পৃথিবীর এক প্রান্তে যদি কোনো গুনাহ বা অপরাধ সংগঠিত হয় আর পৃথিবীর অপর প্রান্ত হতে কেউ যদি তা সর্মথন করে বা বলে ভালো হয়েছে, তবে সর্মথনকারী অপরাধস্থলে উপস্থিত না থাকার পরও শুধুমাত্র সমর্থন করার কারণে সমান গুনাহে গুনাহগার হবে। নাউযুবিল্লাহ!
তাহলে মুসলিম বিশ্বে যে হারাম গণতন্ত্র চালু রয়েছে, সেই হারাম গণতন্ত্রে রয়েছে ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনের নিয়ম। এখন যাদের ভোট দানের কারণে যে সরকার নির্বাচিত হয় বা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আরোহন করে, সেই সরকার দেশবাসীর সাথে যত অন্যায়-অত্যাচার-যুলুম-নির্যাতন করে, সে সমস্ত গুনাহের তথা লা’নতের সমান ভাগিদার সরকারের সাথে সাথে ভোট দানকারীও যে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন সমস্ত পৃথিবীতে এমন কোনো (নির্বাচিত-অনির্বাচিত) সরকার দেখানো যাবে না, যে সরকার জনগনের সাথে যুলুম-নির্যাতন করেনি। বরং বলতে হবে কোনো সরকারই জনগণকে যুলুম-নির্যাতন করতে, কষ্ট দিতে ছাড়েনি। নাউযুবিল্লাহ!
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে, এক মহিলা একটি বিড়ালকে খাবার না দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারার কারণে ঐ মহিলা জাহান্নামের আগুনে জ্বলছে। তাহলে গণতান্ত্রিক সরকারগুলো নির্বাচিত হয়ে মুসলমানদের যে কষ্ট দিয়েছে এবং দিচ্ছে এমন সরকারগুলো কোন জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সাথে এই সরকারগুলোকে যারা ক্ষমতায় আনার জন্য ভোট দিয়েছে তাদের পরিণতিও যে কি হবে তা কি কেউ একবারও ভেবে দেখেছেন?
সূত্রঃ
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:৩০