এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের শখ পূরণ করতে গিয়ে কষ্টে জমানো ১৩৯০০ টাকা খরচে বসুন্ধরা থেকে সেটটা কিনেছি সপ্তাহ দুয়েক আগে। কেনার আগে যতটা সম্ভব গুগল করে জানার চেষ্টা করেছি। লোকজন ভালোই উচ্ছাস দেখিয়েছে দেখলাম। চাইনিজ জিনিস, লোগো পাল্টায়ে ওয়াল্টন দেশি হিসেবে প্রচার করছে-এটা জানার পরেও কেন যেন ভরসা করলাম ! :-&
আমি এন্ডরয়েড সিস্টেমের সাথে নতুন পরিচিত হয়েছি মাত্র। হতে পারে আমি ঠিকভাবে ব্যবহারপদ্ধতি এখনো বুঝে উঠিনি। ... মনের মধ্যে একটা ঠকে যাবার অনুভূতির ঝাঁঝালো ধোঁয়া ঘুরপাক খাচ্ছে।
১. আগের নোকিয়া নরমাল জাভা সেটে হেডফোনের এন্টেনা ছাড়াই রেডিও চলতো। প্রিমোর বর্ণনাতেও এমন ই দেখছিলাম। কিন্তু ব্যবহার করতে গিয়ে দেখি হেডফোন না লাগালে রেডিও চলছে না।
২. ১৫০০ এমএএইচ এর ব্যটারী যদি ২-৩ ঘন্টা পরেই ওয়ার্নিং দেয় (সব এক্সট্রা সার্ভিস বন্ধ রাখার পরেও) তাহলে এই জিনিস ক্যামনে ব্যবহার করবো? পাথরকুচি পাতা থেকে মোবাইলে চার্য দেবার আবিষ্কার কি আসলেই হইসিলো? অন্তত সোলার সিস্টেম থেকে চারয করার ব্যবস্থা থাকলেও হতো।
৩. আট জিবি মেমোরী কার্ড লাগানো ছিলো সাথে। এই মেমোরী কার্ডে কোন ডাটা ট্রান্সফার করতে কালোঘাম ছুটে যায়। ক্যান্নট ফাইন্ড সার্ভিস পাথ... এই টাইপ একটা ওয়ার্নিং ম্যাসেজসহ বিকট শব্দে আমার কম্পুটার কেঁপে ওঠে। রাতের বেলা যদি এমন হয়, সকাল বেলা আবার ডিসকানেক্ট প্লাস রিকানেক্ট করার পর ডাটা ট্রান্সফার করা যাবে। ৩ থেকে চার মিনিট। তারপর আবার বিকট ওয়ার্নিং।
৪. ব্লুটুথ নামের জিনিসটা সচল করতে অতিরিক্ত কোন ঘটনা ঘটানো লাগে কিনা এখানে, বুঝতেছিনা। আগে পেয়ার্ড ডিভাইস কানেক্ট হলেই সেন্ডিং শুরু হয়ে যেত। এইটায় পুরা অচল। সেন্ডিং ১ অব ৫.... দুই পকেটে দুই মোবাইল রেখে দিছি। ঘন্টাখানেক পর বের করে দেখি.. এখনো সেন্ডিং ১ অব ৫।
৫. সিম খুজে পায়না প্রায়ই। আমি অবশ্য সিম এখন লাগাচ্ছিনা। নেট অটো কানেক্ট হয়ে আমার সব টাকা খেয়ে ফেলে বিভিন্ন এপ্লিকেশন। এটা বন্ধ করার সিস্টেম না জানা পর্যন্ত সীম লাগানো ঠিক হবেনা।

৬. পিডিএফ ফাইল মিনিট বিশেক একটানা পড়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। মোবাইলের পেছনটা তখন আগুন গরম। স্ক্রীনের ওপর পাতলা পর্দাটা চার কোনা উঠে গেছে । এটা বড় অভিযোগ কিনা বুঝতেছিনা, তাই আলাদা পয়েন্টে দিলামনা।
ওয়াল্টন চাইনিজ দেশি পণ্য... আমার প্রথম এন্ড্রয়েড অভিজ্ঞতা... তিক্ততা...