আমাদের ক্ষুদ্র জীবনে আমরা দু' দুটো মুক্তিযুদ্ধ দেখে ফেললাম। প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বেশিরভাগেরই জন্ম না হলেও বাকি দুই মুক্তিযুদ্ধে আমরা কেউ কেউ অংশ নিয়েছি - আবার কেউ কেউ শহীদও হয়েছি। আজকে আলোকপাত করবো কোটা আন্দোলন নিয়ে বেঁধে যাওয়া তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার পক্ষ নিয়ে।
বাইরে সব জায়গার মত সামু ব্লগেও যুদ্ধ চলছে। এক পক্ষে কোটার পক্ষে থাকা মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ, আরেক পক্ষে কোটা তুলে দেয়ার পক্ষে থাকা সরকার ঘোষিত রাজাকার গ্রুপ। চলুন এক নজরে দেখে নেই কোন গ্রুপে কে কে আছেন।
মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপঃ
১। হাসান কালবৈশাখীঃ এনার মত মুক্তিযোদ্ধা ব্লগে আর কখনও পয়দা হয়েছিল কিনা কেউ জানেনা। এই সরকার, ভারত আর ইসরাইল-আমেরিকা গ্রুপ যত যাই করুক না কেন - সব কিছুর পক্ষেই কোন না কোন যুক্তি নিয়ে ওনার হাজির হওয়া চাইই। উনি যদি কোন কারণে ইন্তেকাল করে - তবে ব্লগ কর্তৃপক্ষের উচিত হবে উনাকে তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে উপাধি দেয়া।
২। সোনাগাজীঃ প্রসঙ্গত, উনি প্রথম মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে উনার বিভিন্ন লেখনীতে পাওয়া যায়। তাই বলে উনি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সো কল্ড পক্ষের সরকারকে ছেড়ে কথা বলেন না। তারপরেও কোটা নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন করা তার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়।
৩। কলাবাগানঃ বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এই যুদ্ধে নিজেকে এখনও সম্পৃক্ত করেননি। তবে অস্ত্র ধরলে যে কোটাওয়ালাদের দিকেই তাক করবেন - এটা ব্লগের শিশু ব্লগারররাও বোঝে।
৪। বাউন্ডুলেঃ তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার - এই স্লোগান শুনে জুনায়েদ পলকের মত যারা কুত্তা ক্ষেপা ক্ষেপেছে - তিনিও তাদের মত একজন। কিন্তু এই স্লগানের পরের লাইন বারবার তার কানের কাছে আবৃত্তি করে শোনালেও তিনি তা শুনতে নারাজ। তিনি হলেন এই ব্লগের একজন বীর উত্তম লেভেলের মুক্তিযোদ্ধা।
৫। গোফরানঃ তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে সব দোষ জামাত শিবিরের কাঁধে চাপিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শরীক হবার একটা চেষ্টা নিচ্ছেন। কিন্তু নদীর স্রোতের আধিক্য দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না যে কোন দিকে গা ভাসাবেন ।