পৃথিবীটা প্রকৃত অর্থেই বিচিত্র। পৃথিবীর আজব কিসিমের সব টুকিটাকি বিষয়বস্তুকে এক জায়গায় এনে জড় করলে এদের সংখ্যা এতই বিশাল হবে যে, তখন আর এদেরকে অসাধারণ কিছুই মনে হবে না। যৌনতা শুধু মনুষ্যকূল নয়, সকল প্রাণেরই মৌলিক চাহিদা। তবে শুধুমাত্র মানবাজাতির যৌনচর্চার ইতিবৃত্ত একটু কাটাছেড়া করলেই অনেক অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপার বেরিয়ে আসবে। এধরণের অস্বাভাবিক, অদ্ভুত সমস্ত কিছু নিয়েই এই আয়োজন।
১ পৃথিবীর দীর্ঘতম লিঙ্গ, ১৩.৫ ইঞ্চি
বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে চিকিৎসাবিদ রবার্ট ডিকিনসন জনৈক ব্যক্তির লিঙ্গের দৈর্ঘ্য মেপে দেখেন সেটা প্রায় ১৩.৫ ইঞ্চি লম্বা। এটাই এ পর্যন্ত মেডিকেল সায়েন্স কর্তৃক স্বীকৃত এবং প্রামাণিকভাবে সংরক্ষিত কোন মানুষের দীর্ঘতম লৈঙ্গিক-পরিমাপ। সে লিঙের বেড় ছিল প্রায় ৬.২৫ ইঞ্চি, যেটাও একটা রেকর্ড।
জানা যায়, বর্তমানে জীবিত লোকদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ লিঙ্গের অধিকারী হলেন জোনাহ ফ্যালকন (বাংলায় হবে ইউনূস ফ্যালকন)। একটা টিভি চ্যানেলের জন্য নির্মিত অনুষ্ঠানে ইউনূস সাহেবের লিঙের হকিকত ফাঁস করে দেয়া হয়, যেটার দৈর্ঘ্যও সেই একই, সাড়ে তেরো ইঞ্চি। তবে এ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না।
২ পৃথিবীর দীর্ঘতম যোনিপথঃ ১৯ ইঞ্চি
এক্ষেত্রে সামান্য গণিতিক কল্পনার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সম্ভবত, পৃথিবীর গভীরতম যোনিখাতের অধিকারিনী ছিলেন কানাডীয় অধিবাসী, স্কটিশ দানবী আন্না সোয়ান(১৮৪৬-১৮৮৮)। তাঁর শারিরীক উচ্চতা এবং আয়তনের কারণে সেই সময়ে তিনি অনেক রেকর্ডের অধিকারিনী ছিলেন বটে। স্বাভাবিক জন্ম হলেও, ‘জাইগ্যান্টিজম’ নামক অস্বাভাবিকতার কারণে শৈশবেই তাঁর কায়বৃদ্ধি মাত্রাধিক হারে ঘটতে থাকে এবং লাগামহীনভাবে বাড়তে বাড়তে ঊনিশ বছরে সেটা দাঁড়ায় সাত ফুট আট ইঞ্চিতে। এই অস্বাভাবিক আকৃতির কারণে তিনি সার্কাসের অংশ হয়ে দেশজুড়ে ঘুরতে থাকেন, এবং এক পর্যায়ে তাঁর সাথে দেখা হয় মার্কিনদেশী ক্যাপ্টেন মার্টিন বেটস’এর সাথে, যিনিও কিনা আন্নার মতই সাড়ে সাত ফুটী দানব। দুজনে বিয়ে করেন, এবং পরিণত হন সেসময়কার পৃথিবীর দীর্ঘকায় দম্পতিজোড়ে। এই রেকর্ড অদ্যাবধি সদম্ভে টিকে আছে। সেনাধিনায়ক বেটস সাহেবের কড়ি-কপর্দকের কমতি ছিলনা, তাই বিয়ের পর এই দম্পতি বিশেষভাবে নির্মিত এক ম্যানসনে গিয়ে ওঠেন, যেখানকার আসবাবগুলোও তাঁদের দুজনের মাপমতো সেভাবেই বানিয়ে নেয়া হয়েছিল। যেই পালঙ্কে তাঁরা বাসর করেন সেটা ছিল ১১ গুন ৭ বর্গফিট ক্ষেত্রের।
১৮৭৯ সালের জুলাই মাসে আন্না জন্ম দেন পৃথিবীর জানা-ইতিহাসের বৃহত্তম শিশুসন্তানটিকে যার ওজন ছিল ২৬ পাউন্ড, লম্বায় ছত্রিশ ইঞ্চি। শিশুটির আকার এতই বড় ছিল যে জন্মদানকালে সে মায়ের প্রসবপথে আটকে গিয়েছিল এবং তাকে বের করে আনতে বিশেষ শল্যব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছিল। কিন্তু জন্মলগ্নের এই জটিলতা এড়িয়ে সেই দুর্ভাগা শিশুর পক্ষে বাঁচা আর সম্ভব হয়নি, তবুও মৃতাবস্থায় তাকে প্রদর্শনের জন্য ক্লিভল্যান্ডের হেলথ মিউজিয়ামে তোলা হয়েছিল। শিশুটির খুলির পরিধি মেপে দেখা যায়- প্রায় ঊনিশ ইঞ্চি। সেখান থেকে ধারনা করা হয়- প্রসারিত অবস্থায় আন্না’র যোনিপথের প্রস্থ ছিল ৬ ইঞ্চি তথা ১৫ সেন্টিমিটার, যা কিনা বড়ই উদার। মনুষ্য জন্মদানের সময় যোনিপথের স্বাভাবিক ডায়ালেশনের পরিমাণ ১০ সেন্টিমিটার।
৩ পৃথিবীর সবচেয়ে উৎপাদনশীল মাতাঃ ৬৯ সন্তান
ফেওদর ভ্যাসিলেভ (১৭০৭-১৭৮২) ছিলেন রাশা’র শুয়য়া নগরের একজন কৃষক। তবে বড়াইটা তাঁর নয়, তাঁর প্রথমা স্ত্রী ভ্যালেন্তিনা ভ্যাসিলেভা’র, যিনি ছিলেন ৬৯ কাচ্চাবাচ্চার জনয়িত্রী। এক মহিলার গর্ভে পেয়দা হওয়া সন্তান সংখ্যার এটি একটি রেকর্ড। তার সন্তানদের মধ্যে ছিল ষোল জোড়া যমজ, সাতপ্রস্থ ত্রৈত (ট্রিপ্লেট) আর চারপ্রস্থ চতুজ (কোয়াড্রপলেট)। তার এই ৬৯ সন্তানের মধ্যে ৬৭ জনই সুস্থ অবস্থায় পূর্ণবয়স্কাল পর্যন্ত বেঁচে ছিল।
এযুগের রেকর্ডটা চিলি’র স্যান অ্যান্টনিও’র অতিপ্রজা রমণী লিওন্তিনা আলবিনার দখলে। তাঁর এই ষাটোর্ধ্ব লগনে তিনি দাবি করেন, এ পর্যন্ত ৬৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে ৫৫ জন বর্তমানে জীবিত।
৪ পৃথিবীর দূরতম বীর্যক্ষেপণ– ১৮ ফুট
হর্স্ট স্খুল্টজ নামক এক ব্যক্তি ১৮ ফুট ৯ ইঞ্চি দূরে বীর্য ছুড়ে এই অতিমানবীয় কৃতিত্ব স্থাপন করেন। তার সে বীর্যে শুক্রানু এবং অন্যান্য অজৈব উপাদানের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায়ই ছিল। এই ভদ্রলোক ১২ ফিট ৪ ইঞ্চি উচ্চতায় বীর্য তুলে উচ্চতম বীর্যক্ষেপণের রেকর্ডটাও শুধু গড়েননি, এমনকি দ্রুতগতিসম্পন্ন বীর্যক্ষেপণের নজিরও স্থাপন করেছেন, ঘন্টায় ৪২.৭ মাইল বেগে বীর্য ছুঁড়ে। একেই কি বলে ‘মাল্লেবাজ’?
৫ পৃথিবীর প্রবীণতম পতিতাঃ ৮২ বছর
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পতিতাবৃত্তিই পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশা। তাই পে তে একবার পুলিশদল এক প্রবীণা দেহপসারিনীর সন্ধান পায় যার বয়স সবে ৮২ বছর। খদ্দেররা নাকি উনাকে আদর করে ‘দাদিমা’ বলে ডাকেন। দাদিমা এই পেশায় জড়িয়ে পড়েন প্রায় চল্লিশ বছর আগে, তাঁর কুড়ি বছরকালের সহপুরুষটির মৃত্যুর পর। জানা যায় এই পেশায় তিনি টিকে আছেন, সমসাময়িক যৌবনবতী পতিতাদের দরের দশ বা কুড়ি ভাগের এক ভাগ দাম আদায় করে।
৬ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মৈথুনমচ্ছব- ২৫০ যুগল
পৃথিবীর দীর্ঘতম মৈথুনমচ্ছব(orgy এর বাংলা করলাম)’এর আয়োজন করে দেখিয়ে দিয়েছে জাপান। ২৫০ জোড়া মানব-মানবী এতে অংশ নেয় এবং এ মহতী উদ্যোগকে সার্থক করে তোলে। একটি গুদামঘরে এই মহোৎসবের আয়োজন করা হয় এবং একদল দক্ষ আলোকচিত্রী আর ভিডিওবাজকে পুরো ঘটনা সুনিপুনভাবে সেলুলয়েডের ফিতায় ধরে রাখার জন্য নিয়োগ করা হয়। প্রত্যেক সদস্যকে যৌননৃত্যকলার বিশেষ তালিম আগে থেকেই দিয়ে রাখা হয় বলে তারা নিজ কর্ম দক্ষতার সাথে সম্পাদন করে। উল্লেখ্য, ‘অর্জি’ নাম দেয়া হলেও, এই মৈথুনমচ্ছবে প্রত্যেক জোড়া শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যেই সঙ্গমে মিলিত হয়, একে অন্যেরটা টানতে যায়নি। পুরো উৎসবটির ডিভিডি আকারে পাওয়া যায়, যার মন চায় তিনি কিনে বা সংগ্রহ করে দেখতে পারেন।
৭ পৃথিবীর বৃহত্তম গণব্যাভিচারঃ ৯১৯ জন পুরুষ
মার্কিন পর্নোগ্রাফিক অভিনেত্রী লিসা স্পার্ক্সক্সক্সক্স একদিনে ৯১৯ জন পুরুষের সাথে ব্যভিচারমূলক যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয়ে পূর্বতন রেকর্ড দুমড়ে দেন। ঘটনাটি ঘটে পোল্যান্ডের এক মহোৎসবে, ‘ইরোটিকন ২০০৪’ নামে বাৎসরিক গ্যাংব্যাং চ্যাম্পিয়নশিপ’এর তৃতীয় আয়োজনে। এটা অবশ্য হুট করে হওয়া কোন রেকর্ড নয়, বরং ২০০২ এবং ২০০৩ এর আয়োজনে সংগঠিত হওয়া, পর্যায়ক্রমে ৬৪৬ এবং ৭৫৯ জন সঙ্গমসখা দ্বারা আদৃত হবার রেকর্ডগুলোর জবাব মাত্র।
৮ পৃথিবীর দীর্ঘতম হস্তমৈথুনঃ ১০ ঘন্টা
সানফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত, ‘সেন্টার ফর সেক্স অ্যান্ড কালচার’ কর্তৃক আয়োজিত, ২০০৯ সালের ওয়ার্ল্ড মাস্টারবেট-এ-থন নামক এক প্রতিযোগিতায় ‘মাসানবু সাতো’ নামক এক তালেবরজন বীর্যপাত হবার আগপর্যন্ত তার লিঙ্গকে এক নাগাড়ে ৯ ঘন্টা ৫৮ মিনিট ধরে ঝাঁকিয়ে সবাইকে বাকরুদ্ধ করে দেন। বহুধা বৈচিত্রের যৌনানুষাঙ্গিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার জন্যই শুধুমাত্র তিনি নিজভূম জাপান থেকে এতদূর উড়ে আসেন। এর আগের যে রেকর্ডটি, সেটিও ছিল তাঁরই। সময়কাল ৯ ঘন্টা ৩৩ মিনিট।
৯ পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী যোনিঃ ৩১ পাউন্ড উত্তোলনক্ষম
পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি তাতিয়াতা কোঝেভনিকোভা’র সাথে যার ধড়ে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী যোনীটা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এই যোনি দিয়ে তিনি পেল্লায় সব ওজন উঠিয়ে তামাম বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। তিনি ৩১ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ১৪ কেজি ওজন উত্তোলন করে রীতিমত কুখ্যাত বনে গেছেন বলা চলে। প্রায় ষোল বছরের কঠোর ব্যায়ামের মাধ্যমে তিনি তাঁর যোনীপথে এমন শক্ত পেশীকলা নির্মাণ করেন এবং তদানুসারেই গিনেস বুকে প্রবেশ করেন সবচেয়ে শক্তিশালী যোনিবতী নারী হিসেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার যখন বাচ্চা হয়, তখন আমার যোনিপথের পেশী বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। আমি তাওবাদী কিছু বইপত্র পড়ে জানতে পারলাম যে প্রাচীনকালে মহিলারা এই ধরণের সমস্যায় পড়লে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করতেন কাঠের বল।”
১০ পৃথিবীর প্রবীণতম পিতাঃ ৯০ বছর
পৃথিবীর প্রবীণতম পিতা আবারও দেখিয়ে দিয়েছেন। যেই বয়সে পুরুষের গোপনাঙ্গ লৌহদন্ডেও ঠেস দিয়ে রাখা যায়না, সেই ৯০ বছর বয়সে তিনি তাঁর একুশতম সন্তানের জন্ম দিয়ে অনন্য নজির তৈরি করেছেন। ভারতের কৃষক নানু যোগী, যিনি কিনা চার বিবি নিয়ে ঘর করছেন, হামবড়া ভাবনিয়ে বললেন যে, তিনি থামতেই চান না, অন্তত একশ বছর হবার আগ পর্যন্ত। যোগী সাহেব ঠিক নিশ্চিত নন তার বংশধরের সংখ্যা কত, তবে সন্দ করেন- ১২ জন পুত্র, ৯ জন কন্যা এবং অন্তত কুড়ি-পঁচিশেক নাতি-নাতনি।
(অন্তর্জাল হতে অনূদিত)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০০