ইসলামী আন্দোলনের কুরআনিক পরিভাষা হচ্ছে ‘ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’। এ কাজে অংশগ্রহন প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের অপরিহার্য দাবী। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ মহান কাজ শুধুমাত্র আমাদের উপর ফরজই নয় ইহা ফরজে আইন তথা অবশ্যই পালনীয় (ফরজ)।
রাসূল (সা) এর ইকামাতে দ্বীনের পুরো আন্দোলনটি ছিল পাঁচটি পর্যায়ে- দাওয়াত ইলাল্লাহ, শাহাদাত আলান্নাস, কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ, ইকামতে দ্বীন এবং আমর বিল মারুফ-নেহি আনিল মুনকার।
মক্কার ১৩ বছরে তিনি প্রথম দুটি কাজ- দাওয়াত ও লোক তৈরি এবং বাকী তিনটি কাজ মদীনায় সম্পন্ন করেছেন।
হযরত আদম(আ) হতে রাসূল(সা) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলগণই দ্বীন কায়েমের এ মহান কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কেহ দ্বীনকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কায়েম করতে সক্ষম হয়েছেন , কেহ হননি। কিন্তু সকলেই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় আপোসহীন ছিলেন। সূরা শূরার ১৩ নং আয়াতে আল্লাহ তা স্পষ্ট করে বলেছেন
“তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করিয়াছেন দ্বীন যাহার নির্দেশ দিয়াছিলেন তিনি নূহকে, আর যাহা আমি ওহী করিয়াছি তোমাকে এবং যাহার নির্দেশ দিয়াছিলাম ইব্রাহীম,মূসা ও ঈসাকে, এই বলিয়া যে তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং উহাতে মতভেদ করিও না।”
এমন কি সাহাবীগণের মাঝেও এমন কোন সাহাবী খুঁজে পাওয়া যায় না যিনি ইকামাতে দ্বীনের কাজ হতে বিরত ছিলেন। সাহাবী হযরত উম্মে মাখতুম (রা) অন্ধ এবং আমার ইবনে জুমহ(রা) খোঁড়া ছিলেন, তদোপরি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজে তাঁর্রা ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।
জীননের শুরু হতে আমৃত্যু একাজে থাকতে হবে সক্রিয়। হযরত আলী (রা) দশ বচর বয়স হতেই এ আন্দোলনের দাওয়াত পেয়ে বীরের ন্যায় ভূমিকা রেখেছেন। জীবনের খন্ডিত সময়ের জন্য ইসলামী আন্দোলন অবশ্য কর্তব্য মনে করা মুনাফিকির লক্ষণ। ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, পাঁচটি প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর ব্যতীত কোন ব্যক্তিই পুলসিরাত চুল পরিমান অতিক্রম করতে পারবে না। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে ‘ সামগ্রীক জীবন কিভাবে অতিক্রম করলে? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে ‘ যৌবনের তারুন্যকে কিভাবে ব্যয় করলে?’
জিহাদ ফি সাবিল্লিাহর কাজের মাধ্যমেই পরকালীন সাফল্যের নিশ্চিত গ্যারান্টি এবং জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব হতে নাজাত পাওয়ার সুসংবাদ পাওয়া যায়।-সূরা সফ এর -১০,১১,১২ নং আয়াতে এসব কথা বলা হয়েছে।
“ ওহে যারা ঈমান এনেছ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের কথা বলে দেব যা তোমাদেরকে রক্ষা করবে এক যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি থেকে?”
তা এই যে, তোমরা ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি এবং জেহাদ ( প্রচেষ্টা, সংগ্রাম, লড়াই) করবে আল্লাহর পথে তোমদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের জীবন দিয়ে। এটাই তোমদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা জানতে।”
“ আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন তোমদের গুনাহসমূহ এবং দাখিল করবেন এমন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হবে নহর সমূহ এবং এমন মনোরম গৃহে যা রয়েছে অনন্তকাল বাসের জন।এটাই মহা সাফল্য।”
কোন মুমিন আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় না হওয়া মানে বাতিল তথা তাগুতী শক্তিকেই সহযোগিতা করা হয়। এর ফলে তার মৃত্যু হবে মুনাফিকীর মৃত্যু এবং তাদের উপর আল্লাহ বিজাতীয় শাসন চাপিয়ে দিবেন। সূরা তাওবার ৩৯ সং আয়াতের বলা হয়েছে-
“ যদি তোমরা অভিযানে বাহির না হও, তবে তিনি তোমাদিগকে মর্মদন্তুদ শাস্তি দিবেন এং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করিবেন এবং তোমরা তাঁহার কোনই ক্ষতি করিতে পারিবে না।
আমরা যারা ঈমানের দাবি দ্বার তাদের কে অবশ্যই এ বিষয়গুলি ভেবে দেখতে হবে। শুধু মাত্র রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দিতার জন্য ইসলামী আন্দোলন কারী দল কে মুমিনদেরর জন্য সাহায্য না করে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা তাদের কর্মকান্ডে বাধাসৃষ্টি করা অনুচিৎ।
“ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহর দ্বীনের সাহয্যকারী হয়ে যাও..” সূরা- সফ-১৪
পুনশ্চঃ আমি ডারউইন নিক নিয়েছি এই কারণে যে দীর্ঘ দিন যাবত অনেক গুলি লেখা দিয়েছি কিন্তু সাম.হ.কর্তৃপক্ষ আমার লেখা প্রথম পাতায় দেয় নি। যে পোষ্ট গুলি আমি দিয়েছিলাম তা ছিল দেশ প্রেম ও ধর্মীয়। আমি বুঝলাম যে এখানে নাস্তিকেরা নবী (সা) কে গালাগালি করলেও তাদের সমস্য নেই কিন্তু ধর্মের পক্ষে লেখতে গেলেই সমস্যা। তাই এই নিক নিয়ে যখন একটা পোষ্ট দিলাম সাথে সাথে দেখি প্রথম পেজে। বুঝুন তাহলে...। তাছাড়া ডারউইন আমার একজন প্রিয় বিজ্ঞানী। তিনি কিন্তু নাস্তিক না। নাস্তিকেরা তার মতবাদ দেখে বলে সে নাস্তিক। তিনি ছিলেন অজ্ঞেয়বাদী। তিনি স্বীকারও করেনি আবার অস্বীকারও করেনি যে সৃষ্টি কর্তা আছে । তার তৈরি তত্ব এখন আমাদের অনেক কাজে লাগছে। এছাড়া অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ তার তত্বকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সাথে তুলনা মূলক আলোচনাও করছেন। যত দিন যাবে ততো আমরা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সঠিক মর্ম বুঝতে পারবো। পৃথিবীটা রহস্যময়। সৃষ্টিকর্তাও রহস্যময়। তাকে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। কুয়োর ব্যাং লাফ দিয়ে কখনো কুয়ো পার হতে পারে না। আমাদের জ্ঞানও তেমন। আমরা এখনো চর্তুমাত্রা বা এর অধিক মাত্রা বুঝি না। আমাদের অনেকেরই গণিত জ্ঞান কম। গণিতের অনেক তত্ব আছে যা দ্বারা সৃষ্টি কর্তাকে বুঝা কিছুটা সম্ভব।