(একটি তেল মাখানিয়া সিরিয়াস সম্পাদকীয়)
দিন যতই যাইতেছে অন্ধকার ততই বাড়িয়া চলিতেছে। প্রথম একঘন্টা পর এক ঘন্টা, তারপরে দু ঘন্টা পর দু ঘন্টা করিয়া অন্ধকার চলিত। এখন কোন সীমা সরহদ নাই। অভিজাত এলাকার রাস্তায় যখনই বাহির হই, দেখিতে পাই চতুর্দিকে জেনারেটরের হাউ-কাউ। গরীবের কথা না হয় না-ই বলিলাম। এই সরকার আসিলেই অন্ধকারের মাত্রা কেন বাড়িতে থাকে তা আমাদের মত চাটুকর মিডিয়াবাজদের ভাবিয়া তুলিয়াছে।
গত রাতের কথাটাই বলিতে পারি, বিদ্যুতের দেখা তেমন মিলে নাই। অথচ এ মৌসূমে এ রকম হওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল বলিয়া আমরা মনে করি না।
সরকার এখন জামাত-শিবির আর বি এন পি দমনে ব্যস্ত। তাদের দমন করিতেই হইবে। এতে আমাদের কোন আপত্তি নাই। আমরা সর্বাত্নক সহযোগিতা করিব।
দেশ-কে ইসলামমুক্ত করিতে আমরা সর্বাত্নক সমর্থন দিয়া যাইব। আমরা অস্বীকার করি না, আমরা মিডিয়ার মানুষেরা এ প্রকল্পের রুপকার। এ জন্য আমাদের ভিতরে বাহিরের অনেকের কাছে বহু দায়-বদ্ধতা রহিয়াছে। এইটা কখনো ভুলিলে চলিবে না। কাজেই এ কাজে কোন অলসতা বরদাশত করা ঠিক হইবে না। ইহা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের দাবী রাখে।
বিদ্যুতের এই সমস্যা আ.লীগ সরকারের আমলে কেন হয়, তা তদন্ত করিয়া বাহির করিতে হইবে। কারা কারা এর সহিত জড়িত রহিয়াছে, তাদের বাহির করিয়া জেল, জুলুম, ফাসী দিতে হইবে। প্রয়োজনে অপহরণ করিয়া সাইজ করা যাইতে পারে।
নতুন করিয়া বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করিবার কোন প্রয়োজন আপাতত না নিলেও চলিবে। সরকারের এইটা নিয়া চিন্তা করার এখন সময় নষ্ট করিলে চলিবে না। তাহলে শত্রু দমন কাজ ব্যহত হইবে।
এ ক্ষেত্রে সাবেক মন্ত্রী নাসিমকে প্রধান করিয়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা যাইতে পারে।
তারা তদন্ত করিয়া প্রমাণ করিবেন, বিদ্যুতের এই দুরাবস্থার জন্য জামাত-শিবির দায়ী। এমন করিতে পারিলে এক ঢিলে একাধিক কাজ হইবে।
বিদ্যুত উৎপাদনের দায় থেকে সরকার মুক্তি পাইবে। আর ইসলামীদের নির্মূল করিবার দাবী আরো জোরদার হইবে।