মাথার মধ্যে বোঝার মোত কতগুলো প্রশ্ন জরো হচ্ছে ! অভিজিৎ হত্যা কান্ডের ঠিক একমাসে আগেই ফেবুতে জঘন্য একটা ওয়েব সাইড নিয়ে প্রচন্ড আলোচনা সমালোচনা হলে । যেটাতে হযরত মুহম্মদ এবং ইসলমকে নিয়ে র্সবচ্চ অশালিন ভাষায় লিখা ছিলো ভাব খানা এমন ছিলো কোন এথিয়েস্টের লিখা ।কিন্তু লিখার ধরন দেখে হলপ করে বলতে পারি ঐ সময়ই বলেছিলাম এটা কোন মুক্ত বুদ্ধির র্চচাকারির লিখা হতে পারে না । তাদের বেশীর ভাগেরই লিখার ধরন আমরা জানি । এইটা ইনটেনশনাল, এবং বড় কোন প্ল্যান হাসিল করার জন্য এটা করে হয়েছে । লিখাটার নিচে আমি ঠিক এই কমেন্টটাই করেছিলাম একমাস আগে। কোন কিছুই এত সরল মনে হচ্ছে না।
আমার কিছু সরল প্রশ্ন আছে -
১. যে পুলিশরা পাহারায় ছিলেন তাদের ব্যাগগ্রাউন্ড চেক করা হয়েছে ?
এই প্রশ্নটা কেন করলাম একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি । রোডস এন্ড হাইওয়েতে গেছি পার্টি কালেকশন করতে। একজন অন্যতম পরিচালকের কাছে এ্প্রোচ করলাম । ভদ্রলোক সোজা মাকর্সবাদে চলে গেলেন । তাকিয়ে দেখি ওনার পিছনে কার্লমাকর্স এর ক্যাপিটাল ( আমি নিজেও তখনো ওই জিনিষ পুরা পরি নাই )। চাপ দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক মিস্টি হেসে বললেন আপনারা আমাদের শত্রু পক্ষের লোক, আপনাদের বিট করতে হলে আপনাদের চাইতে বেশী জানতে হবে ।
সাইদিকে চাঁদে দেখা যাওয়ার ঘটনায় সাতক্ষিরা, হাটহাজারি সহ আরো অনেক গুলো এলাকায় ওই সময় এটি সরকারের রিপোর্টে বের হয়ে এসেছিলো যে পুলিশি মদদে অনেক যায়গায় আক্রমন হয়েছ্ অথবা পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিলো । অনেক গুলো পদে তখন বদলিও করা হলো। বদলি করে বরং লাভ হয়েছে তারা তাদের মত প্রচার করতে পেরেছে । কাজেই প্রশাসনের মধ্যে তাদের লোক যে আছে এইটা নিয়েতো সন্দেহ থাকার কথা না ।
বিশ্বজিৎ হত্যা আর অভিজিৎ হত্যা এক বিষয় না । পিছনের নীল নকশাটাকে যদি এত হালকা করে দেখি তাহলে হুমায়ূন আজাদ, অভিজিত এই লিষ্ট শুধু লম্বাই হবে । আমরা যত বেশী ডিজঅর্গানাইজড, তারা তত বেশী অর্গানাইজড । সবচেয়ে বড় কনসপিরেসি থিউরি হচ্ছে ডিভাইড এন্ড রুল - আমরা যার সর্বচ্চ ভিকটিম। যে কোন ইস্যুতে তারা সাকসেস ফুল্লি আমাদের দুই ভাগ করে দিতে পেরেছে এবং পারছে ।