
পাটকেলেশ্বরী শিশু বিদ্যাপীঠ। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার অর্ন্তগত পাটকেলঘাটাতে পাটকেলেশ্বরী শিশু বিদ্যাপীঠ অবস্থিত। মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের সেই কপোতাক্ষ নদের পার্শেই অবস্থিত পাটকেলেশ্বরী শিশু বিদ্যাপীঠ। আধুনিক শিশু শিক্ষারউপযোগী শিশুদের একটি বিদ্যালয়। এই বিদ্যাপীঠটি ইং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠান প্রধান বাবু কৃষ্ণপদ ঘোষ সহ স্কুলের শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ । আজকের শিশু আগামী দিনের কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ। আজকের শিশুই আগামী দিনের দিক নির্দেশক, রাষ্ট্রনায়ক। তাই আজকের শিশু যেভাবে গড়ে উঠবে আগামী দিনে সে তেমনি প্রতিদান দিবে।
স্কুলের শিক্ষক মহোদয় গণের মধ্যে আছেন:-
প্রধান শিক্ষক- বাবু কৃষ্ণপদ ঘোষ,
সহ: প্রধান শিক্ষক- বাবু দিলীপ ভট্টাচার্য্য
এছাড়াআছেন সহ: শিক্ষকবৃন্দ যেমন:- উমাপদ মণ্ডল, উদয়ন বিট, অনুপমা বিশ্বাস, অমিত কুমার ঘোষ, শান্তা রাণী ঘোষ, টুম্পা বিট, সুভাষ কর্মকার। এছাড়া সংগীত শিক্ষক হিসাবে আছেন সুমন কুমার দাশ (নির্ম্মল)।
বিদ্যাপীঠ পরিচালনা পরিষদের সদস্যগণের মধ্যে আছেন:-
ডা: প্রতাপ কুমার কাশ্যপী- সভাপতি
বাবু আদিত্য মজুমদার - দাতা সদস্য
বাবু কৃষ্ণপদ ঘোষ - প্রতিষ্ঠান প্রধান, সদস্য সচিব
বাবু শ্যামল কুমার দেবনাথ - সহ সভাপতি
বাবু অজিত কুমার ঘোষ- বিদ্যো সাহী
বাবু দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য - শিক্ষক প্রতিনিধি
বাবু অলীক কুমার পাল - অভিভাবক সদস্য
বাবু তাপস কুমার সাধু - ঐ
বাবু সুবোধ কুমার সাধু - ঐ
বাবু দীনবন্ধু সাধু - ঐ
বাবু দীনবন্ধু সাধু - ঐ
নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে স্কুলটি তার কার্যক্রমকে সু্ষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এখানে ছাত্র/ছাত্রছাত্রিদের পরিবহনের জন্য আছে ৫/৬টি স্কুল ভ্যান। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য আছে একটি ছোট পার্ক যেখানে বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম আছে। স্কুলের খেলাধুলা, কমপিউটার সহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মজুমদার বাবু মহোদয়। বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাটকেলেশ্বরী শিশু বিদ্যপীঠের ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমানে শেখা শুরু করেছে কমপিউটার।
একজন শিশু মূলত: প্রথমে শিক্ষাগ্রহণ করে তার পরিবার থেকেই। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অর্থাৎ দেখে দেখে। আর এই দেখে শেখাটাই সবচেয়ে সহজতম মাধ্যম। কারণ একটি নবজাতক সে কিন্তু বলতে পারে না, পড়তে পারে না, শুনতে পেলেওতা শেখার জন্য উপযোগী নয়। মূলত অনুকরণের মাধ্যমেই প্রথমেশিখতে চেষ্টা করে। আর এই অনুকরণগুলো সে করতে শেখে পরিবারের মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-ঠাকুমা, কাকা-কাকিমা, পিসি বা মাসিদের দেখে। একারণেই পরিবারকে বলা হয় শিশুর আদর্শ বিদ্যাপীঠ। আর পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে মা-ই হল প্রধান এবং সবচেয়ে বড় শিক্ষক। কেননা একমাত্র মা-ই শিশুকে সবচেয়ে বেশি সময় দেন। এজন্য একজন মা পারে একটি শিশুর আগামী দিনের ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনা করে দিতে। যার কারণে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, “ আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিব।
-দেবাশীষ চ্যাটার্জ্জী, আই.টি, ইউসেপ-বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৩