somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোহিঙ্গা নির্যাতন সমস্যার সমাধান - ইসলাম যেভাবে করতো!

২১ শে জুন, ২০১২ রাত ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জামাতে ইসলামী, চরমোনাইর পীর বা দেওয়ানবাগী খোদার খাসী.. এরা ইসলাম পালন আর ইসলাম প্রতিষ্ঠার বুলি আওরায় যেহেতু, চাইলে এরা এমন কিছু এক্সেপশনাল কাজ করতে পারতো যা তাদের প্রসংশিত করতো। .. কিন্তু কোন একটা জিনিস প্রতিষ্ঠা করা মানে যে বাস্তব জীবনে তা করে দেখানো, এটা এদের রাজনৈতিক নীতিমালা এলাউ করেনা। জামাতে ইসলামী আর চরমোনাইর পীরেরা পল্টনে গলার রগ ফুলায়া হাসিনা দ্বীপুমনিরে গালিগালাজ আর অভিশাপ না দিয়া শান্তভাবে ঘোষণা দিতে পারে , হে বাংলার শাসক শ্যাডাম শেখ হাসিনা - আমরা ওয়াদা করতেসি আমাদের প্রত্যেক মুরিদ বা প্রত্যেক রুকন সাথী একজন করে রোহিঙ্গার মুসলমানের দায়িত্ব নিবো! আমাদের মুরীদেরা আর আমাদের রুকুনেরা তাদের ফ্লাটবাসা আর ঘরবাড়ি একজন করে রোহিঙ্গার সাথে ভাগাভাগি করে নিবে। আপনে তাদের ঢুকবার অনুমতি দেন!

যদিও হাসিনা দ্বীপুমনি এইটা মানবে না, তবুও এমন ঘোষণা ইসলাম নামধারী দলগুলো থেকে এলে প্রমান হতো ইসলামের ওপর তারা সত্যিই আন্তরিক! কিন্তু স্রেফ বায়তুল মোকারমী গলার রগ ফুলায়ে কুশপুত্তলি দাহকারী মিছিল প্রমান করে এরা ইসলামের সত্যিকারের কর্মসূচীর নীতিমালা সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা ভাওতাবাজ ধুরন্ধর রাজনীতিজীবি! অন্য আর দশটা জাতীয়তাবাদী, নাস্তিক্যবাদী আর ধর্মনিরপেক্ষ ভাওতাবাজ রাজনীতিবিদের সাথে এদের পার্থক্য সামান্যই! এমন নয় যে এদের অর্থসম্পদের সংকট রয়েছে!




মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে ভয়ানক নীপিড়ন নির্যাতন চলছে, ইসলাম খুব যুক্তিসঙ্গতভাবে তা সমাধান করতে পারে! খেয়াল করবেন, আমি বলেছি ইসলাম পারে - মুসলমান পারে , এটা বলিনাই।

রাসুলুল্লাহ সা: এর হিজরতকালীন সময়ের সাথে যদি বর্তমান সময়কে তুলনা করি - অর্থাৎ মুসলিম উম্মাহ সামরিক ও প্রযুক্তিগতভাবে দুর্বল - অসহায় .. তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হলো, রোহিঙ্গারা যেকোন মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে হিজরত করবে এবং ওই অঞ্চলের "মুসলমান"গন তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত হতে সব রকম সাহায্য করবে। যেমন করেছিলো মদীনার আনসারগন মক্কার মুহাজিরদেরকে। বাড়িতে দুটি ঘর থাকলে একটা ছেড়ে দিয়েছেন মক্কার মুহাজির ভাইকে.. মুহাজির ভাইও আত্মসম্ভ্রমের পরিচয় দিয়েছেন, ধার নিয়েছেন আনসারের কাছ থেকে সামান্য কিছু দিরহাম.. বাজারে গিয়ে ব্যবসা শুরু করে লাভের অংশে ধার শোধ করেছেন।

যদি ওমর বিন খাত্তাব রা: এর সময় হতো এখন... হাজার রোহিঙ্গার রক্ত ঝরার প্রশ্ন-ই আসতো না! কোন একজন মাত্র রোহিঙ্গা মা বা বোনের আর্তচিৎকার কানে এলে ইসলামী দুনিয়ার লীডারের ওপর ফরজ হয়ে যেত জিহাদ ঘোষণার! যেমন করে দেবলের কারাগারে একবোনের চিঠির জবাবে মুহাম্মাদ বিন কাশিম শত মাইল ছুটে এসে সিন্ধুকে মুক্ত করেছেন অনাচার অত্যাচারের নাগপাশ থেকে..

অবশ্য আমাদের অবস্থা এখন হলো হযবরল - এলোমেলো.. গন্তব্যবিহীন - জীবনের উদ্দেশ্যবিহীন দিশাহীন আলোহীন পাশবিক জীবন! কোন লীডারশীপ নেই - ইসলামের জ্ঞান নেই - কেন্দ্র নেই - কমান্ড নেই - আনুগত্যের ধারনা নেই। বিচ্ছিন্ন মেষপাল চরে খাচ্ছি নেকড়ের জঙ্গলে.. বাচা মরা কোনটার ই উদ্দেশ্য নাই! যে মহান লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ৈ আল্লাহ আদম সৃষ্টি করেছেন, তার ধারনাও নেই আমাদের মাঝে। তাই আমাদের গলার শাহরগ ফুলানো শ্লোগান, হম্বিতম্বি, কুশপুত্তলি আর পতাকা পুড়ানো, ফেইসবুকে বিপ্লবী ছবি পোস্ট করে লাইক ও শেয়ার গননা করা-- এগুলোই হয়তোবা যৌক্তিক -


মানুষের মাঝে যে প্রচন্ড আবেগ - রোষ আর চেতনা এসব ঘটনায় দেখা যায় - তাহরীর স্কোয়ারের সমাবেশ দেখে বুকের মাঝে বাষ্পচাপ বেড়ে যায় - নাফ নদীতে মুসলিম নারী পুরুষের আহাজারি দেখলে চোখ ফেটে পানি গড়ায় - ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যোদ্ধাদের হুঙ্কার শুনে গর্বে উদ্ধত হয়ে যায় মস্তক... শুধু একটা যোগ্য নেতৃত্বে যদি পেয়ে যেত এই উম্মাহ! যে নেতৃত্ব যুগের চাহিদা অনুযায়ী ইসলামকে জীবনের সমস্ত সমস্যা সমাধানের বাস্তবিকভাবেই উপস্থাপন করতে পারতো.. পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করতে পারতো এই চেতনাদীপ্ত জনগনের মাঝে - পৃথিবী আবার সেই সাহাবাদের সোনালী পৃথিবী হয়ে যেত! দুনিয়ার কোন কোনায় মজলুমের আহাজারী থাকতো না - থাকতো না বঞ্চিত - অত্যাচারিত আর ক্ষুধিত কোন আদমসন্তান..
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×