আমাদের অনেকেরই এক সময়ের প্রিয় ক্রিকেটার ছিল।হয়ত কারো কারো এখনো আছে।আশরাফুল যখন তার ক্যারিয়ার শুরু করে তখন তার মত একজন প্রতিভা আমাদের দরকার ছিল।কখনো কখনো তিনি তার প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন।কাডিফের Australia র বিপখ্খে তার ১০০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস ,ইংল্যান্ডের সেই ৯৬ রানের ঝড়ো ইনিংস,সবচেয়ে কণিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে শ্রিলংকার বিরুদেধ টেষ্ট century।তিনি এখন পযন্ত বাংলাদেশের সবোচ্চ century র মালিক(৮ টি)।
আশরাফুলের অভিষেক হয়েছিল ২০০১ সালের ৬ই সেপ্টেম্বারে-কলম্বো ।অভিষেকেই তিনি তার প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন।এরপর ২০০৪ এ ভারতের বিরুদেধ ১৫৮ রানের ঝলমলে ইনিংস।
অভিষেক ২০০১ এর পর থেকে এ পযন্ত ৫৩টি টেষ্ট ম্যাচে -১০৩ ইনিংস এ ৫টি শতরান এবং ৭ টি অধ্ শত সহ মোটরান-২২৫৬।টেষ্টে তার গড় ২২.৭৮।এটা তার মত একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সাথে বেমানান।
ওয়ানডেতে আশরাফুল-
আশরাফুল মোট ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ১৫৯টি।ব্যাট করেছে ১৫২ইনিংস।ওয়ানডেতে তার মোট রান ৩২৯৮রান,ফলে তার গড় দাড়াচ্ছে ২৩.৭২!।ওয়ানডেতে তার মোট সেনচুরি ৫ টি।
টি-টু্য়েন্টি তে আশরাফুল-
আশরাফুলের টি-টুয়েন্টি ইতিহাস ও আহামরি কিছু নয়।সে মোট ১৩টি ম্যাচ খেলে রান করেছে ২০০।গড় ১৫.৩৮!
এখন কথা হচ্ছে আশরাফুলকে কেন দল থেকে বাদ দেওয়া হয় না।একের পর এক বাজে শট খেলে,আর যেন মনে করে এটাই ছিল সবচেয়ে বাজে বল !
তার মত একজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের যখন এই হাল তখন জুনিয়ররা কি শিখবে তার কাছ থেকে তা আমর কেউই জানিনা।তা আশা করাটা ও হবে অমুলক।চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে ও তার পারফরম্যান্স খুব খারাপ।সে তার ব্যাটিং স্টাইল চেন্জ করেও যখন কিছু করতে পারল না,তখন আমি বলব তাকে যেন বিশ্রাম দেয়া হয়।তাকে তার পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবার মত সময় দিতে হবে।তিনি আমাদের সম্পদ।তাকে তার নিজের মত করে ভাবতে দিতে হবে।।তাকে বিশ্রামে দিয়ে অলক কাপালি,শাহরিয়ার নাফিস,আফতাব আহমেদ,প্রমুখ দের ব্যবহার করতে হবেএবং ঘরোয়া লিগ থেকে বিকল্প খুজে নিতে হবে।।না হলে ২০১১ বিশ্বকাপে আমরা আশাণুরুপ ফলাফল করতে পারব না
*আপডেট নিউজ হলো আশরাফুল নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করে দেশে ফিরে এসেছে।সে নিজেও তার পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ। । । । ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪২