বহুদূর গাঁয়ে কোন এক চায়ের দোকান—
অনাদরে শুকিয়ে যাওয়া কাঠ পুড়িয়ে গরম হলো কেটলি,
যে বৃদ্ধটি ফুঁ দিয়ে, জোড়ে শব্দ করে চুমুক দিলো চায়ে
একটা পায়েল ছিল তার মেয়ের পায়ে ।
বৃত্তির টাকা জমিয়ে পায়েল টা কিনেছিল সে—
পায়েল টা চলে গেছে কোন এক খুনীর পকেটে
মেয়েটা ডুবেছিল কস্তূরী পুকুরে ।
মেয়েটার ভাঙা চুড়ি, ছিড়ে যাওয়া স্কুল ড্রেস,
মেয়েটার গাল কাটা রক্ত, খুলে যাওয়া বোতাম ।
পরদিন কাগজে মেয়েটার এসেছিল নাম ।
চা শেষ হয়, দাম চুকিয়ে বৃদ্ধ হাঁটা দেয় বাড়ির দিকে
ওপাড়ে আঁধার, ওপাশে কান্না,
পাপের জীবন নিয়েও বাঁচতে হয়, সবাই বাঁচে !
বিড়িতে আগুন ধরিয়ে হতভাগ্য বাবা বিড়বিড় করে বলে—
মেয়েটা মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছে ।
দিন আসে দিন যায়, মা এখনো পরে থাকে বিছানায়,
বাবা রোজ চুমুক দেয় গরম চায়ে
একটা পায়েল ছিল তার মেয়ের পায়ে ।
মেয়েটা ভেবেছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবে
ভেবেছিল জীবন স্বপ্নীল পাখির ডানার মতন ।
ফাঁকা রাস্তা, সামনে পশুর দল, ভেতরে দলা পাকায় কান্না ।
পশু গুলোর চকচকে দাঁত, মেয়েটাকে পেয়েছে ‘স্বস্তায়’
বই গুলো পরেছিল মাঝ রাস্তায়
পায়েলটা চলে গেছে কোন এক খুনীর পকেটে
মেয়েটা ডুবেছিল কস্তূরী পুকুরে ।
মেয়েটার ভাঙা চুড়ি, ছিড়ে যাওয়া স্কুল ড্রেস,
মেয়েটার গাল কাটা রক্ত, খুলে যাওয়া বোতাম ।
পরদিন কাগজে মেয়েটার এসেছিল নাম ।
-দীপক কর্মকার
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩