সকালে ফজরের নামাজের পর কম্পুটারে পত্রিকা খুলে দেখছি, এসময় বিরাট শব্দ করে ট্রান্সমিটার/ট্রান্সফরমার বাষ্র্ষ্ট হয়ে বিদ্যুৎ চলে গেলো। গা করিনি। এমন বাষ্র্ষ্ট প্রতি সপ্তাহেই দুয়েকবার হচ্ছে। কিন্তু নিচে একটু হৈচৈ মনে হলো। দরজায় উকি দিয়ে বিরাট শো-শো শব্দ আর আগুনের শিখা দেখে চমকে গেলাম। ডাক দিয়ে দুচারজনকে ঘুম থেকে তুললাম। তারপর সবাই মিলে ধুপধাপ সিড়ি পেরিযে রাস্তায়।
আগুন যতটুকু, তা ভয়ঙ্কর করে তুলছে মারাত্মক শো-শো শব্দ। গ্যাসের পাইপে আগুন লেগে গেছিলো। উপরে ইলেকট্রিক তার পর্যন্ত মাঝে মাঝেই উঠে যাচ্ছে শিখা। ছিড়ে পড়বে মনে হলো। পাশের কন্সট্রাকশন সাইটের লোকেরা টুকরি বোঝাই বালু এনে ফেলতে লাগলো। কিন্তু কিছুতেই গ্যাস লাইনকে আগুন থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাচ্ছেনা। তিতাসকে ফোন করা হয়ৈছে লাইন বন্ধ করার জন্য। তাদের কানেই যায় নি শেষতক। ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। তারা সত্যিকারের কর্তব্যপরায়ান। ১০-১২ মিনিটের মাথায় গাড়ি নিয়ে হাজির।
তারাও পানি দিয়ে চেষ্টা করতে লাগলো। বুঝলাম না, তারা গ্যসের আগুনকে পানি দিয়ে নেভানোর ব্যর্থ চেষ্টা কেন করলো। তবে এরা আসার পর ভরসা পেযে ঘরে ফিরে গেলাম। ঘন্টাখানেক পর সবার সম্মিলিত উল্লাস শুনে বুঝেছি, আগুন নেভানো গেছে। পরে সম্ভবত কোন ক্যামিকেল আনতে হয়েছিলো। মাইকে ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে তখন, কেউ যেন সিগারেট না জ্বালায়, আগুন না জ্বালায়। নাকের চারপাশে তখন গ্যাসের টকটক গন্ধ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




