somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘোমটা খুলেছেন বেগম সাহেবা- রাজনীতি!!!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু কি থাকেনা, সম্ভবত থাকেনা, সেটা নিতান্তই রাজনৈতিক কলা কৌশল। এই কৌশল যার যার রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া। অনেকটা স্বার্থপরতা, তবে ফার্স্ট পার্টি ফায়দা লূটার ব্যপারে বদ্ধ পরিকর থাকে। এখানে সবাই নিজেকে ফার্স্ট পার্টি ভেবে নেয়। একজন আরেক জনের স্বার্থ দেখেনা। রাজনীতি যেহেতু আক্ষরিক অর্থে দেশের কল্যানে সেহেতু রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে দেশের স্বার্থ হাসিল হবার কথা এটাই স্বাভাবিক।

বিএনপি জামায়াত জোট ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারের কাছে এবং নিজেদের নিকট অতীত অপকর্মের দায়ে ভূমিধ্বস পরাজয় বরন করলে, সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং নিজেদের অপকর্মের কারনে জনগনের কাছে কোন ঠাসা হয়ে পড়ে।



বর্তমান মহাজোটের প্রধান শরিক বা নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামীলীগ তার ইশ্তেহারে অতি স্পষ্ট ভাবে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রি যুধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের সম্মুখীন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। নির্বাচনের পরপরই জাতীয় সংসদে সবসম্মতি ক্রমে যুধাপরাধের সাথে জড়িত সকলের বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে সম্পন্ন করার জন্য বিল পাশ হয়। এবং এ সংশ্লিষ্ট কাজে যাবতিয় ব্যায়ের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করা হয়। অপেক্ষার প্রহর গুনে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার এর জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এর স্বচ্ছতার জন্য আইনি কাঠামো সংস্কার করা হয়। যা ন্যুরেনবারগ ট্রাইব্যুনালের চেয়েও বেশি সচ্ছতা আনা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রাখা হয়।

একে একে কয়েক জন শীর্ষ অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয় যাদের জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতির সাথে শক্ত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এরা জামায়াত এবং বিএনপি রাজনিতির সাথে কেন এবং কিভাবে জড়িত সেই প্রসঙ্গে আপাতত আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করছিনা।

মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে জামাতের সাথে কৌশলী দূরত্ব রেখে বিএনপি নানান ভাবে বিভিন্ন আন্দোলনের নামে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধা গ্রস্ত করতে নানান পদক্ষেপ নিতে থাকে। যদিও তারা মুখে বলতে থাকে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে নয়। কিন্তু তারা যেসব ইস্যুতে আন্দোলন করতে থাকে তার সবই তাদের সৃষ্টি। এই আন্দোলনের কোন নৈতিকতা থাকেনা। যারা যুদ্ধাপরাধির বিচার চায় তারা সকলেই শুরু থেকে বলে এসছে এই আন্দোলন যুদ্ধাপরাধির বিচার বানচালের প্রচেষ্টা। বিএনপি ও এক শ্রেণীর টক শো তারকারা এটাকে অস্বীকার করে।

অন্য দিকে বেগম খালেদা জিয়া সেনানিবাসে অবৈধ ভাবে বসবাস নিয়ে সরকারের সাথে টাগ এন্ড ওয়ার চলতে থাকে। দুই কুপুত্র তারেক ও কোকো দেশ থেকে সেচ্ছা নির্বাসিত। বেগম জিয়ার নামে এতিমের টাকা আত্মসাতের অকাট্য অভিযোগ। তারেক রহমান সহ বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা ২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান মুল আসামি।

বেগম জিয়া ও বিএনপি যখন দেখলে সরকার বিএনপি ও খালেদাজিয়ার সকল অপকর্মে জিরো টলারেন্স নিয়ে এগোচ্ছে। সাধের সেনানিবাসে অবৈধ অবস্থান আর ধরে রাখতে পারলেন না, কোকোর মামলার রায়ে শাস্তি নিরধারিত হয়ে যায়। বিচার প্রক্রিয়া যখন জিরো টলারেন্সে চলমান আন্দারগ্রাউন্দ নেগসিয়েশন যখন রুদ্ধ খালেদা ও বিএনপির অন্য কোন পথ থাকেনা। শুরু হয় ফাউল গেম। জংগি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত জামাত শিবিরের সাথে বিএনপি নিজেকে বিলিয়ে দেয়।





পল্টন ময়দানে সমাবেশ করে ইসলাম রক্ষার নামে দেশ রক্ষার নামে হাজার হাজার সমর্থক সমেত মাগরিবের নামাজ বিসর্জন দিয়ে শুরু হয় নতুন চক্রান্তের রোড মার্চ।

ঢাকাকে নিউক্লিয়াস করে রোড মার্চ ঘোষিত হয় যদিও পরে বাস্তব কারনে কর্মসূচী কাটছাঁট করা হয়। প্রথমে গেলেন বিশাল গাড়ির প্রদর্শনী নিয়ে সিলেট। মাগরিবের নামাজ আদায় না করা বেগম জিয়া ধর্ম উদ্ধার করলেন পীর আউলিয়ার মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে। প্রথম জনসভায় তিনি ঘোষণা করলে তার প্রানের আকুতি। নতুন প্রজন্মের নষ্ট উত্তরাধিকারের নিকট নেতৃত্ব হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন। একজন দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসি জংগি মদদ দাতা সকল অপকরমের খল নায়ককে রাষ্ট্রে দায়িত্ব দেয়ার খায়েশ প্রকাশ করলেন। ফিরে এলেন ঢাকায়।









আবার গেলেন রাজশাহীকে প্রত্যাখ্যান করে চাঁপাই নবাবগঞ্জে। ঘোষণা দিলেন নিজামি মুজাহিদ সাইদি সাকা, কাম্রুজ্জামান, আলিম সহ যারা জেলে রয়েছেন তারা নির্দোষ, নিস্পাপ। তিনি তাদের রাজবন্দীর মর্যাদা দিলেন। তাদের মুক্তি কামনা করে হৃদয়ের গহিনে থাকা আকুতি প্রকাশ করলেন। এবং এই ৭১ এর পরাজিত, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, লুটেরা দেশের স্বাধীনতা বিরোধী কুখ্যাত নিজামি সাইদি দের মুক্তির জন্য তিনি যুদ্ধ করার খায়েশ প্রকাশ করলে তার ঘোমটা খুলে স্বরূপ প্রকাশ পায়। বেগম সাহেব তাঁর ঘোমটা নামিয়ে তিনি দেশের বিরুদ্ধে এদেশের জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রাজাকারেদের সাথে নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করে সরকারের সন্দেহকে সঠিক প্রমানিত করেছেন। আমার করুনা হয় সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা এখনও আঁকড়ে আছেন এই গলিত বিএনপিকে নিয়ে। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে ধন্য করেন আমাদের। যারা পারেননি বিএনপিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে, বার বার হেরে যান রাজাকারদের কাছে, নাকি বিকিয়ে দিলেন নিজের সত্ত্বাকে যাকে লালন করেছেন রণাঙ্গনে, ভালবাসায়। আমি চাইছি বিএনপিতে আপনাদের সর্বময় বিচরন, আপনাদের মুল্যহিনতা নয়।

ঘোমটা তিনি রেখেছেন খুলে বাস্তবেই, পবিত্র রমজানে-


বিএনপি কি জামায়াত ইসলামের স্বার্থ দেখছে নিজেদের চেয়েও বেশি?!!! কেন, কিসের এই ঋণ, যা শুধে নিতে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে। দেশের মানুষের আবেগকে অপমানিত করে।

থলের বেড়াল বের হয়ে গেলো……………!
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×