মনমোহন চিঠির জবাব পাঠিয়েছে, চিঠির কোন অনুলিপি পাব্লিকলি সরবরাহ করা হয় নাই। চিঠিতে কি লিখা রয়েছে কেউ জানে না। একমাত্র বেগম সাহেবা চিঠি খানার মালিক, কিন্তু তিনি নিজেও জানেন না, কারন মনু যে চিঠি লিখিয়াছে তাহা বাংলায় লিখে নাই তাহা নিশ্চিত, ভাষা ইংরেজি বা বড় জোর হিন্দি হইতে পারে। কিন্তু মূর্খ মহিলা হিন্দি বা ইংলিশ পড়িতে পারবেন না এটা আমরা জানি। যদিও দুই এক লাইন বানান করে পরবেন কিন্তু তাহার গূঢ়ার্থ বেগম গোলাপির অনুধাবন করিতে পারিবার কথা নয়। কি বুঝিতে কি বুঝিয়াছে অযথা গড়াগড়ি খাইতেছে। এহেন শিক্ষিত টাইপের নারী বা পুরুষ দের নিয়ে একটা সমস্যা আনন্দের সংবাদে শোকে কান্না কাটি জুড়ে দেয়, অথবা কাহার মৃত্যু সংবাদে আহ্লাদে আটখানা হয়। কিন্তু যাহা ঘটিবার তাহা ঠিকই ঘটিয়া যায়, কিংবা যাহা ঘটার নয় তাহাও ঘটিয়ে যায়।

এমতা অবস্থায় পত্র খানা অন্য কাহাকে দিয়া পাঠ করিয়া নিলে বোধগম্য হয়, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী দেয় অন্যকে দিয়ে প্রেমপত্র লিখিয়ে এবং পড়িয়ে প্রেম হাতছাড়া হয়ে অকুল পাথারে ভাসাইয়া হাবুডুবু খেয়ে অক্কা যায়। হালে কাল ও সময় ভালো নহে, কেহই সন্দেহের বাহিরে নয়, বিষয় বস্তু মুল্যবান হইলে অন্য কেউ দখল করিয়া নিজে হিরো হইবার চান্স লয় যাহা গোলাপির জন্য দুর্ভাগ্য জনক, পাছে প্রেম হাতাছাড়া হইয়া যায়।

এমতা অবস্থায় গোলাপি সারা দিনমান ভেবে সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ পত্রখানা জনসম্মুখে উন্মচন করা তাহাতে কিছু রিস্ক থাকিলেও বেশি কিছু হারাইবার আশংকা কম থাকে।
এমতাঅবস্থায় জাতির দাবী থাকে পত্রখানা আঁচলের গিঁটে বেঁধে না রেখে গণমাধ্যমে হুবুহু প্রচার করা
---------------------------------
আলগা করগো আঁচলের গিঁট
দেখিবে জনতা গোলাপির প্রীত।
ছবিঃ নেট থেকে!