আজ নাকি দুখু মিয়ার জন্মবাষিকী। জানিনা ওপারের দুখু মিয়া কেমন আছেন। ভাবতাছি দুখু মিয়ার কাছে একখান খোলা চিঠি লিখব কিন্তু বিষয়টা এমন যে - নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম দুখু মিয়ার কাছে এই চিঠিটা কেমনে পৌছায়তাম। দুঃখ দারিদ্র্য নিয়ে জন্মানো দুখু মিয়া লিখে গেছেন কত কিছুই গান, কবিতা, সাহিত্য। তার সে সময়ের দৃষ্টিভঙ্গি চিন্তাচেতনার ভাবধারার ফসল লেখনী সেটা আজন্ম বহমান কারন সেটা গনমানুষের ও অতি সাধারন থেকে সাধারনের জন্য। দ্রোহ প্রেম সাম্য ও শোষিত মানুষের জন্য এরকম মুক্তির বার্তা আর কজনই বা দিয়ে গেছেন। ব্রিটিশ বুনিয়াদী শাসন পার হলে ও আজও চারিদিকে মানুষ শোষিত ও নিষ্পেষিত হয়ে আসছে নানা ক্ষেত্রে। সমাজের সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধতা, উগ্র মৌলবাদ, অসহিষ্ণু ও রুগ্ন গনতন্ত্র থেকে মুক্তির যাত্রা পথে বিদ্রোহী কবি হোক প্রেরনার উৎস। বাংলাদেশ রুখে দাড়াবে একদিন সাথে থাকবে আপনার সৃষ্টি "চল চল চল ঊধ্বগগনে বাজে মাদল", "বল বীর চির উন্নত মমশির ", "আমি যুগে যুগে আসি/আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু/এই সষ্ট্রা শনি,মহাকাল ধুমকেতু" - উল্লেখ না করা এরকম অনেক সৃষ্টি জেগে থাক বাঙ্গালী মনে প্রানে চিন্তা চেতনায়।
কেন জানি মনে মনে এটাই আওড়াচ্ছি আর বলে উঠতে ইচ্ছে করে জনে জনে -
ওহে নজরুল কি চেতনা জাগাইয়া দিলা মনে
বিদ্রোহ আসে আর যায় হারাই ক্ষনে ক্ষনে
এবার হয়ে যাক তোমারই সেই পংক্তিমালা
লাথি মার ভাঙরে তালা-যত সব বন্দীশালায় আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা