হাউকাউ মংগল গ্রহে পানি নেই; পানি থাকলে, আমি ওভার-পপুলেটেড বাংলাদেশের মানুষকে মংগলে নিয়ে যেতাম; মমতাদি ফারাক্কায় গংগা স্নান সেরে 'শিব পুজা' করতো সারাদিন; আমাদের কিছু আসতো যেতো না।
মওলানা লং মার্চ করেছিলেন ফারাক্কা অভিমুখে, ভারতের ভেতরে গিয়ে ফারাক্কা ভেংগে দিতে; খালেদা বেগম মার্চ করবেন তিস্তা বাঁধ অভিমুখে, পানি বাড়াবার জন্য, ভারতের ভেতরে গিয়ে পানি নিয়ে আসার জন্য নয়!
মওলানা বুড়ো বয়সেও হাঁটতে পারতেন, লং মার্চে হেঁটেছিলেন অনেক পথ; খালেদা বেগম পংগু, হাঁটতে পারেন না; তা'হলে এটা কি ঢং মার্চ? খুঁড়িয়ে হাঁটলে অবশ্য সেটা হবে পং(গু) মার্চ!
খালেদা বেগম এখনো বাংলাদেশের এক বড় দলের মালিক; তবে, বেশীদিন থাকার কথা নয়; ফলে, রংবাজী ছেড়ে অতীতের পাপ মোচনের জন্য সৌদীতে গিয়ে পড়ে থালেই ভালো হবে হয়তো।
পানি যদি উপর থেকে পড়তো, তা'হলে খালেদা বেগম চেস্টা করলে হয়তো কাজ হতো; সমস্যা হচ্ছে, পানি ভারত হয়ে নীচের দিকে আসে; ভারত বিধাতার মত অত দয়ালু নয় যে এক খুঁড়ী ভারতের দিকে রওয়ানা দিলে ভারত পানি দিয়ে দেবে।
উনি যদি আসলে পানি চান, এক বড় দলের সভাপতি হিসেবে, ভারত সরকারের পানি মন্ত্রী, চাষ মন্ত্রী, বিদ্যুৎ মন্ত্রী সবাকে দেখতে যেতে পারতেন ভারতে, ওদের সাথে সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারতেন। এখন ভারতে ইলেকশান চলছে, খুঁড়ী কোথায় হাঁটছে, কেহ খেয়াল রাখবে না; ডামী কি ১২০ কোটী মানুষের ইলেকশানের সময়ও বুঝে না? এই ডামী দ্বারা কি হবে?
আমরা যদি জার্মানী, ফ্রান্স বা নরওয়ের প্রতিবেশী হতাম, আমাদের পানি বা মানি নিয়ে এতো মাথা ঘামাতে হতো না; যাক, বাস্তবে আমরা ভারতের সাথে ৩ দিক থেকে লাগানো; এবং তারা সবদিক থেকে উজানে; ফলে, পানি হোক আর মুত্রই হোক, যাহা নীচের দিকে আসবে তাতে ভারতে কন্ট্রোল থাকবে।
বিশ্ব এখন অনেক অনেক সভ্য, এবং ভারতও; কমপক্ষে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার হার বেশী; এখন ভারতের লোকেরাও সহজে বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজন ও অধিকার সম্পর্কে বুঝবে। আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো পানি নিয়ে ভাবার শুরু করলে আমরা ভারতের সাথে পানি নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবো; এসব কঠিন সমস্যা খুঁড়ী খালেদা বা বকবক হাসিনার দ্বারা হবে না। খুঁড়ীর দরকার মক্কা যাওয়া, তিস্তা নয়; যার পা নেই, মগজ নেই, সময় সম্পর্কে (ভারতের ভোটের সময়) ধরণা নেই, সে মুত্র ত্যাগ করতে পারবে, পানি আনতে পারবে না।