বাংলাদেশ অপক্ষমতার চারণ ভুমিতে পরিণত হয়েছে: সরকার ও বহু কর্পোরেশন মানুষের অধিকার সম্পুর্নভাবে অস্বীকার করে নিজেদের 'কালা-কানুন' চালু করে ফায়দা লুটছে। ৭০% মানুষ এসব কালা-কানুন বুঝতে ও বিশ্লষণ করতে অক্ষম; ফলে, এসব কালা-কানুনের বিপক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না; সময়ের সাথে এসব কালা-কানুন জীবনের অংশ হয়ে যাচ্ছে।
যারা ব্লগিংকে ব্যবসা হিসেবে চালু করেছেন, তারা বুঝতে চেস্টা করছেন না যে, 'ব্লগিং' এর সাথে 'নাগরিকের ফ্রি -স্পীচ' অধীকার জড়িত; এবং নাগরিকের ফ্রি-স্পীচ দেশের সংবিধান এ বর্ণিত ও রক্ষিত। বেশীর ভাগ ব্লগের মালিক ও এডমিনরা 'ফ্রি-স্পীচ' অধিকার বুঝার ও রক্ষার মত দক্ষ নন; তারা নিজেদের ব্যবসা চালু রাখতে যা দরকার তাই করে চলেছেন।
বাংলা ব্লগ শুরু হওয়ার পর, নতুনদের মাঝে লেখার বেশ সাড়া পড়েছিল: নতুনদের ভাবনা-চিন্তা প্রকাশ পাচ্ছিল ব্লগে; কিন্তু বেশীরভাগ ব্লগ তাদের ব্যবসায়িক দিক রক্ষা করতে গিয়ে, এসব নতুন ভাবনা চিন্তার বিপক্ষে অবস্হান নেয়; অনেক অদক্ষ ব্লগারও ব্লগের এডমিন ও মালিকদের পক্ষে চলে যায় নিজের অজান্তে; ফলে, নতুন ভাবনা-চিন্তার লোকদের স্তব্ধ করা সহজ হয়ে যায় ব্লগের মালিকদের।
যারা ব্লগ ব্যবসায় জড়িত, তারা কিছু মতবাদের মানুষের থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন; ফলে, তারা তাদের নিজস্ব ধারার বাহিরের ব্লগারদের কৌশলে স্তব্ধ করে দেয়; এই অপকৌশাল গত ২/১ বছরে অনেক ভালো ব্লগারকে পেছনের সারিতে নিয়ে গেছে, অনেক ব্লগ থেকে দুরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ব্লগিং মাছ-তরকারীর ব্যবসা নয়; যারা দেশের ঘোলা জলে ব্লগিংকে মাছ-তরকারীর ব্যবসার মতো কন্ট্রোল করছেন, তারা নিজেরাই মাছ তরকারীতে পরিণত হবেন আগামী কয়েক বছরে। যারা ব্লগিংকে নতুন জেনারেশনের ভাব প্রকাশের জন্য সঠিকভাবে চালু করবেন, তারা টিকে থাকবেন।