যেহেতু গনগন্ত্র চর্চা না করে বরং পেশী শক্তি এবং টাকার জোরে দলের কেন্দ্রে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রেও যাওয়া যাচ্ছে তাই সেদিকেই বেশীর ভাগ ব্যবসায়ী ও পেশীজীবি মনোনিবেশ করেন। প্রকৃত যোগ্যরা এ দৌড়ে পিছিয়েই থাকেন। তাই দেশে সুশাসক ও সুশাসন আসেনা আর সমস্যাগুলো বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে...
ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের এ প্রস্তাবিত ধারাগুলো যদি প্রকৃতই অনুশীলন করা সম্ভব হয় এবং জনগন যদি তাতে সায় দেয়, আমার মনে হয় এখান থেকেই বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধানের একটি পথ বের আসতে পারে। সেদিনটির অপেক্ষায় আছি।
ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ইশতেহারের একটি অংশ সবার মতামতের জন্য এখানে পেশ করা হলো।
১) রাজনৈতিক দল গঠন ও জনপ্রতিনিধি নীতিঃ
রাজনৈতিক দল গঠন সংক্রান্ত
১.১)। রাজনৈতিক দল সম্পুর্নভাবে জনমুখী ও কল্যানমূলক হবে।। পরমতসহিষ্ণু রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করতে হবে।
১.২)। সংবিধানের চার মূলনীতি’র উপর আস্থা রেখেই দলের মূলনীতি গঠন করতে হবে।।
১.৩) দুইবারের বেশী কেউ প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হতে পারবেন না।।
১.৪) একই ব্যক্তি একই সাথে দলের প্রধান এবং সরকার প্রধান হতে পারবে না।।
১.৫) পরিবার কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল নয় বরং যোগ্যতার ভিত্তেতে এবং দলীয় সদস্য দের ভোটে দলীয় প্রধান নির্বাচন করতে হবে।।
১.৬) তৃণমুল পর্যায় থেকে ধাপে ধাপে নির্বাচিত হয়ে দলের পদসমুহ অলঙ্ককৃত হবে।।
১.৭) দলের ভেতর সত্যিকার গনতন্ত্র চর্চাকারী গনতান্ত্রিক দলই কেবল রাজনীতি করার সুযোগ পাবে।।
১.৮) রাজনৈতিক দলগুলোতে কোন রাজাকার এবং স্বৈরাচারের দোসর থাকতে পারবে না, বর্তমানে থাকা এমন নেতা ও কর্মীদের দল থেকে বহিস্কার করতে হবে।।
১.৯) মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে, এমন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।
১.১০) যুদ্ধাপরাধী, স্বৈরাচার আর সমস্ত রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের বিচারের বিষয়ে ঐক্যমত থাকতে হবে।।
১.১১) প্রতি পাচঁ বছরের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার অনুশীলন এবং জনকল্যাণ ভিত্তি থেকে ছায়া মন্ত্রীসভা গঠন করতে হবে।।
১.১২) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগেই দলীয় পার্থীরা আসন ভিত্তিক তৃনমূলথেকে ভোটের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন পাবেন।। পরবর্তী দুই বছর নির্বাচিত প্রার্থীরা জনসংযোগ করবেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবার লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করবেন।।
১.১৩) সমস্ত প্রার্থীদের সম্পুর্ন জীবন বৃত্তান্ত এবং সম্পদের হিসাব প্রকাশ ও জনগনের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
১.১৪) স্বেচ্ছাশ্রম এর উপর ভিত্তি করেই দলের কর্মী ও সদস্য হতে পারবেন। টাকার জন্য রাজনীতি নয়, "জনগণের সেবাই মূল উদ্দেশ্য" এই নীতিতে রাজনীতি করতে হবে।। দূর্নীতিবাজ, গুন্ডা, বদমাশ, গডফাদার কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবে না।।
১.১৫) কোন রাজনৈতিক দলের বিদেশে শাখা থাকতে পারবেন না।।
১.১৬) শিক্ষক, ডাক্তার, সাংবাদিক, পেশাজীবিদের রাজনৈতিক দল ভিত্তিক কোন সংগঠন থাকতে পারবে না। যে কেউ সরাসরি রাজনীতি করতে পারবেন, তবে পেশাজীবিদের মধ্যে দল ভিত্তিক সংগঠন থাকবে না।।
১.১৭) কোন দলের অঙ্গ সংগঠন হিসাবে কোন ছাত্র সংগঠন থাকতে পারবে না। ছাত্র সংসদ গুলো দলের প্রভাবের বাইরে রাখতে হবে।।
১.১৮) রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে হবে সরাসরি জনপ্রতিনিধিদের ভোটে, গোপন ব্যালটে এবং সমস্ত সংসদ সদস্যের এই নির্বাচনে ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক।। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী'র মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।।
১.১৯) রাজনৈতিক দলগুলো অহিংস আন্দোলনের পথ অনুসরণ করবে,। ক্যডার পোষা বন্ধ করতে হবে।।
১.২০) দেশের রাজনীতি বিষয়ে বিদেশীদের পিছনে দৌড়ানো বন্ধ করতে হবে। এবং বিদেশীদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যপারে নাক গলানোতেহস্তক্ষেপকে সম্মিলিতভাবে “না” বলতে হবে।।
১.২১) সরকার প্রধান থেকে শুরু করে যে কারো বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্তে সরকারের সিদ্ধানন্ত নেয়া বাদ দিতে হবেহস্তক্ষেপ করা বন্ধ করতে হবে (এর জন্য দূদককে সম্পূর্ন স্বাধিনতা স্বাধীনতা দিতে হবে)।।
১.২২) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে।