ইমরান খানের জীবনে জিনাত আমান প্রথম কিংবা শেষ ভারতীয় নারী নন। সুচিত্রা তনয়া মুনমুন সেনের সংঙ্গ এক সময় তুমুল বন্ধুত্ব ছিল ইমরান খানের। একটা ঘটনাতেই তার প্রমান মিলবে। মুনমুন সেন একবার নিজের জন্মদিনে কয়েকজন বন্ধুকে ডেকেছিলেন। পার্টি শেষ হওয়ার পর দ'একজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে তিনি বললেন, তোদের জন্য সারপ্রাইজ আছে। চল উপরে চল্ ইপরে গিয়ে তারা দেখেন, ইমরান মুনমুনের বেডরুমে বসে আছেন। উইকেট এবং নারীর মন দুটোই নেয়া ছিল ইমরান খানের জন্য ছিল বা হাতের খেল। পাকিস্তানে শোনা যায় এক অদ্ভুত কাহিনী। 'আল্লাহু আল্লা কিয়া করো' খ্যাত পাকিস্তানের বিখ্যাত গায়িকা নাহিদ আকতারও ইমরান খানের প্রেমে মজেছিলেন। তিনিও ঘোষনা দিয়েছিলেন, ইমরান খান যদি বিয়ে করতে রাজি হন, তবে তিনি গানটান ছেড়ে দিয়ে কিং খানের ছেলেপুলে সামলাবেন। ইমরান তাচ্ছিল্যের সঙ্গে নাহিদের কথা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেন। নাহিদ আকতার ইমরানের উপেক্ষা সহ্য করতে পারেন নি। অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর কতনি সাবাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। পরে তিনি এক সাংবাদিককে বিয়ে করে সুস্থির হন।
সত্তরের দশকে পাকিস্তানের দর্শকনন্দিত নায়িকা বাবরা শরীফও প্রেমরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার সেই প্রেমের ছিল ইমরান নামও ছিল ইমরান খান। জিনাত আমান এবং নাহিদ আক্তারের মতো নাহিদ আকতারও এক পায়ে দাড়িয়ে ছিলেন ইমরান খানকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু নিয়তি ইমরানের জীবনে অন্য কিছু লিখে রেখেছিল। তাই তো সাত ঘাটের পানি খেয়ে ইমরান শেষ পর্যন্ত যাকে জীবনসঙ্গী করেছেন, তার নাম জেমিমা গোল্ডস্মিথ। বয়সে যিনি ইমরানের অর্ধেক। পরে দুজরে স্বামী স্ত্রী হন। ইমরান সারা দুনিয়ার বহু রমণীর হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে জেমিমাকে লাহোরে নিজের বাড়িতে নিয়ে উঠেন। জেমিমাও শর্মিলা ঠাকুরের মতো ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে নিজের নতুন নাম রাখেন আয়েশা। তাদের দুটি ছেলেও হয়। কিন্তু পাকিস্তানের রক্ষনশীল জীবনে শেষ পর্যন্ত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন নি জেমিমা। বিয়েটা ভেঙে যায়। জেমিমা ঢফরে যান লন্ডনে। সেখানকার নৈশ জীবনে। ব্রিটিশ অভিনেতা হিউ গ্রান্টের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কের নাতকা গড়ে তুলেন তিনি। আর ইমরান খান ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজনীতি নিয়ে।
এখানেই এই কাহিনীর শেষ নয়। আমেরিকার টিভি অভিনেত্রী সিতা হোয়াইটের সাথে ইমরান খানের শরিরি সম্পর্কের ফসল একটি সন্তান। পরে ইমরান খান যাকে নিজের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বিকার করেন। এই দুঃখ নিয়ে মারা যানসিতা হোয়াইট। মারা যাওয়ার আগে সন্তানকে বলে যান আর কেউ না জানুক, অন্তত আমি জানি ইমরানই তোর পিতা।
অনেকটা ম্যারাডোনার মত গল্প। নেপলসে খেলার সময় এক ইতালীয় রমণীর গর্ভজাত নিজের সন্তান কে বৈধতা দিতে প্রথমে রাজি ছিলেন না ম্যারাডোনা আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত নাবালক সন্তানের ভরণপোষন প্রতি মাসে দিতে হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরকে।