১২. লাইফ অফ পাই (Life Of Pi): অস্কারে চারটি এবং একটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পাওয়া মার্কিন এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালে । সিনেমার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে গল্পের নায়ক পাই এর জীবনী নিয়ে । যেখানে দেখা যায় গল্পের নায়ক পাই একজন লেখকের সাথে তার জীবনের কিছু ঘটনা আর নিজস্ব জীবন দর্শনের গল্প করছেন । যে গল্পের মধ্যে উঠে এসেছে পাই'র ছেলেবেলা, পরিবার, ধর্মীয় চিন্তাভাবনা, একটা ভালবাসার গল্প, একটা দুর্ঘটনা, কাকতালীয় ভাবে পাই'র বেচে যাওয়া এবং সর্বোপরি একটি বাঘের গল্প । সমগ্র সিনেমায় উঠে এসেছে আমাদের জীবনের কিছু সত্য বিষয়, যা আপনার ভাল লাগতে বাধ্য । সর্বোপরি একটা মাইন্ড ফ্রেশ করার মত সিনেমা ।
পরিচালক- অ্যাং লী (Ang Lee)
১৩. ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান (Catch Me If You Can): ঊনিশ বছর বয়সী ফ্র্যাঙ্ক অ্যাবাগনেল তার অসাধরন বুদ্ধি এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে কিভাবে অসৎ উপায়ে একজন মিলনিয়ারে পরিণত হয়, তারই গল্প ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান । ফ্র্যাঙ্ক অ্যাবাগনেলের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ফ্র্যাঙ্ক অ্যাবাগনেলের ভূমিকায় দেখা যাবে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও কে এবং টম হ্যানকস আছেন একজন এফ.বি.আই এজেন্ট হিসেবে । সত্য কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত এই মার্কিন সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০২ সালে ।
পরিচালক- স্টিভেন স্পিলবার্গ (Steven Spielberg)
১৪. নাউ ইউ সি মি (Now You See Me): ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত থ্রিলারধর্মী মার্কিন এই ব্যবসাসফল সিনেমার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে চারজন স্টেজ ম্যাজিশিয়ান কে ঘিরে, যারা কিনা অসাধারন সব ম্যাজিক ট্রিকস কাজে লাগিয়ে ব্যাংক লুট করে সেই অর্থ দর্শকের মাঝে বিলিয়ে দেয় । এই চারজন কে ধরতে নিয়োজিত থাকে একজন গোয়েন্দা । সমগ্র সিনেমা জুড়ে যে টুইস্ট বিদ্যমান তা খোলাসা হতে দেখতে হবে পুরো সিনেমা । একটুও বিরক্ত না হয়ে দেখে ফেলার মত একটি সিনেমা- নাউ ইউ সি মি ।
পরিচালক- লুইস লেটেরিয়ার (Louis Leterrier)
১৫. হ্যালো ঘোস্ট (Hello Ghost): বারবার আত্মহত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া স্যাং-ম্যান নামের জনৈক এতিম যুবক ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাপ মেরে বেঁচে যাওয়ার পর হাসপাতালে তার সাথে ঘটতে থাকে অলৌকিক ঘটনা । সে কিছু মানুষ কে দেখতে পায় যাদের কে সে ব্যতীত আর কেউ দেখতে পায় না । একসময় সেই মানুষগুলো তার সাথে একি বাড়ীতে থাকতে শুরু করে এবং তাদের কে তাড়ানোর জন্য যুবকটিকে তাদের সব ইচ্ছা পূরন করতে হয় । সিনেমার মূল গল্প সিনেমার শেষ কয়েক মিনিটে গিয়ে বুঝতে পারা যায় । কমেডি নির্ভর এই দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে ।
পরিচালক- কিম ইয়ং-তাক (Kim Young-tak)
১৬. স্যাডোস অফ টাইম (Shadows Of Time): বাংলা ভাষার এই সিনেমাটি আদতে জার্মান সিনেমা, মুক্তি পায় ২০০৪ সালে, জার্মানিতে । ভারতীয় অভিনেতা অভিনেত্রীরাই অভিনয় করেছেন এই সিনেমটিতে । কলকাতা এবং পশ্চিম বঙ্গে সিনেমাটির শ্যুটিং হয় । কার্পেট ফ্যাক্টরী তে কাজ করা রবি আর মাশা'র জীবনভর এক বিচ্ছেদ পূর্ণ ভালবাসার সফরের গল্পই হল স্যাডোস ওফ টাইম। মন খারাপ করা গল্প হলেও সবকিছু মিলিয়ে একটা অসাধারন সিনেমা ।
পরিচালক- ফ্লোরেইন গ্যালেনবার্গার (Florain Gallenberger)
দ্বিতীয় পর্বের লিংকঃ দেখতে পারেন যে সিনেমা গুলো (দ্বিতীয় পর্ব)
চলছে...চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০