রাজশাহী ॥ যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে তালাকের নোটিস পাঠিয়েছেন একব্যক্তি। এমন অবস্থায় নিরাশ হয়ে স্বামীর বিচার চেয়ে অসহায়ের মতো এখানে সেখানে ঘুরছেন ওই গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর নাম আশা (২২)। তার বাবার বাড়ি পাবনা সদর এলাকার গায়েশ্বরপুর এলাকায়।
গৃহবধূ আশা জানান, দুই বছর আগে রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার রুবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে রুবেল স্বর্ণালঙ্কারসহ ৫০ হাজার টাকা নেন। তবে এক বছর পার না হতেই রুবেল আবার তাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। আশার পিতা অভাবী হওয়ার কারণে সে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর রুবেলের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। দিনে দিনে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ার এক পর্যায়ে রুবেল তার পিতা রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ক্যাশিয়ার সেকেন্দার আলীর পরামর্শে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। গত সাত মাস আগে তিনি পাবনায় তার বাবার বাড়ি চলে যান।
আশা অভিযোগ করেন, রুবেলের বাবা রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ক্যাশিয়ার সেকেন্দার আলী বিয়ের সময় জানিয়েছিলেন তার ছেলে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন। প্রকৃতপক্ষে রুবেল কোন চাকরি করে না। বিয়ের এক বছর পর তিনি জানতে পারেন রুবেল মাদকাসক্ত। আশার বড় বোন রিতা বলেন, রুবেলের পিতার কথায় বিশ্বাস করে তার সহজসরল বোন আশাকে রুবেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পরে তারা জানতে পারেন রুবেল কোন চাকরি করে না। নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর টুটুল জানান, বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার সালিশ বসানোর ব্যবস্থা হলেও সেকেন্দার ও তার ছেলে রুবেল সালিশে উপস্থিত হন না।
এখন আমাদের দেশে যৌতুক নিয়ে সংসার জীবনে কত জগরা মারামারি হয়...... আসলে আমি আপনি আমাদের মধ্যেই এইসব ঘটে আমরা এই সব এখনো প্রতিরোধ করতে পারছি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৩