola Droid এর মাধ্যমে মাল্টি-টাচ অপশন টি চালু করা হয়।
ভিডিও কলিং
এন্ড্রয়েড মূলত native video calling অপশনটি সাপোর্ট করে না, কিন্তু কিছু কাস্টমাইজ হ্যান্ডসেট-এ এন্ড্রয়েড-এ কাস্টমাইজ করে UMTS Network এর মাধ্যমে ভিডিও কলিং অপশনটি সাপোর্ট করানো সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান প্রায় সব এন্ড্রয়েড হ্যান্ড সেটগুলোই ভিডিও কলিং সাপোর্ট করে।
কানেকটিভিটি
এন্ড্রয়েড এ Bluetooth ,Tethering ,Wi-Fi hotspot GSM/EDGE, Wi-Fi, Bluetooth, LTE, CDMA, EV-DO, UMTS, NFC, IDEN , WiMAX এসব কানেকটিভিটি অপশন রয়েছে।
মিডিয়া সাপোর্ট
Streaming media support স্ট্রিমিং মিডিয়া সাপোর্ট , HTML5, Flash Streaming, Http Dynamic Streaming, Flash Plugin, HTTP Live Streaming । এছাড়াও যেসব অডিও/ভিডিও/স্টিল মিডিয়া ফরমেট গুলো সাপোর্ট করে তা হল WebM, H.263, H.264, AAC, HE-AAC (in 3GP or MP4 container), MPEG-4 SP, AMR, AMR-WB (in 3GP container), MP3, MIDI, Ogg Vorbis, FLAC, WAV, JPEG, PNG, GIF, BMP, WebP ইত্যাদি।
Hardware support
এন্ড্রয়েড ডিভাইসে ক্যামেরা, টাচ-স্ক্রিন, GPS, touchscreens, GPS, accelerometers, gyroscopes, barometers, magnetometers, dedicated gaming controls, proximity and pressure sensors, thermometers, accelerated 2D bit blits , এসব হার্ডওয়ার গুলো ডিভাইস ভেদে সংযুক্ত থাকে।
এন্ড্রয়েড এ JAVA Virtual Machine এর মাধ্যমে জাভা সাপোর্ট করানো যায়।