৬০ এর দশকে ঢাকা মহানগরীতে প্রথম সিনেমা হল “মানসী”র যাত্রা। সেলুলয়েডের ফিতায় তৈরী সিনেমা পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব সহ দর্শনের একমাত্র স্থান এই সিনেমা হল। এরই ধারাবাহিকতায় এই নগরে বিখ্যাত সব সিনেমা হল মধুমিতা, অভিসার, গুলিস্তান, আজাদ, বলাকা, বিনাকা, আনন্দ, ছন্দ, শাহীন, চিত্রামহল, নিউ গুলশান, জোনাকী, পূরবী, মুক্তি, পর্বতা, এশিয়া, লায়ন, মুন, ষ্টার এবং বিডিআর প্রতিষ্ঠিত হয়। সময়ের বিবর্তনে অবশ্য অনেক হল আজ নেই। আবার গড়ে উঠেছে আধুনিক প্রযুক্তি ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স। এসব সিনেমা হলে ড্রেস সার্কেল, রিয়ার ষ্টল এবং ষ্টল এই তিন শ্রেনীতে দর্শক বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত চার সময়ে চলচিত্র প্রদর্শিত হয়ে থাকে। এই শোগুলো ম্যাটিনি শো (১২টা – ৩টা), বৈকালিক শো (৩টা – ৬টা), সান্ধকালীন শো (৬টা - ৯টা) এবং রাত্রীকালীন (৯টা - ১২টা) শো নামে পরিচিত। এছাড়া প্রতি শুক্রবার প্রত্যেক হলে মর্নিং শো (১০.৩০টা – ১২ টা) চলে থাকে। নতুন ছবি প্রত্যেক শুক্রবার হলগুলিতে প্রদর্শণ শুরু হয়ে থাকে। হলভেদে টিকেটের মূল্য ড্রেস সার্কেল ১০০টাকা থেকে ১৮০টাকা, রিয়ার ষ্টল ৫০টাকা থেকে ৮০টাকা এবং ষ্টল ২৫ টাকা থেকে ৪০টাকা। হলগুলিতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, নারী ও পুরুষের অপেক্ষা করার জন্য করিডোর, বসার ব্যবস্থা, ফুড কর্ণার এবং নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রঙ্গনের অবস্থা কিছুদিন আগেও বেশী সুবিধার ছিলনা। সেই সুবাদে কিছু হল ঝরে পরে। অতী সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা চলচ্চত্র বিপ্লব দেখা দিয়েছে। ভার্চুয়াল বুদ্ধিজিবী ( ব্লগার ) দের মধ্যেও বাংলা ছবি নিয়ে আগ্রহের সীমাহীনতা পাওয়া যায়। ইতিবাচক নেতীবাচক মিলিয়েও প্রায় সকলেই ( গুটি কয়েক বাদে ) বাংলা চলচিত্রের এই নতুন আধুনিকতায় প্রবেশ করার ঢং-কে গ্রহন করেছে। সেইদিক বিবেচনা করে, নেট ঘেটে এবং নিজ্বস জানা থেকে বাংলাদেশের হল নিয়ে এবারের আয়োজন।
ঢাকা শহরে বেশ কিছু সিনেমা হল রয়েছে। কিন্তু সব ভালোর দিক বিবেচনা করে- সেরা ৩ হল যথাক্রমেঃ
১। ষ্টার সিনেপ্লেক্স,
২। বলাকা
৩। মধুমিতা
এছাড়াও
রাজিয়া সিনেমা হল
সৈনিক ক্লাব সিনেমা হল
বিজিবি সিনেমা হল
এশিয়া সিনেমা হল
সনি সিনেমা হল
রাজমনী সিনেমা হল
অভিসার সিনেমা হল
তিন পর্বে শেষ হবে এই লেখা। এই পর্বে আলোচনা হবে সেরা তিন হল নিয়ে।
স্টার সিনেপ্লেক্স
বাংলাদেশ স্টার সিনেপ্লেক্স বাংলাদেশের আধুনিকতম সিনেমা হল বলে অঘোষিতভাবে দর্শক মহলে স্বীকৃত। অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত এই হলটি দর্শকদের নিকট খুবই প্রিয়। উচ্চবিত্ত লোকজনের নিকটও হলটির আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠাকাল
এই সিনেমা হল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে।
ঠিকানা, অবস্থান ও যোগাযোগ
লেভেল ৮, বসুন্ধরা সিটি, ১৩/৩ ক, পান্থপথ, তেজগাঁও, ঢাকা ১২০৫।
এটি বসুন্ধরা গ্রুপের অধীনে বসুন্ধরা সিটিতে অবস্থিত।
ফোন- ৯১৩৮২৬০, ৯১৩৪২৯৮, ৯১৪১৩৩২, ৯১৪০৮১৯
ই-মেইল [email protected]
টিকেট
• এই সিনেমা হলে রয়েছে সর্বমোট ৪টি টিকেট কাউন্টার। ৯ম তলায় সিনেপ্লেক্স-এ ঢোকার সময় হাতের বাম দিকে কাউন্টারগুলো অবস্থিত।
• এই সিনেমা হলে দর্শক আসনের মোট ২টি শ্রেণী রয়েছে। শ্রেণীগুলো হলো- প্রিমিয়াম ও রেগুলার।
• শুক্রবার এবং শনিবার রেগুলার টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা (জনপ্রতি) এবং প্রিমিয়াম টিকিটের মূল্য ২৫০ টাকা (জনপ্রতি)।
• অন্যান্য দিনে বিকেল ৩টার মুভি শো এর রেগুলার টিকিটের মূল্য ১৬০ টাকা এবং প্রিমিয়াম টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা।
• বিকেল ৩টার পর রেগুলার টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা এবং প্রিমিয়াম টিকিটের মূল্য ২৫০ টাকা।
• টিকিট কাউন্টারগুলোতে প্রদর্শনীর ১ দিন পূর্বে টিকেটের অগ্রিম বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
• বর্তমানে অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই।
প্রদর্শনীর সময়
মর্ণিং ,ম্যাটিনী ১, ম্যাটিনী ২, ইভিনিং ১, এবং ইভিনিং ২ - এই মোট পাঁচ বেলা ছবি প্রদর্শন করা হয়। প্রতি সপ্তাহে মুভি সিডিউল পরিবর্তিত হয়।
স্টার সিনেপ্লক্সের যোগাযোগ
ফোন: ৯১৩৮২৬০, ৯১৩৪০৯৮।
ওয়েব সাইট: http://www.cineplexbd.com। উল্লেখ্য যে, প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার দিন ওয়েব সাইট আপডেট করা হয়।
প্রদর্শনী কক্ষ ও ধারণ ক্ষমতা
এটিতে মোট প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে ৪টি, যেগুলোর প্রত্যেকটির ধারন ক্ষমতা ২৬২ জন।
সাউন্ড সিষ্টেম ও স্ক্রীন
• এখানে Digital Dolby Sound System এর ব্যবস্থা রয়েছে।
• এখানের সিনেমা পর্দায় Wide Dolby Digital Surround ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রদর্শিত সিনেমার ধরন
এখানে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত সিনেমা এবং হলিউডের আলোচিত সিনেমা দর্শকদের জন্য প্রদর্শন করা হয়।
ওয়েটিং রুম
এখানে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা নেই। এখনে নারী ও পুরুষদের জন্য একই ওয়েটিং রুম রয়েছে।
ফুড কর্নার
এখানে ফুড কর্নার রয়েছে। ফুড কর্নারে পপকর্ন, চিকেন পপকর্ন, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি রয়েছে। পপকর্ণ ৬০ টাকায়, চিকেন পপকর্ন ১০০ টাকায়, সফট ড্রিংকস ৪০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রয় হয়।
শীতাতপ ব্যবস্থা
স্টার সিনেপ্লেক্স সম্পূর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত একটি সিনেমা হল।
টয়লেট ব্যবস্থা
এখানে টয়লেটের অবস্থা খুবই ভালো। এখানে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে নারী ও পুরুষের জন্য ১টি করে টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। সিনেপ্লেক্সের ভিতরে ডান দিকে নারীদের জন্য এবং বাম দিকে পুরুষের জন্য টয়লেট রয়েছে।
গাড়ি পার্কিং
গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। বসুন্ধরা সিটির নিচে গাড়ি পার্কিং করা যায়। এখানে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার পার্কের জন্য চার্জ দিতে হয়। মোটর সাইকেলের জন্য ২০ টাকা এবং প্রাইভেট কারের জন্য ৪০ টাকা চার্জ দিতে হয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই জোরালো। প্রতি তলায় টয়লেটের সাথে ফায়ার এক্সিটের ব্যবস্থা এবং সিনেপ্লেক্সের প্রতিটি হলের জন্য আলাদা ফায়ার এক্সিটের ব্যবস্থা রয়েছে।
বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড
প্রতিষ্ঠাকাল
এই সিনেমা হল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে।
ঠিকানা, অবস্থান ও যোগাযোগ
সরকারী নিউ মার্কেট, ঢাকা।
নিউ মার্কেটের বিপরীতে বলাকা সিনে ওয়ার্ল্ড অবস্থিত।
০২-৮৬২২১০৩
টিকেট
এই সিনেমা হলে রয়েছে সর্বমোট ৬ টি টিকেট কাউন্টার। যেগুলো বলাকা সিনে ওয়ার্ল্ডে ঢোকার সময় হাতের বাঁয়ে ৩টি এবং হাতের ডান দিকে ৩ টি।
এই সিনেমা হলে আসন ব্যবস্থায় মোট ৩টি শ্রেণী রয়েছে। শ্রেণীগুলো হলো- এক্সিকিউটিভ ক্লাস, স্পেশাল ক্লাস এবং ইকোনোমিক ক্লাস।
এক্সিকিউটিভ ক্লাসের টিকেট মূল্য ১৫০ টাকা, স্পেশাল ক্লাসের টিকেট মূল্য ১০০ টাকা এবং ইকোনোমিক ক্লাসের টিকেট মূল্য ৬০ টাকা।
এখানে সিটের নম্বর অগ্রিম বুকিং নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নম্বর বুকিং নেওয়ার জন্য ৭ দিন আগে বলাকা সিনে ওয়ার্ল্ডে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রদর্শনীর সময়সূচী
এই সিনেমা হল প্রতিদিন সকাল সোয় ১০ টায় একটি প্রদর্শনী, বিকাল সাড়ে ৩ টায় একটি প্রদর্শনী, সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় একটি প্রদর্শনী এবং রাত সাড়ে ৯ টায় সর্বশেষ প্রদর্শনী চালিয়ে থাকে। শুক্রবারে প্রদর্শনী শুরু সকাল সোয়া ১০ টায় হয়ে থাকে।
প্রদর্শনী কক্ষ ও ধারণক্ষমতা
এটিতে মোট হল বা প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে ২টি, যেগুলোর প্রত্যেকটির ধারণক্ষমতা ১২৬৫ জন।
সাউন্ড সিষ্টেম ও স্ক্রীন
এখানের সাউন্ড সিষ্টেম খুবই উন্নতমানের। এখানে DTS System এর ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানের পর্দা বা স্ক্রীনে Wide Silver Screen ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রদর্শিত সিনেমার ধরন
এখানে বাংলা, আলোচিত ইংরেজী ছবি প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।
ওয়েটিং রুম
এখনে নারী ও পুরুষদের জন্য একই ওয়েটিং রুম রয়েছে। নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা নেই।
ফুড কর্নার
এখানে ফুড কর্নার নীচ তলায় একটি এবং দ্বিতীয় তলায় আরেকটি ফুড কর্নার রয়েছে। এতে চিপস ১০ থেকে ১২ টাকা, সফট ড্রিংকস ২০ থেকে ৬০ টাকা, সিংগারা ৮ টাকা, সমুচা ৮ টাকা এবং পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
শীতাতপ ব্যবস্থা
বলাকা সিনে ওয়ার্ল্ড সম্পূর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত একটি সিনেমা হল।
টয়লেট ব্যবস্থা
এখানের টয়লেটের অবস্থা খুবই সিনেমা হল চালুর সময় থেকে ভালো। এখানে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা হয়েছে। এখানে সর্বমোট ৬ টি ব্যবস্থা রয়েছে। নিচের তলায় পুরুষের জন্য ১টি, মহিলাদের জন্য ১টি, দ্বিতীয় তলায় পুরুষের জন্য ১টি, নারীদের জন্য ১ টি, তৃতীয় তলায় পুরুষের জন্য ১টি, ও নারীদের জন্য ১টি টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাড়ি পার্কিং
এখানে সিনেমা হলের পিছনে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিনেমা হলের সামনের রোডের পাশেও এখন দর্শকরা গাড়ি পার্কিং করে থাকে। গাড়ি পার্কিং এর জন্য আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য নয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই জোরালো। ফায়ার সার্ভিস সিস্টেম প্রতি তলায় বাথরুমের পাশে করা হয়েছে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য
এখানে কোন বিশেষ দিনে দর্শকদের জন্য বিনামূল্যে কোন ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেই।
মধুমিতা সিনেমা হল
আধুনিক কালের বিনোদনের যত মাধ্যম আছে, তার মধ্যে অন্যতম বড় মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। সিনেমাকে সবচেয়ে বড় গণমাধ্যমও বলা হয়। আবার, সিনেমা যেহেতু প্রদর্শনের বিষয় এবং বিনোদনমূলক বাণিজ্যের বিষয়, সেহেতু তার জন্য চাই সিনেমা ভালভাবে উপভোগ করে দেখার মত হল। সময়ের ববর্তনে সিনেমা হলগুলোতেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সেই ছোঁয়া পড়েছে বসার আসন থেকে শুরু করে সাউন্ড সিষ্টেম পর্যন্ত। ছবি দেখার নুমনায়ও এসেছে আরও পরিবর্তন। কেননা, অধুনা দ্বি-মাত্রিক ছবি থেকে ত্রি-মাত্রিক ছবির প্রচলন শুরু হয়েছে। ফলে, হলগুলোতে এসেছে পরিবর্তন।
ঢাকা শহরের অন্যতম প্রাচীন সিনেমা হল হচ্ছে মধুমিতা সিনেমা হল। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হলটি বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা সংযোজনের মাধ্যমে সর্বোত্তম দর্শকসেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাকাল
মধুমিতা সিনেমা হল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে।
ঠিকানা, অবস্থান ও যোগাযোগ
১৫৮/১৬০, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা।
মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর থেকে দক্ষিন দিকে ৩০০ গজ সামনে হাতের বাঁয়ে অবস্থিত।
ফোন- ০২-৯৫৫৪৩৮৬, ০২-৯৫৫০৪৬৩।
ই-মেইল [email protected]
টিকেট
এই সিনেমা হলে রয়েছে সর্বমোট দুইটি টিকেট কাউন্টার। সিনেমা হলে ঢোকার সময় হাতের বাঁয়ে একটি এবং হাতের ডান দিকে একটি।
এই সিনেমা হলে আসন ব্যবস্থায় মোট ৩টি শ্রেণী রয়েছে। শ্রেণীগুলো হলো- ড্রেস সার্কেল, রিয়ার সার্কেল মিডল সার্কেল।
ড্রেস সার্কেলের টিকেট মূল্য ৭০ টাকা, রিয়াল সার্কেলের টিকেট মূল্য ৪০ টাকা এবং মিডল সার্কেলের টিকেট মূল্য ৩০ টাকা।
এখানে সিটের নম্বর অগ্রিম বুকিং নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নম্বর বুকিং নেওয়ার জন্য প্রদর্শনী চলার প্রায় ৪ ঘন্টা আগে মধুমিতা সিনেমা হলের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
ছবি প্রদর্শনের সময়সূচী
এই সিনেমা হল প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত একটি প্রদর্শনী, বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত একটি প্রদর্শনী, সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত একটি প্রদর্শনী এবং রাত ৯ টা থেকে সর্বশেষ প্রদর্শনী রাত ১২ টা পর্যন্ত চালিয়ে থাকে। শুক্রবার প্রদর্শনী শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে।
প্রদর্শনী কক্ষ ও ধারন ক্ষমতা
হলটিতে মোট প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে ১টি। যার দর্শক ধারন ক্ষমতা ১২২১ জন।
সাউন্ড সিষ্টেম ও স্ক্রীন
এখানে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম (Digital Sound System) এর ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানের পর্দা বা স্ক্রীনে ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড (Dolby Digital Sound) সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রদর্শিত সিনেমার ধরন
এখানে সাধারনত বাংলা, আলোচিত ইংরেজী ছবি প্রদর্শিন করা হয়ে থাকে।
ওয়েটিং রুম
এখানে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু এখন আর নেই। এখন নারী ও পুরুষের জন্য একই ওয়েটিং রুম বিদ্যমান।
ফুড কর্ণার
এখানে নিচ তলায় একটি এবং তৃতীয় তলায় একটি ফুড কর্ণার রয়েছে। এতে চিপস ১০ থেকে ১২ টাকা, সফট ড্রিংকস ২০ থেকে ৬০ টাকা, সিংগারা ৮ টাকা, সমুচা ৮ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া পানির ব্যবস্থাও রয়েছ এখানে।
শীতাতপ ব্যবস্থা
মধুমিতা সিনেমা হল সম্পূর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত।
বাথরুম ও টয়লেট
এখানের বাথরুমের অবস্থা সিনেমা হল চালুর সময় খুব ভালো ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ধীরে ধীরে কমে গেছে। এখানে নারী ও পুরুষের আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। এখানে সর্বমোট ৪টি টয়লেট রয়েছে। নিচের তলায় একটি পুরুষের জন্য ১টি, নারীদের জন্য ১টি, এবং দ্বিতীয় তলায় পুরুষের জন্য ১টি ও নারীদের জন্য ১টি টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাড়ি পার্কিং
এখানে সিনেমা হলের পেছনে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিনেমা হলের সামনের রোডের পাশেও এখন দর্শকরা গাড়ি পার্কিং করে থাকে। গাড়ি পার্কিং এর জন্য আলাদা কোন চার্জ দিতে হয় না।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তেমন জোরদার নয়। ফায়ার সার্ভিস সিস্টেম তৃতীয় তলায় টয়লেটের পাশে করা হয়েছে।
অন্যান্য
এখানে বিশেষ দিনে দর্শকের জন্য বিনামূল্যে কোন ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেই।
চলবে......
ঈদুল- আযহার আগেই এই লেখা সমাপ্ত করা হবে।
আগামী পর্বে ঢাকার অন্যান্য হলগুলোর বিস্তারিত থাকবে।