শেখ সাহেবের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনেক ব্লগার শেখ সাহেব সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন; ব্লগারেরা নিজেদের খেয়াল খুশী অনুসারে শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরেছেন: ব্লগারদের শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আসল শেখ মুজিবুর রহমানের মিল নেই।
বাংগালী জাতীয়াবাদকে শেখ সাহেব বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি নিজেও বাংগালী জাতীয়তাবাদক ধারণ করতেন হৃদয়ে; তাই তিনি বাংগালী জাতীয়তাবাদের নেতৃত্বে চলে যান সহজেই; বাংগালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংগালীদের অধিকার আদায়ের সনদ হিসেবে তিনি ৬ দফা রচনা করেছিলেন।
৬ দফায় যেভাবে বাংগালী সিটিজেনের অধিকরের কথা তিনি বলেছিলেন, লিখেছিলেন, বাংলাদেশ হওয়ার পর তিনি নিজেই তা কার্যকরী করার কোন সঠিক পদক্ষেপ নেননি। এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, তিনি একবারও ৬ দফার কথা তোলেননি; উনার অসফলতার কারণ এখানেই লুকানো ছিল।
তিনি জাতির থেকে ৩ বছর সময় চেয়ে নিয়েছিলেন: কথা দিয়েছিলেন যে, ৩ বছর পর তিনি সবকিছু ঘুচায়ে আনবেন: এটাও ছিল মহা ভুল; মানুষ হাত-পা ছেড়ে ৩ বছর শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষ করছিল: তিনি মানুষকে সাথে নিয়ে কিছু করার কথা ভাবতে অক্ষম হন। ৩ বছর শেষ দেশে দুর্ভিক্ষ হলো; বুঝতে পারেন উনার কি অবস্হা!
তিনি সমাধান হিসেবে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কথা ভাবলেন, কার্যকরী করার জন্য 'বাকশাল' গঠন করলেন; কিন্তু তিনি ও ৮/১০ তরুণ আওয়ামী লীগার ব্যতিত সবাই ছিল 'ক্যাপিটেলিজমে' বিশ্বাসী, বাংগালী মরলেও ক্যাপিটেলিস্ট হিসেবে মরতে চায়; সমাজতন্ত্র তো হলো না, তিনি প্রাণ হারালেন। তাঁর পরিবারের কেহ সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন না: শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমানের 'গালাকাটা' ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাসী।
ব্লগারেরা লোকমুখে গল্প শুনে কি সব আরব্য উপন্যাসের সিন্দাবাদের মত এক নতুন শেখ মুজিবের ক্থা লিখছেন!