একটা সময় ছিল কোন কিছু নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকতে চাইলে হুমায়ূন নিয়ে বসতাম যা অন্য কিছুতে হয়ে উঠত না ।
তার মত একজন মানুষ চলে যাওয়া মানে শুধু একটি দেহ হারিয়ে যাওয়া নয়, পৃথিবীতে অনেক শূন্যতা তৈরি হওয়া - তার এই শূন্যতা অপূরণীয়, অশেষ।
একটা কথা সবাইকে স্বীকার করতে হবে - বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে যখন পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের বইয়ের রমরমা, ঠিক তখনই এ ধারায় পরিবর্তন এনে দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।
তার মৃত্য এর পর থেকেই রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কবিতাটি কেন জানি ফিরে আসছে মনে
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়
চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী
চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে
আমার না-থাকা জুড়ে।
জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয় সবাইকে-
জীবন সুন্দর
আকাশ-বাতাস পাহাড়-সমুদ্র
সবুজ বনানী ঘেরা প্রকৃতি সুন্দর
আর সবচেয়ে সুন্দর এই বেঁচে থাকা
তবুও কি আজীবন বেঁচে থাকা যায়!
বিদায়ের সেহনাই বাজে
নিয়ে যাবার পালকি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে
সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে
এই যে বেঁচে ছিলাম
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে যেতে হয়
সবাইকে
অজানা গন্তব্যে
হঠাৎ ডেকে ওঠে নাম না জানা পাখি
অজান্তেই চমকে ওঠি
জীবন, ফুরালো নাকি!
এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে...
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে - হয়ত আজই তার মরদেহ সমাধিস্হ হবে - তাইতো বলে উঠি
যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে,
কেদেছিলে তুমি হেসেছিল সবে
এমন জীবন তুমি করিলে গঠন,
মরিয়া হাসিলে তুমি কাদিছে ভুবন
জয়তু হুমায়ূন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০২