



কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায় ছিলাম। এমনিতেই এখানে ইবনে তাইমিয়া নামের একটা ইশকুল বা কলেজের লক্ষী লক্ষী মেয়েরা নেকাবে মুখ ঢেকে টমসম ব্রীজ রোডটা স্নিগ্ধ করে রেখেছে। এদের ইসকুল ড্রেসই নেকাব সহ মনে হয়। (তবে কাউকে কাউকে শুধু স্কার্ফেও দেখা গেছে)। সব মেয়েদের একেবারে সমান আর এক মনে হয়। খুবই ভালো লাগলো ব্যাপারটা।
আমার মাথায় যখন লাইনটা ঘুরপাক খাচ্ছিলো, তখন আমি আমার অফিসের বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে রাস্তায় তাকিয়ে ঝিমাচ্ছিলাম। তখন ভাবলাম, দেখি তো চেক করে। ইবনে তাইমিয়ার ছাত্রীদের বাদ দিতে হবে। তাদের বাদ দিয়ে আমি লক্ষ্য করতে শুরু করলাম। পদব্রজে আসা, অটোরিক্সায় আসা, রিক্সায় আসা, সিএন্জিতে আসা আম্মাজানদের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম, প্রতি দশজনের নয়জনই হিজাব পড়া, স্কার্ফী বা নেকাব পড়া। আমি আলাদাভাবে আগে কখনো খেয়াল করিনি। আমি ব্যাপারটা নিয়ে ব্লগ লিখবো ভেবে মোবাইল থেকে ছবি তুলেছি। আমি অনেকগুলো ছবি তুলতেই থাকলাম। প্রতি দশটা ছবির অন্তত ৯ টাতেইই পর্দিনশীন হিজাবীরা। এবং সত্যি ব্যাপার হলো, আমি একসময় বিরক্ত হয়ে পড়লাম। কারন আমি কাজটা শেষ করতে চাচ্ছিলাম। আমি মনে সেট করে রেখেছি, হিজাব ছাড়া একটা মন মত ছবি যদি আসে, তখন ই আমি এটা শেষ করবো। পাচ্ছিলাম ই না। আমার মনে হয় অন্তত ৪৫ মিনিট ধরে আমি অপেক্ষায় করেছি।
















এই ছবিগুলো আসার পর আমি ভেবেছিলাম শেষ করি। বিরক্তি লাগছিলো, কেন অন্যরকম রা আসছে না পথে। আমি ব্যাপারটা শেষ করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু ওনার কোলে নবজাতক দেখে পর্দাহীনতার বিষয় আরোপ করতে মন চায়লো না । আরো ছবি তুলতে লাগলাম।


তারপর আরো অপেক্ষা চলছিলো।



আমার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছিলো, তখন তারা এসেছেন ।


আসলে কি এটা শুধু কুমিল্লার বাস্তবতা ? এত বোরকা, এত হিজাবের প্রসার ? এটা কি ইবনে তাইমিয়া ইশকুলের কারনে হলো নাকি সারা বাংলাদেশেই এই চিত্র বাড়ছে ? নারীদের ওপর নির্যাতন আর নিপীড়ন যত বড়ছে দিনদিন, তাদের হিজাবী হবার প্রবনতাও সম্ভবত সেভাবে বাড়ছে। কী জানি! মানুষের প্রকৃতির স্বাভাবিক দাবী আর প্রয়োজনই হয়তো ইসলামের বিধানগুলো।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





