এইতো সেদিন,আমি একা অন্য সবার থেকে আলাদা হয়ে ক্যাম্পাসে বসে গল্পের বই পড়ছিলাম। নীল মোড়কে বাধা বইটি আমার অনেক কিছুই বটে,কেননা নীল হলো কষ্টের রং। সে যাই হোক- সেদিনই প্রথম,হাজার মানুষের ভীড়ে ক্যাম্পাসে মিষ্টি একটা মেয়ের মুখ আর সে মুখে লেগে থাকা একটা লাজুক হাসি আমাকে ক্ষণিকের জন্য পাগল করে তুলেছিল। নিজের অজান্তেই বলে ফেলে ছিলাম "তুমি সত্যিই সুন্দর,তুমি দেবী,তুমি সুন্দরের এক অনন্য উপমা"...
তখন পর্যন্ত মেয়েটির নাম আমার জানা হয় নি। ভীতু এ মনে তখন ছিলো অঙ্কুরিত প্রেমের বেড়ে ওঠার চেষ্টা। একারনেই পরিবর্তন হয়েছিল চোখের চশমায়,কাব্যিক ব্যাগে আর পরনের পাঞ্জাবীর বদলে এসেছিলো জিন্সের প্যান্ট,সাদাফ্রেমের চশমা,চেইক ফরমল শার্ট.... অনেক খুজে দেখে শুনে নাম জানা হলো,উপমা.... আমি প্রেমিকের ন্যায় প্রস্তাব দিতে পারি না বলেই,প্রথম কথাতেই বন্ধুর হাত বাড়ানো। এভাবেই শেষ হলে ভালো হতো হয়তো। কিন্তু,কিছু কিছু সময়ে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। আজ
তার আদুরে আবদার,একসাথে আড্ডা আর রাতজাগা কতোগুলো দীর্ঘরাত স্মৃতি মাত্র। কয়েকদিনের পরিচয়ে পাওয়া সাদা খামে চিঠি,এককলি নিরব গান আর বইয়ের ফাকে লুকিয়ে রাখা শুকনো গোলাপ আমার ছন্নছাড়া জীবনের কাছে অনেক কিছু।
এখন তার আর আমার মাঝে অনেকখানি দুরত্ব। হয়তো এ দুরত্বের কারনে আমার মতোই কষ্টে আছে সে। হয়তো সে আমার মতোই আমাকে ভেবে সময় পার করে চলেছে।
হয়তো এই আসছে বছরে,সে ফিরবে আমার কাছে,আর বুকে টেনে বলবে "তোর বড্ড অভিমান,দে না এনে তোর ঘাসফুল অথবা আমার গোলাপ। গা না একটা নিরব গান,বস না পাশে,দে না আমার ১মুঠো অবসর,আমার চোখে তাকিয়ে দেখ না খুজে তোর গল্প লেখার উপাদান"
তারপর হয়তো তেমনটাই হয়েছিলো,শেষ পর্যন্ত আমার ভাবনায় সত্যি হলো। দূর থেকে ভেসে এলো,মেয়েটি আমাদের আদরের উপমা। ভালো থেকো,সুখে রেখো..............
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯