গলার দাগ সমস্যা নিয়ে আজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গেলাম। মাত্র ১০ টা ফি দিয়ে একজন স্কীন বিশেষজ্ঞকে দেখালাম (যতদিন প্রেসক্রিপশনের কাগজে ডাক্তারের পরামর্শ লেখার জন্য জায়গা খালি থাকবে ততদিন আর ১০ টাকাও দিতে হবে না।)। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কিছু ওষুধও নিলাম হাসপাতাল থেকে বিনামুল্যে। হাসপাতালে ঢোকা থেকে সব কাজ শেষ করে বের হতে আমার সর্বমোট আধা ঘন্টা সময় লাগলো সব মিলিয়ে (দুপুর ১২ টায় ঢুকে সাড়ে ১২ টায় বের হলাম)।
আমি সন্তুষ্ট।
আমরা মধ্যবিত্তরা কতোজন সরকারী হাসপাতালে যাই? আমার মনে হয়না খুব বেশী। তবে মান সম্পন্ন সরকারী হাসপাতালগুলোতে আমরা যেতে থাকলে তাদের সেবার মানও কিন্তু দিনকে দিন বাড়তে থাকতো। পাশাপাশি আমরা যারা ট্যাক্স প্রদান করি তারা সততার সাথে ট্যাক্স প্রদানে আরো উৎসাহিত হতাম।
আমাদের দলের (ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ ) প্রস্তাবিত ইশতেহারে বলা হয়েছে, ”নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও তার পরিবারের সদস্যরা অবশ্যই সরকারী হাসপাতাল ব্যতীত চিকিৎসা, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত শিক্ষা সেবা গ্রহন করতে পারবে না, যদি বাংলাদেশে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে । এর ফলে সকল জনপ্রতিনিধি তার নিজ নিজ এলাকার সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মান নিয়ে সচেতন থাকবেন, যা আমাদের উন্নত নাগরিক সেবা দিতে সাহায্য করবে।”
আমি গর্বিত।