সারাদিন পেটের ধান্দায় ব্যাস্ত থাকতে হয় তাই নেটে আসার সময় মেলে না।রাতের বেলা বাসায় ফিরে কখন কম্পিউটরে বসব তার জন্য মনের ভিতর এক ধরনের ব্যাকুলতা থাকে।অন্যান্যদিনের মত আজ ও যথারীতি রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে কম্পিউটরে বসতেই-আমার এক বন্ধুর মোবাইল কল পেলাম-সংবাদটা শুনে মেজাজটা গেলো বিগড়ে!! আমার রুটি রুজির ব্যাবস্থা হয় যে জায়গা থেকে, সেই দোকানের বিদ্যুতের তাঁর একটা ট্রাকে বেধে ছিঁড়ে গেছে। ভাবলাম যা হয় হোক সকালে দেখব,সংবাদ এলো তাঁরটি একেবারেই মাঝখান থেকে ছিঁড়ে মাটিতে ঝুলে আছে যে কোনো মুহুর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।উপায়ন্তর না দেখে শীতের মধ্যে এই রাতের বেলা ছুটলাম দোকানে-আশে পাশে কেউ নেই,খোঁজ করলাম নাইট গার্ড বেটা কোথায়--খুঁজে পেলাম এক চা-এর ষ্টলে বসে দিব্বি টিভি দেখছে আর বিড়ি ফুঁকছে!! ওর কাছে জানতে চাইলাম কিভাবে ছিঁড়লো মিটারের সার্ভিস তাঁর? বল্ল--কাঁঠ ভর্তি ট্রাকের কাঁঠে বেঁধে ছিড়েছে।কিসের কাঁঠ? বলল ইট ভাটিতে পোড়াবার জন্য স মিল থেকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছিলো সেই উঁচু করে সাজানো কাঁঠে বেঁধে ছিড়েছে।
আমাদের দেশের সরকার আইন করেছে কোনো ইট ভাটিতে কাঁঠ পোড়ানো যাবে না। অথচ দেশের প্রতিটি ইট ভাটিতে নির্বিচারে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মন কাঁঠ পোড়ানো হচ্ছে।এ গুলো দেখার কথা যে দপ্তরের কর্মকর্তাদের তারা ঘুষ খেয়ে রীতিমত চোখ বুঁজে আছে-দেখেও কিছু দেখে না।পরিবেশ বাঁচাও দেশ বাঁচাও বলে যারা দিন রাত চিৎকার করেন, সভা সমাবেশ করে দেশী বিদেশী টাকার শ্রাদ্ধ করেন-কি যেনো এক জাদুর মন্ত্রে তাঁরাও এই সমস্ত ইট ভাটিগুলো চোখে দেখেন না।কিন্তু মাঝে মাঝেই দেখা যায় ব্যানার ফেষ্টূন নিয়ে উনারা রাজপথের শোভা বর্ধন করেন মানব বন্ধন করে। শ্লোগান দেন-নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করো-কিন্তু গাছ কাটা তো বন্ধ হচ্ছেই না বরং দিন দিন তা মহামারী আকার ধারন করছে।
আমার প্রশ্ন-এ সমস্ত কিছু সকলের সামনেই হচ্ছে।তাহলে কি দরকার ঐ আইন তৈরি করার যা প্রয়োগ করা যাবে না?? শুধুই কি লোক দেখানো আইন??? কাঁঠ নয়-ইট ভাটিতে কয়লা পোড়াতে হবে, কয়লার পরিবর্তে কাঁঠ পোড়ালে কঠোর শাস্তি!! এ সমস্ত ভন্ডামিযুক্ত আইন করে জনগনের ঘাম ঝরানো কোটি কোটি টাকা নষ্ট করার কোনো যুক্তি আছে কি?????